Author Topic: চাকুরীর শর্তাবলী সম্পর্কিত  (Read 4422 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
১৯৬৫ সালের
শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ আইন)
[The Employment of Labour (Standing Orders) Act, 1965]
[১৯৬৫ সালের ৮ নং আইন]

[১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫]

১৯৬০ সালের শিল্প ও বানিজ্যিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) অধ্যাদেশ বাতিল এবং কতিপয় সংশোধনীসহ পুন:প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন।

যেহেতু দোকান ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকদের চাকুরীর শর্তাবলী নিয়ন্ত্রনের জন্য ১৯৬০ সালের শিল্প ও বানিজ্যিক নিয়োগ (স্থায়ী অাদেশ) অধ্যাদেশটি বাতিল এবং কতিপয় সংশেধনীসহ পুন:প্রণয়ন করা সমীচীন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির জন্য প্রয়োজন;
সেহেতু নিম্নোক্ত আইন প্রণয়ন করা হইলো:

ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা, প্রবর্তন ও প্রয়োগ (Short title, extent, commencement and application): এই আইনকে ১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ স্থায়ী আদেশ আইন নামে অভিহিত করা হইবে।
(২) এই  আইন সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) ইহা  অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(৪) ইহা  প্রযোজ্য হইবে-
(ক) যে সকল   দোকান বা বানিজ্য প্রতিষ্ঠানের উপর [১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন] প্রযোজ্য, তেমন সকল  দোকান ও বানিজ্যক প্রতিষ্ঠানে;
(খ) যে সকল   এলাকায় [১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন] প্রযোজ্য, সেই সকল এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে; এবং
(গ) [বাংলাদেশের] অন্যান্য এই লাকার প্রত্যেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে, যেই ইখানে  পাঁচ বা ততোধিক শ্রমিক নিয়োজিত রহিয়াছেন অথবা পূর্ববর্তী বারো মাসের যে কোনো  দিনে নিয়োজিত ছিলেন।
তবে শর্ত হচ্ছে যে ,সরকারী মালিকানাধীন এবং [সরকার] কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে পরিচালিত কোনো দোকানে অথবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানে এই  আইনের বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবেনা এবং এই সকল  প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা (Government Servant Conduct Rules) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবেন ।

ধারা-২। সংজ্ঞাসমূহ (Definitions) :
বিষয় ও প্রসঙ্গের বিপরীত না হইলে এই আইন অনুযায়ী -
(ক) ‘শিক্ষানবিস’  অর্থ, যে ব্যক্তি কাজ শিখিতেছে এবং শিক্ষাকালীন সময়ে ভাতা পাইয়া থাকে, তাহাকে বুঝাইবে;
(খ) ‘বদলী’ অর্থ, সাময়িকভাবে অনুপস্থিত স্থায়ী বা শিক্ষানবিস শ্রমিকের জায়গায় যে শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(গ) ‘সাময়িক শ্রমিক’ অর্থ, যেই ই শ্রমিককে সাময়িকভাবে কাজে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(ঘ) ‘বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান’ অর্থ, বিজ্ঞাপন প্রচার, কমিশন অথবা মাল চালান দেওয়া ধরনের ব্যবসায় নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান, অথবা কোনো বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং তত্‍সহ যেই ই কোনো কারখানা বা বাণিজ্যিক সংস্থার কেরাণীর কাজ সংক্রান্ত বিভাগ, কোনো বাণিজ্যিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের সহিত ব্যবসায়ের চুক্তিতে আবদ্ধ যে কোনো ব্যক্তি কর্মচারী নিয়োগ করিয়া ব্যবসায় করিয়া থাকে, তাহার অফিস, কোনো এজেন্ট, যুক্ত স্টক কোম্পানির যে কোনো ইউনিট, যে কোনো বীমা কোম্পানি, যেই  কোনো ব্যাংকিং কোম্পানি বা ব্যাংক, কোনো ব্রোকারের অফিস বা শেয়ার বাজার, কোনো ক্লাব, কোনো হোটেল বা রেস্তোরা বা খাবারের দোকান, কোনো সিনেমা বা থিয়েটার, কিংবা সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া যেই  কোনো শ্রেণীর প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে এই আইনের আওতাভুক্ত বলিয়া ঘোষণা করিবেন;
(ঙ) ‘ডাইরেক্টর অব লেবার’ অর্থ, সরকার কর্তৃক উক্ত পদে নিযুক্ত অফিসার;
(চ) ‘চাকুরী  হইতে অপসারণ’ অর্থ, দৈহিক বা মানসিক দিক হইতে অক্ষমতা বা ক্রমাগত অসুস্থতা বা এই  ধরনের, অনুরূপ প্রকৃতির অন্য যেই  কোনো কারণে যাহা অসদাচারণ নহে, মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা;
(ছ) ‘বরখাস্তকরণ’ অর্থ, অসাদচরণের জন্য মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা;
(জ) ‘মালিক’ অর্থ কোনো দোকানে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ও ব্যবস্থাপনায় অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি, বিধিবদ্ধ সংস্থা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান, তাহাদের উত্তরাধিকারী বা বংশগত উত্তরাধিকারী (অবস্থানুযায়ী যেইরূপ হইবে), এবং তত্‍সহ নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ :-
(i) কোনো কারখানায় উহার ম্যানেজার;
(ii) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বা উহার পক্ষে পরিচালিত কোনো দোকানে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অফিসার, প্রধান নির্বাহী অফিসার; এবং
(iii) অন্য যেই  কোনো দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ডাইরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারী, এজেন্ট ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট এবং উহার তদারক ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য যেই  কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তি;
(ঝ) ‘ধীরে কাজ করা’ অর্থ একদল শ্রমিক কর্তৃক সংঘবদ্ধভাবে উদ্দেশ্যমূলক ও ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাভাবিক কাজের গতি বা উত্‍পাদন মন্থর করা এবং যাহা যান্ত্রিক গোলযোগ, যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার, বিজলী সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার বা খুচরা যন্ত্রপাতি বা স্বাভাবিক মাল-মশলা সরবাহের কারণে সংঘটিত হয়নি;

