আপনার ফ্রেন্ডলিষ্টের ইন্ডিয়ান কিংবা অপরিচিত কেউ থাকলে তাকে রিমুভ করুন; এবং কেউ কোন লিঙ্ক দিলে তা তে ক্লিক করবেন না। বিশেষ করে যাদের ফেসবুক ব্যবহার করে প্রথমে অনলাইন এ প্রবেশ এর আগে ইন্টারনেট কি জিনিষ জানতেন না, তারা হুটহাট কোন লিঙ্ক এ ক্লিক করবেন না। ইন্ডিয়ান অনেক ফ্যান পেইজ আপনার লাইক দেয়া থাকতে পারে, ফ্যান পেজ গুলার সেটিংস এ একটু পরিবর্তন করে শুধু বাংলাদেশীরা যাতে দেখতে পারে এমন সিস্টেম করে তারা যেকোন লিঙ্ক দিতে পারে। তাই সাবধান থাকুন অইসব লিঙ্ক এ ক্লিক থেকে। সাইবার যুদ্ধ শেষ বা এর একটা প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কোন সাইটে কোন একাউন্ট খুলবেন না। যত যাই থাকুক না কেন। ২/৩ দিন পর পর আপনার ফেসবুক এর পাসওর্য়াড Change করে ফেলুন। Password টা এমন ভাবে তৈরি করুন যাতে তার মধ্যে এই symbol গুলো ! % ^ & * @ | ~ থাকে। Profile এর Contact edit এ যেয়ে আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি টি Only Me করে দিন। কেউ আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি চাইলে তা কখনও দিবেন না। PC থেকে ফেসবুক লগইন করে Account Settings > Security এ যান; এখানে, *Secure Browsing এ Enable করুন। *Login Notifications এ Enable করুন। *Login Approvals এ যেয়ে Require me to enter a security code each time an unrecognized computer or device tries to access my account এ একটা টিক দিন। এবার পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরন করুন, মোবাইল নাম্বার চাইবে, দিয়ে দিন। এটা করলে প্রতিবার ফেসবুক এ লগইন এর সময় আপনার নাম্বার এ একটা কোড আসবে যেটা দিয়ে আপনাকে প্রত্যেক বার লগইন করতে হবে। এটার সুবিধা কেউ আপনার অবর্তমানে আপনার অ্যাকাউন্ট এ ঢোকার ট্রাই করলে ঢুকতে পারবে না অই গোপন কোড ছাড়া। ফেসবুক কে আরো বেশী শক্তিশালী করতে কমপক্ষে ৩টা ই-মেইল আইডি অ্যাড করে নিন। যাতে করে একটা ইমেইল আইডি হ্যাক হলেও অন্য ইমেইল আইডি দিয়ে রিকভার করা যাবে। আপনার পাসওয়ার্ড বিষয়ে কাউকে কোন ইনফরমেশন দিবেন না। এবার আপনার মেইল এ যান, সেখানে মেইল এর Password Recovery option গুলো পরিবর্তন করে ফেলুন। পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করুন। Password টা এমন ভাবে তৈরি করুন যাতে তার মধ্যে এই symbol গুলো !%^&*@|~ থাকে। ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কোন তথ্য আপনার মেইলে রাখবেননা। কমপক্ষে ১০টা সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিবেন। মোবাইল নাম্বার পাসওয়ার্ড হিসেবে দেয়া চরম বোকামী। তাই সাবধান থাকুন। একই ভাবে অনলাইন এ আপনার সব ইমেইল পাসওয়ার্ড সিকিউরড করে নিন। সর্বোপরি আপনার কোন গোপনীয়তা বিষয়ক কোন তথ্য অনলাইনে থাকলে সেটি মুছে ফেলুন; পরিচিত বা কাছের কারো সাথে শেয়ার করবেন না নিজের সিকিউরিটির কথা চিন্তা করে। আশা করি বাংলাদেশ Vs ভারতের এই সাইবার যুদ্ধ সীমান্ত হত্যা রোধে বিরাট একটি মাইলফলক সৃষ্টি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবে। প্রমান করে দেবে হ্যাকার মানেই অসৎ উদ্দেশ্য নয়, এখন হ্যাকার মানে অধিকার আদায়ের যোদ্ধা । তোমাদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা, হ্যাকার ভাইরা। নিজেদের একাত্মতাই পারে এই সাইবার যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পাথেয়। আসুন আমরা ইন্ডিয়ান দের মন থেকে ঘৃণা করি, এবং ইন্ডিয়ান সব কিছু বয়কট করি। আপনি নিজে সিকিউরড হউন, আপনার বন্ধুকে সিকিউরড রাখুন। আর আপনার বন্ধুকে জানাতে এই পোস্ট টি শেয়ার/ট্যাগ করে দিন।