Recent Posts

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 10
31
দেশে চালু হলো মাইক্রোসফটের উদ্যোগ


বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ ‘হাইওয়ে টু আ ১০০ ইউনিকর্নস’। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপস’।

ভারতে এ উদ্যোগের সফলতার পর বাংলাদেশেও চালু করা হলো এই উদ্যোগ। ভারতে ছয়টি প্রদেশ থেকে ৫৬টি স্টার্টআপ ইমার্জ এক্স প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়। এই প্রতিযোগিতা থেকে ১৬টি দেশের অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলোর মধ্য থেকে বিজয়ীদের বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ সংক্রান্ত নানা সুবিধা দেওয়া হবে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেন্টরদের নিয়ে ফাউন্ডার বুটক্যাম্প, বিনিয়োগপ্রাপ্তির সুযোগ, মেন্টরশিপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে সহায়তা।

এ নিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে স্টার্টআপগুলোর জন্য সহায়তামূলক ইকোসিস্টেম তৈরিতে মাইক্রোসফট কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো উদীয়মান বাজার বিশ্বের দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতির মধ্যে অবস্থান করে নেবে।’


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/19/967096
32

প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে ইন্টারনেট কি আসলেই বন্ধ থাকবে?


রাজধানীতে পরিকল্পনাহীন তার অপসারণে শুধু অর্থনীতি নয়, দাপ্তরিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কেবল অপারেটরেরা ধর্মঘট শুরু করলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আলোচনার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে সবপক্ষ।

নানা আপত্তি, অসুবিধা জানানোর পরও থেমে নেই রাজধানীতে চলছে ঝুলন্ত তার অপসারণ অভিযান। করা হয়নি বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও। ইন্টারনেট কিংবা স্যাটেলাইট সংযোগ সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ। লোকসানে পড়ে আগামী রবিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেবাদাতারা।  সারা দেশে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট ও কেব্‌ল টিভি (ডিশ) সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াব। 

কোনো কোনো ইন্টারনেট সেবাদাতা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের সেবা বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে ই-মেইল ও মোবাইল মেসেজ পাঠানো শুরু করেছে। যেমন আজ লিংক-৩ টেকনোলজি গ্রাহকদের ই-মেইল পাঠিয়ে আগামী রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানায়।

গত ৫ আগস্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাস্তার ওপরে ঝুলে থাকা তার অপসারণে অভিযান পরিচালনা করছে। তারা বলছে, করপোরেশন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। এরা কেউ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেননি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি ৪৮টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮৫টি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত কেব্‌ল অপসারণ করেছে।

দক্ষিণে অভিযান চললেও উত্তর সিটিতে অন্য চিত্র দেখা গেল। উত্তরের মেয়র সেবাদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একেকটি এলাকা বা সড়ক নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে সেখানকার ঝুলন্ত তার অপসারণ করছে। উত্তরে ইতোমধ্যে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি সড়ক ও গুলশান অ্যাভিনিউ সড়কের দুই পাশের ঝুলন্ত কেব্‌ল অপসারণ করা হয়েছে।

করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে সারাবিশ্বই নির্ভর করছে অনলাইন যোগাযোগের ওপর। এ অবস্থায় হঠাৎ করে তার অপসারণে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক ও দাপ্তরিক নানা কাজকর্ম। দেশের দুই শেয়ারবাজারের লেনদেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনকি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রমও হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট না পেলে বন্ধ থাকবে এটিএম সেবাও। এতে শত শত কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তিবিদরা।

এদিকে, ১৭ অক্টোবরের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানের সিটি করপোরেশন সময়সীমা বেধে দিয়েছেন, ইন্টারনেট ও ডিস সেবা প্রদানকারী দুটি সংগঠনের নেতারা।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/16/966111
33
Laptop / Dell Latitude 5410 Drivers For Windows 10 (64bit)
« Last post by sabuj on October 13, 2020, 12:28:40 PM »
Dell Latitude 5410 Drivers For Windows 10 (64bit)


Hi! This Rubel from dolphin.com.bd. Dell has launched two business devices of the Latitude 5000 line. Dell Latitude 5510 is equipped with a 15.6-inch display with a resolution of 1366x768 or 1920x1080 pixels, with a brightness of 220 or 300 nits, an option with a touchscreen is available. Case dimensions are 359x236x22.5 mm, weight 1.82 kg. Dell Latitude 5410, in addition to similar options, but already a 14-inch, screen, also offers a version with a privacy protection function, and the dimensions of the case reach 323x216x23 mm, weight 1.52 kg.