(ঞ) ‘শিল্প প্রতিষ্ঠান’ অর্থ কোনো কারখানা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, যেইখানে কোনো পণ্য উত্‍পাদন, সংযোজন বা প্রস্তুত করা হয়, অথবা যেইখানে ব্যবহার, পরিবহন, বিক্রয় বা চালান দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোনো দ্রব্য বা দ্রব্যাংশ তৈয়ার করা, পরিবর্তন করা, মেরামত করা, ঝালাই করা, শ্রীবৃদ্ধি করা বা প্যাকিং করা হয়, অথবা নৌযানসহ অন্য যেই  কোনো শ্রেণীর যানবাহন, যাহাকে সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এই  আইনের আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করিবেন, এবং তত্‍সহ -
(i) যেই  কোনো মোটর বা বাস সার্ভিস;

‌(ii) যেই  কোনো ডক পোতাশ্রয় বা জেটি;
(iii) যেই  কোনো খনি, গ্যাসফিল্ড বা তৈল উত্তোলন ক্ষেত্র,
(iv) যেই  কোনো বাগান; অথবা
(v) ১৯৬৫ সালের কারখানা আইনে নির্দেশিত যেই  কোনো কারখানা বুঝাইবে;
(ট) ‘শ্রম আদালত’ অর্থ, ১৯৬৯ সালের শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশ অনুসারে গঠিত যেই  কোনো আদালত ;
(ঠ) ‘লে-অফ’ অর্থ, কয়লা, বিজলী বা কাঁচামালের স্বল্পতা বা মওজুদ মালের জন্য বা যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া বা অন্য কোনো কারণে মালিক কর্তৃক তাহার দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে নাম অন্তর্ভুক্ত  রহিয়াছে, এইরূপ শ্রমিককে চাকুরীতে বহাল রাখিতে ব্যর্থতা ও অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা প্রকাশ করা;
(ড) ‘স্থায়ী শ্রমিক’ অর্থ, স্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিক বা সংশ্লিষ্ট দোকানে বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত যেই  শ্রমিক শিক্ষানবিসের মেয়াদ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়াছে;
(ঢ) ‘বাগান’ অর্থ, সিংকোনা, রাবার, কফি বা চা উত্‍পাদনের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত বাগান এবং তত্‍সহ চিনিকলের অধীনস্থ ইক্ষু চাষের খামার, যেইখানে  উক্ত উদ্দেশ্যে পঁচিশ জন বা ততোধিক ব্যক্তিকে কাজে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(ণ) ‘সরকারী কর্মচারী’ অর্থ, ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ২১ ধারায় যাহাদিগকে বুঝানো হইয়াছে ;
(ত)’শিক্ষানবিস’ অর্থ, কোনো স্থায়ী পদ পূরণের জন্য অস্থায়ীভাবে কর্মে নিযুক্ত শ্রমিক, যাহার শিক্ষানবিস হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় নাই;
(থ) ‘ছাঁটাই’ অর্থ, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে না হইয়া অনাবশ্যকতা হেতু মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান ঘটানো;
(দ) ‘দোকান’ অর্থ, ইস্ট বেঙ্গল শপ্স এ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্টস অ্যাক্ট, ১৯৫১ দ্বারা যেই  সমস্ত দোকান বুঝানো হইয়াছে ;
(ধ) ‘অস্থায়ী শ্রমিক’ অর্থ, মূলত অস্থায়ী ধরনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিক এবং অল্প কিছুদিন পর যাহার কাজ শেষ হইবে;
(ন) ‘ট্রেড ইউনিয়ন’ অর্থ, ১৯৬৯ সালের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের অধীনে রেজিষ্ট্রিকৃত ইউনিয়ন;
(প) ‘মজুরী’ অর্থ, ১৯৩৬ সালের মজুরী প্রদান আইন অনুসারে সংজ্ঞায়িত মজুরী;
(ফ) ‘শ্রমিক’ অর্থ, কোনো দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, দৈহিক, কারিগরী, বাণিজ্য-সংক্রান্ত বা কেরাণীগিরী ধরনের কাজ করিবার জন্য মজুরী প্রদানের ভিত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তি (শিক্ষানবিশসহ), তাহার চাকুরীর শর্ত ব্যক্ত বা অব্যক্ত, যেই রূপ হইয়া থাকুক না কেন, কিন্তু নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ উহার অন্তর্গত হইবে না-
(i) প্রধানত ব্যবস্থাপনা -সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি; অথবা,
(ii) তদারকির কাজে নিযুক্ত সেই ব্যক্তি, যেই ব্যক্তি তাহার দায়িত্ব হিসাবে, অথবা প্রাপ্ত ক্ষমতার বলে ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বা প্রশাসনিক ধরনের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকে।

