Dolphin.com.bd

Online Money earning => Online Marketing => Topic started by: bbasujon on January 16, 2012, 08:00:38 AM

Title: Different trends of online marketing Strategy
Post by: bbasujon on January 16, 2012, 08:00:38 AM
সরাসরি মার্কেটের পন্যগুলো প্রদানের বা তথ্য আদান প্রদানের সুবিধা থাকলেও ব্যাংকের টাকা আদান প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলো সুবিধাজনক না থাকায় এখন বাংলাদেশে মূলতঃ কয়েক ধরনের পণ্যের বা সেবার অনলাইন মার্কেটিং চলছে।

    ১. ব্র্যান্ডিং (মোবাইল কোম্পানী, ব্যাংক ইত্যাদি)
    ২. সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি)
    ৩. ওয়েব ভিত্তিক পন্য (যেমন- সফটওয়্যার, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন ইত্যাদি)

এ দেশের অনলাইন মার্কেটিং এবং উন্নত দেশের মার্কেটিং এর পার্থক্যটা এখানেই দেখা যাবে। আর সেই সাথে সমস্যাগুলোও প্রতিফলিত হবে।
১. উন্নত ও নিরাপদ পদ্ধতিঃ

অনলাইন মাকের্টিং ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করতে পারবে এমন উন্নত এবং নিরাপদ কোন পদ্ধতি এখনো এ দেশে নাই। আপনি চাইলেই আপনার বিশাল ট্রিফিকের ওয়েবসাইটের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠাদের মাধ্যমে আয় করা শুরু করতে পারবেন না। কারন আপনার এবং আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সঠিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন ও তার ফলাফলের ব্যবস্থাপনা নাই। বিশ্বের জনপ্রিয় সব বিজ্ঞপন আদানপ্রদানকারী সংস্থাগুলোও এদেশের বিজ্ঞাপন থেকে তেমন কোন আয় করতে পারে না। এই এলাকার জন্য সেইভাবে বিজ্ঞাপণও প্রকাশিত হয় না।

বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটগুলোর জন্যও বিজ্ঞাপনের কোন ব্যবস্থা নেই।
২. বিশ্বাসযোগ্যতাঃ

অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় বাঁধা বিশ্বাসযোগ্যতা। উন্নত বিশ্বে বাড়ির পাসেই কোন প্রতিষ্ঠানের পন্য কিনতে হলেও যেখানে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া হয় আর এ দেশে বরং অনলাইনের অর্ডারের পদ্ধতিটার  চেয়ে খারাপ সার্ভিস পেলেও নিজে গিয়ে পছন্দ করে নিতে চায়। অনেকেই অনলাইন অর্ডার সিস্টেমটাতে বিশ্বাস রাখতে পারেন না।

শুধু তাই নয়, এদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকেই এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে নারাজ। আর তাই অনলাইন মার্কেটিংটা হয়ে ওঠে আরো কঠিনতর। বাংলাদেশের একমাত্র ডোমেইন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল থেকে ডোমেইন কিনতে হলেও অফলাইন ফরম পূরণ করে নিতে হবে। তারা হয়তো বিশ্বাসই করতে পারছে না।
৩. অজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবঃ

কয়েকটি সেক্টরে অজ্ঞতার অভাব রয়েছে। প্রথমতঃ যারা অনলাইনে অর্ডার দিবেন তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ যারা অর্ডারর প্রসেসিং করবেন তাদের হতে হবে দক্ষ। উন্নত সাপোর্ট সিস্টেম থাকতে হবে। সমস্যাগুলোর সমাধানের সায্যকারি মনোভাব থাকতে হবে।
৪. রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবঃ

বাংলাদেশের সরকারী মাধ্যমগুলো এখনো ডিজিটলীকরণ করা হয় নি। আর তাই অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বণ করলে তাদের ব্যবসায়ীক নিয়মের ভেতরে আনার পদ্ধতিও জটিল হবে। আর মার্কেটের পণ্যসমুহকে অনলাইনের এসকল প্রসেসিং এর লজিস্টিক ও সরকারী অনুমোদনের বেপারও ঝুলিয়ে রাখা হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও ই-কমার্স সাইটের লেনদেনের কোন দায়ীত্ব নিবে না। আর সেটা না হলে অনলাইনে শুধুমাত্র অফলাইন পন্যের বা সেবার সামান্য মার্কেটিং ছাড়া আর কিছুই হবে না।


 by মাহবুব টিউটো