Other characteristics of the laptops are identical: Intel low-voltage processors of the Comet Lake generation up to Core i7-10810U, AMD Radeon RX640 discrete graphics, RAM up to 32 GB, a couple of drives (HDD + SSD). A variety of ports and connectors are available here: three USB 3.1, USB Type-C or Thunderbolt 3, HDMI, RJ-45, combined audio jack, slots for microSD cards, smart cards and USIM. The battery capacity can be up to 42 Wh, 51 Wh or 68 Wh.


34
Telecom / আইফোন ১২ আসছে ১৩ অক্টোবর
« Last post by sabuj on October 11, 2020, 01:40:00 PM »
আইফোন ১২ আসছে ১৩ অক্টোবর


https://www.dolphin.com.bd/

আইফোন উন্মোচন ইভেন্টের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু করেছে অ্যাপল। আমন্ত্রণপত্রে লেখা, ১৩ অক্টোবর অ্যাপল পার্ক থেকে প্রচারিত ইভেন্টটি দেখা যাবে অ্যাপল ডটকম ওয়েবসাইটে। ইভেন্ট শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়।

এ বছর নতুন চারটি আইফোন আনতে পারে অ্যাপল। এই চার মডেল হলো আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২, আইফোন ১২ প্রো, আইফোন ১২ ম্যাক্স প্রো। প্রতিটি ফোনেই থাকবে ফাইভজি সুবিধা। আইফোনগুলোর আকার হবে ৫.৪ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চির মধ্যে। আইফোন বাদেও লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস এয়ারট্যাগস, হোমপড ও হেডফোন থাকবে নতুন পণ্যের তালিকায়।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/08/963397

35
বছরের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন নিয়ে এলো ভিভো


https://www.dolphin.com.bd/

বাংলাদেশের বাজারে নতুন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন 'ভিভো ভি২০' নিয়ে এসেছে বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। স্মার্টফোনটিতে প্রথমবারের মতো আই অটোফোকাস প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য স্মার্টফোনে ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ফোকাস করা যায়। তবে, ভিভো ভি২০ এর আই অটোফোকাস প্রযুক্তি বিষয়বস্তু যতদূরই হোক না কেনো তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোকাস করে। এমনকি বিষয়বস্তু চলমান হলেও ফোকাস ধরে রাখতে পারে এই প্রযুক্তি। তাই স্পষ্ট ছবি তুলতে সহায়তা করবে ভিভো ভি২০।

এছাড়াও ভিভো ভি২০তে এজি গ্লাস, ডুয়েল ভিডিও ক্যামেরাসহ দারুণ কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। স্মার্টফোনটিতে ৪৪ এমপি সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। যা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সেলফি ক্যামেরা।



শুক্রবার বাজারে ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের ভিভো ভি২০ আনার ঘোষণা দেয় ভিভো। এ স্মার্টফোনটি কিনতে বাংলাদেশি গ্রাহকরা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রি-বুকিং দিতে পারবেন।

স্মার্টফোনটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য-এর স্লিমনেস। ভিভো ভি২০ এর থিকনেস মাত্র ৭ দশমিক ৩৮ মি.মি.। বাজারে বর্তমানে বিদ্যমান সবচেয়ে সরু স্মার্টফোনটি ৭ দশমিক ৪৮ মি.মি.। ভিভো ভি২০ বাজারে এলে এটিই হবে সবচেয়ে সরু স্মার্টফোন।
 
ডুয়েল ভিডিও ক্যামেরার কারণে এখন একই সময়ে সামনে এবং পেছনের ক্যামেরায় ভিডিও করা যাবে। তাই অনলাইনে ক্লাস করতে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরিতে স্মার্টফোনটি কাজে লাগবে। সামনের ভিডিও ক্যামেরায় রয়েছে স্লো মোশন প্রযুক্তি।



ভিভো ভি২০ এর ডিসপ্লেটি ৬ দশমিক ৪৪ ইঞ্চির-যাতে এজি গ্লাস প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৩ ওয়াট ফ্লাশ চার্জের এই ফোনে ৪০০০ এমএইচ ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে।

ভিভো ভি২০ এর পেছনে তিনটি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো যথাক্রমে ৬৪, ৮ ও ২ এমপির। এবং সামনের ক্যামেরাটি ৪৪ এমপির অটোফোকাস যুক্ত। এছাড়া সুপার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল নাইট মোড ও ট্রাইপোড নাইট মোডের কারণে গভীর অন্ধকারেও ভালো ছবি তোলা যাবে।