ধারা-৩। চাকুরীর শর্তাবলী (Conditions of employment) :

(১) প্রত্যেক দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের চাকুরী  এবং তত্‍সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় এই  আইনের বিধান অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হইবে।
তবে শর্ত এই যে, যেই  কোনো দোকানে, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের বা যেই  কোনো শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকুরী  নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব বিধিমালা থাকিতে পারে, কিন্তু উক্ত বিধিমালা শ্রমিকদের নিকট এই  আইনের বিধান অপেক্ষা কম অনুকূল হইলে চলিবে না।
(২) উপধারা (১)-এর শর্তে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে কোনো দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বা কোনো শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকুরী  নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কোনো চাকুরী-বিধি থাকিলে, উহা ৩০ ধারার অধীনে নিযুক্ত ইন্সপেক্টরের নিকট উক্ত দোকানের বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক অনুমোদনের জন্য পাঠাইবেন এবং ইন্সপেক্টরের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত চাকুরী-বিধি কার্যকর করা যাইবে না।
(৩) ইন্সপেক্টরের আদেশের ফলে অসন্তুষ্ট যে কোনো ব্যক্তি উক্ত নির্দেশ জারীর ত্রিশ দিনের মধ্যে চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং তিনি ইন্সপেক্টরের আদেশ বহাল রাখিতে, সংশোধন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবেন।
(৪) চীফ ইন্সপেক্টরের আদেশের বিরুদ্ধে তাঁহার নির্দেশ জারির ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট দ্বিতীয় আপিল করা যাইবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

ধারা-৪। শ্রমিকদের শ্রেণীবিভাগ এবং শিক্ষানবিশীর সময়-সীমা (Classification of workers and period of probation) :
(১) কোনো দোকানে বা বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিযুক্ত শ্রমিককে তাহার কাজের প্রকৃতি ও শর্ত অনুযায়ী এবং এই  আইনের বিধানমতে নিম্নোক্ত যেই  কোনো শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত  করিতে হইবে :
(ক) শিক্ষানবিশ                   (ঘ) স্থায়ী
(খ) বদলী                         (ঙ) শিক্ষানবিশ এবং
(গ) সাময়িক                      (চ) অস্থায়ী।

