ঘাড়ের উপর মাথা থাকলে ব্যথাতো হতেই পারে। আর একটু আধটু ব্যথার জন্য নিজে নিজে ওষুধ খেয়ে ফেলাটাও কোন কাজের কথা না। আগে থেকে কিছুটা সতর্ক হলে মাথা ব্যথার মতো ঝামেলা এড়ানো যায় কিন্তু সহজেই।
মাছের তেলে
মাছ খেতে হবে প্রতি বেলায়। পুষ্টির চাহিদা তো মিটবেই মাথা ব্যথা প্রতিরোধেও কার্যকর মাছ। মাছের তেলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটিই মূলত মাথা ব্যথার বিরুদ্ধে কাজ করে। মাছের তেলের ক্যাপসুল পাওয়া যায় বাজারে। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ম করে খেতে পারেন ক্যাপসুলটি।
আপেলে
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই যারা মাথা ব্যথায় ভোগেন তাদের সমাধান আপেলে। আপেলের বাইরের আস্তরন ফেলে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে হবে সকালে খালি পেটে। এভাবে চলবে টানা দুই সপ্তাহ।
আদা
আদার উপাদানগুলো থ্রম্বোক্সিনকে কাজে লাগিয়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। যেটা মাইগ্রেইনের ব্যথা প্রতিরোধে খুব কার্যকর। এ ছাড়া আদায় বমিভাব দূর হয়, দূর হয় মাথা ব্যথা।
বসার ভঙ্গিতে
দেহকে বাকিয়ে বা হেলে দীর্ঘক্ষণ বসলে স্নায়ুকোষ উদ্দীপ্ত হয়। এ থেকে তৈরি হতে পারে মাথা ব্যথার মতো অনাবশ্যক সব রোগ। তাই বসতে হবে সোজা হয়ে। দাঁড়াতে হবে আরও সোজা হয়ে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ১৬, ২০১১