স্মার্টফোনটির  র‌্যাম ও রম ৮ ও ১২৮ জিবির। ভিভো ভি২০ পরিচালিত হবে ফানটাচ ওএস১১ ও কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭২০ জি দিয়ে। বাংলাদেশে ভিভো ভি২০ পাওয়া যাবে সানসেট মেলোডি ও মিডনাইট জ্যাজ রঙে।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/10/963950
36
দেশের বাজারে আসছে হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিট


https://www.dolphin.com.bd/

বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টওয়াচ আনছে হুয়াওয়ে। ওয়াচ ফিট নামের এই ঘড়িটি ১২ অক্টোবর থেকে হুয়াওয়ের অনুমোদিত বিক্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। দেশের বাজারে এই ওয়াচ ফিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিটের ডিসপ্লে রাউন্ডেড রেক্টাঙ্গুলার। এর আকার ১.৬৪ ইঞ্চি। এতে অ্যামোলিড এইচডি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। এটি স্মার্টওয়াচ হলেও ডিভাইসটিতে ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘুমের সময় কব্জিতে এই ওয়াচ পরে থাকলে ব্যবহারকারী হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করবে। হার্ট রেট পরিমাপের জন্য হুয়াওয়ের নিজস্ব ট্রুসিন ৪ দশমিক শূন্য এবং ট্রুস্লিপ ২ দশমিক শূন্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। ঘুমের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের গুণগতমান বিশ্লেষণ এবং রেস্টিং হার্ট রেট ও রক্তে অক্সিজেন প্রবাহসহ রিয়েল টাইম হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করবে। ডিভাইসটি থেকে ২৪ ঘণ্টায় হার্টরেটের একটি ইনফোগ্রাফিক ডাটা পাওয়া যাবে।

হুয়াওয়ের পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য হুয়াওয়ে সব সময় চেষ্টা করে উদ্ভাবনী পণ্য দিয়ে গুণগতমান সম্পন্ন অভিজ্ঞতা দিতে। আমাদের সর্বশেষ পণ্য ওয়াচ ফিট তেমনই অভিজ্ঞতা দেবে গ্রাহকদের। আমরা সব সময় চেষ্টা করব দেশের গ্রাহকদের স্মার্ট লাইফ উপহার দিতে।’

ওয়াচটি ব্যবহারকারীকে পার্সোনাল ট্রেইনারের মতো স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দিক-নির্দেশনা দেবে। এর ইন্টেলিজেন্ট প্রযুক্তি ৪৪টি শারীরিক ভঙ্গি শনাক্ত করতে পারে। যার মাধ্যমে ১২টি আলাদা ওয়ার্কআউট পূরণ করা যাবে। গ্যাজেটটির স্ট্যান্ডআপ রিমাইন্ডার ব্যবহারকারীদের সব সময় অ্যাকটিভ রাখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। অন্যান্য ফিটনেস ফিচার হিসেবে আছে এনিমেটেড ফিটনেস কোর্স। ওয়াচটিতে অসংখ্য ভিন্নধর্মী ওয়াচ ফেস ডিজাইন অপশন রয়েছে। যা হুয়াওয়ের ওয়াচ ফেস স্টোর থেকে নামিয়ে নেওয়া যাবে।

স্মার্ট টেকনোলজির হুয়াওয়ের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শুভংকর গোলদার জনি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিট বাংলাদেশের বাজারে এই বাজেটের মধ্যে পাওয়া সেরা স্মার্টওয়াচ। এটি ব্যবহারকারীর কব্জিতে স্টাইল যুক্ত করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবে।’


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/08/963558
37
Mac PC / ট্যাবলেটের হালচাল
« Last post by sabuj on October 11, 2020, 01:00:29 PM »
ট্যাবলেটের হালচাল


একসময় ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে উত্থান হয়েছিল ট্যাবলেট পিসি ওরফে ট্যাবের। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ নজর দিয়েছিল সেসব দিকে। কী অ্যানড্রয়েড, কী আইওএস অপারেটিং সিস্টেম—জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ কিছু ট্যাবও। কিন্তু বড় পর্দার স্মার্টফোন এসে ট্যাবকে একপ্রকার হটিয়েই দিল বাজার থেকে। বিশ্বের বাজারেই বা কী অবস্থা ট্যাবের? খোঁজখবর নিয়ে জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ

২০১০ সালে বাজারে এসেছিল বিশ্বের প্রথম আইপ্যাড। তার মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল আধুনিক ট্যাবলেটের যুগ। এরপর অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের মাধ্যমে পুরোদমে বাড়তে শুরু করে এই বাজার। সঙ্গে যোগ হয় ব্ল্যাকবেরি ও পামওএসচালিত ট্যাবলেট, মাইক্রোসফটও উইন্ডোজচালিত সারফেস ট্যাবলেটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিল ট্যাবলেটের স্বর্ণযুগ। বছরে ২২ কোটিরও বেশি ইউনিট ট্যাবলেট কিনেছিল ব্যবহারকারীরা। সেই সময় স্মার্টফোনের ডিসপ্লের সাইজ ছিল ৩ থেকে ৪.৫ ইঞ্চি, ৭-৯ ইঞ্চি ডিসপ্লের ট্যাবলেটই ছিল চলার পথে খবর বা বই পড়ার জন্য আদর্শ। এরপর ধীরে ধীরে ফোনের আকৃতি বৃদ্ধি পেতে থাকে, স্যামসাং বাজারে নিয়ে আসতে থাকে গ্যালাক্সি নোট ও মেগা সিরিজের সব ট্যাবলেট। ফোনের দিকেই ঝুঁকে পড়ে ক্রেতারা, অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের বাজার প্রায় শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত টিকে যায় অ্যাপলের আইপ্যাড, মাইক্রোসফটের সারফেস সিরিজ এবং স্যামসাংয়ের অ্যানড্রয়েডকে আমূল বদলে নিজস্ব সংস্করণে তৈরি গ্যালাক্সি ট্যাব।

যেখানে আজ ল্যাপটপের ওজন এক কিলোগ্রামেরও কম, তার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে ১০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ ও টাচস্ক্রিন, সেখানে ট্যাবলেট আলাদা করে কেনার প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। বই পড়তে হলে ই-বুক রিডার কেনাই শ্রেয়, আর বাকি কাজের জন্য স্মার্টফোন তো আছেই। ফলে ট্যাবলেট নির্মাতাদের নতুন করে ভাবতে হয়েছে কিভাবে তাদের ডিভাইসগুলো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। দ্রুতই স্যামসাং এবং পরবর্তী সময়ে মাইক্রোসফট আবিষ্কার করে, ট্যাবলেটের ডিসপ্লেতে স্টাইলাস বা পেন ব্যবহারের সুবিধা দিলে শিল্পীরা তাঁদের ক্যানভাস হিসেবে ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পছন্দ করছেন। ফলে জন্ম নেয় গ্যালাক্সি ট্যাব নোট এবং বর্তমানে এস সিরিজ, মাইক্রোসফট সারফেস প্রো সিরিজের জন্য তৈরি করে সারফেস পেন এবং একসময় অ্যাপলও তাদের স্টাইলাস বর্জনের নীতি বাদ দিয়ে অ্যাপল পেন্সিলের ব্যবহার শুরু করে আইপ্যাডে। ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য ডিসপ্লে সাইজ বাড়িয়ে ১০ থেকে ১৩ ইঞ্চি করা হয়, মাইক্রোসফট তৈরি করে ১৫ ইঞ্চি ট্যাবলেট-ল্যাপটপ হাইব্রিড।

তবে শুধু শিল্পীরাই নন, শিশু ও বৃদ্ধদেরও পছন্দ বড়সড় ডিভাইস—সেটা দ্রুতই অ্যামাজন আবিষ্কার করে। যার ফলে তারা বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি শুরু করে তাদের ফায়ার ট্যাবলেট। ছোটখাটো গেম খেলা, শিক্ষামূলক ও কার্টুন ভিডিও দেখা থেকে শুরু করে ঘরের স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ এবং পুরো পরিবারের ভিডিও কলের যন্ত্র হিসেবে ফায়ার ট্যাবলেট সবার মনে স্থান করে নেয়। অবশ্য আজ সেই স্থানটির জন্য লেনোভো, গুগল ও নেস্ট মিলে ব্যাটারিহীন, সরাসরি বিদ্যুত্চালিত এবং সব সময়ই চালু ট্যাবলেট ডিভাইস তৈরি শুরু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ডিসপ্লে। তবে এ ধরনের ডিভাইসকে ট্যাবলেট না বলে বরং ইন্টারঅ্যাকটিভ টেলিভিশন বলাই শ্রেয়। স্যামসাং এ বাজারের জন্য ‘গ্যালাক্সি ভিও’ নামের একটি ট্যাবলেট তৈরি করেছিল, যার ডিসপ্লে ছিল ২২ ইঞ্চি, যা কি না ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেট। অবশ্য সেটি বাজার ধরতে পারেনি মোটেই।

তবে এসব ব্যবহারের ফলে ট্যাবলেট বাজার একেবারে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। প্রতিবছর এখনো ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি ইউনিট ট্যাবলেট বিক্রি হয়ে থাকে, যদিও তার মধ্যে অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের সংখ্যা বেশ কম আর অর্ধেকের বেশি বাজার আইপ্যাডের দখলে। অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের বাজারের বেশির ভাগ দখল করে আছে স্যামসাং, এর পরই আছে লেনোভো এবং তারপর হুয়াওয়ে। সারফেস এবং অন্যান্য উইন্ডোজ ট্যাবলেট ও হাইব্রিডের বাজারও একেবারে মন্দ নয়। অ্যামাজন ফায়ার সিরিজের ট্যাবলেটগুলোর বিক্রি আছে আইপ্যাড ও উইন্ডোজ ট্যাবলেটের মাঝামাঝি।

এ বছরের শুরুতেই বিশ্বের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কভিড-১৯। প্রতিটি দেশে চলছে লকডাউন, বাসায় বসে কাজ করছেন চাকরিজীবীরা, আর ছাত্র-ছাত্রীদের করতে হচ্ছে অনলাইনে দূরশিক্ষণ। ফলে প্রায় সারা দিনই ভিডিও কলে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে সবাইকে, যার জন্য ট্যাবলেট আদর্শ ডিভাইস। ফলে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে ট্যাবলেট বিক্রি। তবে মজার বিষয়, অ্যাপলের বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। উল্টো অ্যানড্রয়েড ও অ্যামাজন ট্যাবলেট বিক্রি বাড়ার ফলে অ্যাপলের বাজার ৫৬ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি বেড়েছে স্যামসাং ও অ্যাপলের, আর তৃতীয় অবস্থানে আছে মাইক্রোসফট এবং অন্য নির্মাতারা।

বিগত বছরগুলোতে ট্যাবলেট বাজারে প্রতিটি নির্মাতার বেশ কয়েক মডেলের ট্যাবলেট পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে বেশির ভাগ কম্পানিই ট্যাবলেট তৈরি থেকে সরে আসায় ক্রেতাদের পছন্দ অনেকটাই কমে গেছে। হুয়াওয়ে, স্যামসাং, লেনোভো ও অ্যামাজনের বাইরে আর তেমন কোনো নির্মাতা অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেট নিয়ে কাজ করছে না। যারা বাজেটের মধ্যে ট্যাবলেট খুঁজছে তাদের জন্য অ্যামাজন ফায়ার ৭, ফায়ার ৮ এইচডি ও ফায়ার ১০ এইচডি হতে পারে আদর্শ। হাইডেফিনিশন ডিসপ্লে, মাঝারি মানের পারফরম্যান্স এবং মাত্র চার হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু এই ট্যাবলেটগুলো শিশুদের জন্যও উপযোগী। কেননা প্লাস্টিক বডির এই ডিভাইসগুলো সহজে ভাঙার আশঙ্কা নেই, আবার দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেলেও বড় ক্ষতি হবে না। সমস্যা দুটি। প্রথমত, অ্যামাজন ট্যাবলেট দেশে সরাসরি বিক্রি হয় না এবং পাওয়া দুষ্কর। আর দ্বিতীয় সমস্যা, ট্যাবলেটগুলোতে গুগল প্লেস্টোর নেই। অ্যামাজন অ্যাপ স্টোরে থাকা অ্যাপের মধ্যেই ডিভাইসগুলো সীমাবদ্ধ।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এস৬ লাইট ও ট্যাব এ হতে পারে বাজেট ক্রেতাদের জন্য আদর্শ। ট্যাবলেটগুলোর মূল্য ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু, হাইডেফিনিশন ডিসপ্লে এবং কোয়াডকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ ডিভাইসগুলো ভিডিও কল এবং ই-বুক ও ডকুমেন্ট পড়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ডিভাইসগুলোর মধ্যে গুগল প্লেুেস্টার আছে এবং বাংলাদেশের বাজারে সহজেই পাওয়া সম্ভব। তবে গেম খেলা বা কোনো ধরনের ভারী কাজ করার জন্য ট্যাবলেটগুলো একেবারেই যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে ট্যাব এ মডেলটিতে ১০৮০পি ডিসপ্লেও দেওয়া হয়নি, তাই ফুল এইচডি ভিডিও দেখেও মজা পাওয়া কষ্টকর।

ট্যাবলেটের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেলগুলোর মূল্য নেহাত কম নয়। অ্যাপলের সপ্তম ও অষ্টম প্রজন্মের আইপ্যাড, তৃতীয় প্রজন্মের আইপ্যাড এয়ার ও আইপ্যাড প্রো মডেলগুলো এখনো ট্যাবলেটের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয়, এর পরই আছে গ্যালাক্সি ট্যাব এস৭ এবং এস৭ প্লাস এবং মাইক্রোসফটের আছে সপ্তম প্রজন্মের সারফেস প্রো ও সারফেসবুক। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু প্রতিটি ট্যাবলেটের ফিচার বাজেট ট্যাবলেটের চেয়ে অনেক এগিয়ে, অনেক ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটগুলো দিয়ে ল্যাপটপের কাজ সহজেই চালানো সম্ভব।

আইপ্যাডের ক্ষেত্রে আইপ্যাডওএস অন্য ট্যাবলেটের চেয়ে ডিভাইসগুলোকে এগিয়ে রেখেছে। চাইলেই একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি অ্যাপ স্ক্রিন স্প্লিটের মাধ্যমে চালানো সম্ভব। আইপ্যাডের জন্য, বিশেষ করে টাচস্ক্রিনের জন্য উপযোগী করে তৈরি মাইক্রোসফট অফিস ও অ্যাডবি অ্যাপগুলো ল্যাপটপের বেশির ভাগ কাজই সহজে করার সুবিধা দিয়ে থাকে। আইপ্যাডের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য কি-বোর্ডগুলো চমৎকার এবং সবচেয়ে বড় ফিচার অ্যাপল পেন্সিল। অত্যন্ত কম লেটেন্সির স্টাইলাসটি আঁকাআঁকি করার জন্য অদ্বিতীয়।

অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের মধ্যে সেরা বলা যেতে পারে ‘গ্যালাক্সি ট্যাব এস৭ প্লাস’। সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, প্রচুর র‌্যাম এবং বাজারের সেরা ডিসপ্লে-সংবলিত ডিভাইসগুলো ল্যাপটপের চেয়ে কোনো দিক দিয়ে কম নয়। সবচেয়ে বড় কথা, স্যামসাং ডেস্ক ইন্টারফেস ট্যাবলেটের মধ্যে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে চালানো খুবই সহজ। ট্যাবলেটের সঙ্গে থাকা কি-বোর্ড কাভার টাইপ করার জন্য খুবই কার্যকর, সঙ্গে আছে গ্যালাক্সি এস পেন ব্যবহার করে আঁকাআঁকি করার সুবিধা।

সারফেস সিরিজের ডিভাইসগুলোর ব্যাপার আলাদা। ইন্টেল প্রসেসরচালিত ট্যাবলেটগুলো পূর্ণাঙ্গ উইন্ডোজ চালাতে সক্ষম। তাই চাইলে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সব সফটওয়্যার এতে চালানো সম্ভব। সঙ্গে আছে সারফেস পেন ব্যবহার করে ডিজাইন করার সুবিধা। সমস্যা একটিই, উইন্ডোজ টাচ ইন্টারফেসের জন্য ডিজাইন করা নয়।

দিনশেষে ট্যাবলেট কিনতে হলে মাঝারি মূল্যের গ্যালাক্সি ট্যাব বা অ্যাপলের আইপ্যাডই সবার পছন্দের তালিকায় থাকা উচিত।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/11/964344
38
৯০ মিনিটে করোনা সনাক্ত করবে এই যন্ত্র


https://www.dolphin.com.bd/

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীকে 'আক্রান্ত' বলা যাবে না। ততদিনে তিনি আরও অনেকের মাঝে ভাইরাস ছড়াতে পারেন। সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যেটি দ্রুত পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা যাবে মাত্র ৯০ মিনিটে। খবর বিবিসি বাংলার।

লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, ছোট্ট একটা কম্প্যুটার চিপ কীভাবে ল্যাবরেটরির কাজ করবে এবং করোনাভাইরাসের বর্তমান পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত করে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে এই পদ্ধতিও ঠিক একই ফল দেবে। পার্থক্য হলো এই যন্ত্র ফল দিতে সময় নেবে মাত্র ৯০ মিনিট। ইংল্যান্ডের আটটি হাসপাতাল এই যন্ত্র ব্যবহার করে করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীদের সফলভাবে এবং দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

ডিএনএনাজ নামে একটি সংস্থা এই যন্ত্রটি তৈরি করছে। তারা বলছে, কেউ যদি গলা বা নাকের ভেতর থেকে সোয়াব বা নমুনা নিতে পারে, তাহলেই সে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি নীল রংএর কাট্রিজ বা আধারের মধ্যে সোয়াবটা রাখতে হবে, যার ভেতর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক আছে। আধারটি এরপর জুতার বাক্সের আকারের ছোট একটি যন্ত্রের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যন্ত্র ওই নমুনা বিশ্লেষণ করবে। ওই আধারটি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে।

বিসির বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার লিখেছেন, এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট মাইক্রোবে। সেখানে বলা হয়েছে ৩৮৬ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ডিএনএনাজ কম্পানির যন্ত্র দিয়ে এবং পাশাপাশি প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দুটি পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করা হয়েছে।

ইমপিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক গ্রেয়াম কুক বলেছেন, 'দুটি পরীক্ষার ফলাফল দেখা গেছে একইরকম, যা খুবই আশ্বস্ত হবার মত। বিশেষ করে যখন একটা নতুন প্রযুক্তি আপনি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন তখন ফলাফলে তারতম্য না থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ," বলেছেন । অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, হয়ত সেটা দ্রুত করা যাচ্ছে কিন্তু ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়, আবার কোনটায় ফলাফল নির্ভুল কিন্তু সময় লাগছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুটোই সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।'

ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে রোগীর ভাইরাস নেই, এই যন্ত্রের পরীক্ষাতেও সেই ফলই এসেছে। ল্যাব পরীক্ষা যেখানে বলছে রোগীর ভাইরাস আছে, দ্রুত সময়ের এই পরীক্ষা ৯৪% ক্ষেত্রে একই রেজাল্ট দিয়েছে। এখানে সমস্যা একটা রয়েছে। সেটা হল একটা বাক্স-যন্ত্র দিয়ে একবারে শুধু একটা নমুনাই পরীক্ষা করা সম্ভব। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান যদি একটি বাক্স ব্যবহার করে তাহলে সারা দিনে প্রায় ১৬টার বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না।

অধ্যাপক কুক বলেছেন, 'যেসব ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত জানা প্রয়োজন কেউ সংক্রমিত কিনা এবং একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যেখানে জরুরি, সেখানে এই যন্ত্র খুবই উপযোগী হবে।' তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, গত সপ্তাহে এই যন্ত্র ব্যবহার করে একজন রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা তা দ্রুত জানা সম্ভব হয়েছে এবং সাথে সাথে ডেক্সামেথাসোন এবং রেমডেসিভির ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেছেন, এই যন্ত্র হাসপাতালগুলোর জন্য ভবিষ্যতে খুবই উপযোগী হবে। কারণ এটা ব্যবহার করে খুব দ্রুত তারা শনাক্ত করতে পারবে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাকি তিনি সাধারণ ফ্লু বা শ্বাসযন্ত্রের অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বড় বড় জায়গায় যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হবে সেখানে পরীক্ষার জন্য এই যন্ত্র হয়ত সঠিক হবে না। যেমন ফুটবল স্টেডিয়ামে। সেখানে হয়তো ৬০ হাজার দর্শক সমাগম হবে, সবাইকে পরীক্ষা করতে গেলে সেখানে ৬০ হাজার যন্ত্র প্রয়োজন হবে। কিন্তু ছোট ভেন্যুতে বা যেখানে অল্প লোক জড়ো হবে, সেখানে এই যন্ত্র অবশ্যই দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করতে কার্যকর।

ইংল্যান্ডের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারইক, যারা এই গবেষণার সাথে যুক্ত নয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স ইয়ং বলেছেন এই উদ্ভাবন 'সৃজনশীল' এবং কেউ ভাইরাস বহন করছেন কিনা তা দ্রুত জানতে পারলে সেটা রোগীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেও এটা খুবই সাহায্য করবে। তবে সব বিজ্ঞানীই বলেছেন এই যন্ত্র ছোট পরিমণ্ডলে উপকারী হবে। কিন্তু মারাত্মক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারগুলোকে গণহারে পরীক্ষার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/18/956776
39
এক চার্জে ৪ দিন চলবে টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার স্মার্টফোন


https://www.dolphin.com.bd/

দেশের বাজারে হংকং-ভিত্তিক মোবাইল ফোন নির্মাতা টেকনোর স্পার্ক সিরিজের সবশেষ সংযোজন স্মার্টফোন ‘টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার’ নিয়ে এসেছে ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড। ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারির টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার ফোনটি ওশেন ব্লু এবং ক্লাউড হোয়াইট এই দুটি ট্রেন্ডি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার ফোনটিতে রয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারি। যা একবার পুরোপুরি চার্জে টানা ৪ দিন ব্যবহার করা এবং ৩৫ দিন স্ট্যান্ডবাই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্মার্টফোনের বিশাল ব্যাটারি আপনাকে যেমন সঙ্গ দেবে তেমনি দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটি দিয়ে কাজ, পড়াশোনা বা বিনোদনও উপভোগ করা যাবে। সীমিত বাজেটের মধ্যে সুবিশাল ব্যাটারি স্মার্টফোন কিনতে চাইলে টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।

ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, বাংলাদেশের বাজারে টেকনো মোবাইল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই এবার প্রযুক্তিবান্ধব তরুণ প্রজম্মের সব রকম প্রয়োজন বুঝেই টেকনো নিয়ে এসেছে নতুন হ্যান্ডসেট স্পার্ক ৬ এয়ার। ফোনটিতে রয়েছে বিশাল ব্যাটারি ও বড় ডিসপ্লে। এ ছাড়া নতুন নতুন ফিচার এবং সাশ্রয়ী দামের কারণে স্পার্ক ৬ এয়ার ক্রেতাবান্ধব ফোন হয়ে উঠবে আশা করছি।

ফোনে ৯০.৬ অনুপাতের স্ক্রিন-টু-বডির ৭ ইঞ্চি বড় ডট নচ এইচডি+ডিসপ্লেও রয়েছে। যাতে ৭২০ বাই ১৬৪০ পিক্সেলের নেটিভ রেজ্যুলিউশন পাওয়া যাবে। বড় ডিসপ্লে হলেও ফোনটি অনেক আরামদায়ক। টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারের ২জিবি+৩২ জিবি সংস্করণের দাম ৯,৯৯০ টাকা এবং ৩জিবি+৬৪জিবি সংস্করণের দাম ১০,৯৯০ টাকা।

কোয়াড ফ্ল্যাশ লাইট সেটআপসহ ১৩এমপি এআই ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর ছাড়াও এতে একটি ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর ও একটি থার্ড এআই লেন্স। পেছনের ক্যামেরায় রয়েছে এফ ১.৮ অ্যাপারচার ও কোয়াড ফ্ল্যাশ লাইট সেটআপ। সেলফি তোলার জন্য টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা।

টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারে রয়েছে অক্টাকোর প্রসেসর এবং ৩ জিবি র‌্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ। ফোনটি কোয়াড কোর প্রসেসরের ২ জিবি র‌্যাম ও ৩২ জিবি রমের অন্য আরেকটি সংস্করণেও পাওয়া যাচ্ছে।

অ্যান্ড্রয়েড ১০ চালিত টেকনোর সবশেষ ফোনটিতে হাইওএস ৬.২ এ অডিও শেয়ার রয়েছে। মিউজিক উপভোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড, স্ট্যাটাস সেভার, সার্ভার প্যানেল ভি ২.০, ওয়াইফাই শেয়ার ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সুবিধা। এতে স্ক্রিন বা ফোনকে স্পর্শ না করে কলগুলো রিসিভ করার সুবিধাও রয়েছে।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/27/959703
40
ল্যাপটপ থেকে ফ্রিজ- সব চলবে এই এক ডিভাইসে!

কোথাও হয়তো ঘুরতে গেছেন। সঙ্গে আছে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে হরেক রকম গ্যাজেট। এসব চার্জ করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এসবের জন্য তো আর ভাগে ভাগে এত আর পাওয়াব্যাংকও সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। আর এ জন্য আছে ‘পাওয়ার স্টুডিও ৩০০’।

রেডিওয়ের মতো এই ডিভাইস দিয়ে ল্যাপটপ https://www.dolphin.com.bd/laptop.html থেকে শুরু করে ছোটখাটো ফ্রিজ পর্যন্ত চালানো যাবে।  দাম পড়বে ১৯৯ থেকে ৪১৯ ডলার।     

সূত্র : ম্যাশাবল


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/29/960426
Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 10