(২) কেরানীগিরি ধরনের কাজে নিযুক্ত হইলে শ্রমিকের শিক্ষানবিশ থাকার সময়-সীমা ছয় মাস হইবে এবং অন্য ধরনের শ্রমিকদের বেলায় উক্ত সময়-সীমা তিন মাস হইবে। ছুটির জন্য কর্ম-বিরতি, বে-আইনী ‘লক-আউট’ বা ধর্মঘট (বে-আইনী ধর্মঘট নহে) চলাচালীন সময়ও উহার অন্তর্ভুক্ত  হইবে ।
তবে শর্ত এই  যে,  কোনো দক্ষ শ্রমিকের বেলায় তিন মাস  শিক্ষানবিশ থাকার সময় যদি কোনো কারণে তাহার যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব না হইয়া থাকে, তবে সেই ক্ষেত্রে তাহাকে শিক্ষানবিশ রাখার সময়-সীমা অতিরিক্ত তিন মাস বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
(৩) শিক্ষানবিশ থাকার সময়-সীমার মধ্যে উপধারার বিধানমতে দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তিন মাস কোনো শ্রমিককে চাকুরী  হইতে বরখাস্ত করা হইলে একই মালিক যদি তাহাকে পরবর্তী  তিন বত্‍সরের মধ্যে কোনো সময় চাকুরীতে নিযু্ক্ত করিয়া থাকেন, তবে স্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত না করা হইয়া থাকিলে তাহাকে শিক্ষানবিশ শ্রমিক বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তাহার মোট শিক্ষানবিশীর সময়-সীমার হিসাবের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষানবিশী সময়কালকে অন্তর্ভুক্ত  করিতে হইবে।
(৪) কোনো স্থায়ী শ্রমিককে কোনো নূতন পদে শিক্ষানবিশ নিয়োগ করা হইলে শিক্ষানবিশী সময়কালের মধ্যে যেই  কোনো সময় তাহার পুরাতন স্থায়ী পদে চলিয়া আসিতে পারে।
[১৯৯৪ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং প্রশ্নের উত্তরের শেষ অংশ]।

ধারা-৫। ছুটি ও অবকাশ (Leave and holidays) :
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-৫। ছুটি ও অবকাশ (Leave and holidays) :
(১) দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিযুক্ত শ্রমিকগণ ১৯৫১ সালের ইস্ট বেঙ্গল শপস এ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্টস অ্যাক্ট, ১৯৬৫ সালের ফ্যাক্টরীজ অ্যাক্ট এবং বর্তমানে প্রচলিত অন্য যে কোনো আইনে নির্দিষ্ট করা যাবতীয় সবেতন ছুটি ও অবকাশ ভোগ করিবার অধিকারী এবং তত্‍সহ সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকার শ্রমিকদের জন্য আরও যেই  সকল অবকাশ ঘোষণা করিবেন, তাহাসহ তাহারা সবেতন ভোগ করিতে পারিবে।
(২) কোনো শ্রমিক কাজে অনুপস্থিত থাকিয়া ছুটি লইতে চাহিলে উক্ত উদ্দেশ্যে তাহাকে মালিকের নিকট ছুটির ঠিকানা উল্লেখসহ লিখিতভাবে দরখাস্ত করিতে হইবে এবং মালিক বা তাহার ভারপ্রাপ্ত অফিসার দরখাস্ত দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে এবং ছুটি আরম্ভের দুই দিন পূর্বে (যাহা পূর্বে  হয়) উক্ত দরখাস্তের উপর তাঁহার আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন।
তবে শর্ত এই যে,  জরুরী প্রার্থিত ছুটি যদি দরখাস্ত করিবার দিন হইতে বা উহার তিন দিনের মধ্যে শুরু হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে মালিকের বা তাঁহার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের আদেশে দরখাস্ত করিবার দিনই দিতে হইবে। প্রার্থিত ছুটি মঞ্জুর করা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে ছুটির একটি ছাড়পত্র দিতে হইবে। আর ছুটির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা বা মূলতবী রাখা হইলে তাহার কারণ উল্লেখসহ মালিককে উক্ত উদ্দেশ্যে রক্ষিত একটি রেজিষ্ট্রারে উহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ছুটিতে যাওয়ার পর শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে চায় এবং যদি বর্ধিত মেয়াদের জন্য ছুটি পাওনা থাকে, তবে তাহাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার যথেষ্ট পূর্বে  মালিকের নিকট ছুটির মেয়াদ বাড়াইবার আবেদনপত্র লিখিয়া পাঠাইতে হইবে এবং মালিক যতদূর সম্ভব শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় বর্ধিত ছুটির আবেদন প্রত্যাখান বা মঞ্জুর করা সম্পর্কে স্বীয় সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানাইবেন।
(৩) প্রথমে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদ বা পরে মঞ্জুরকৃত বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যদি শ্রমিক কাজে অনুপস্থিত থাকে, তবে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী  দশ দিনের মধ্যে কাজে যোগদান না করিলে এবং যথাসময়ে কাজে যোগদান না করিবার সম্পর্কে মালিকের সন্তুষ্টি মোতাবেক কৈফিয়ত না দিলে তাহার চাকুরীর অধিকার হারাইবার সম্ভাবনা থাকিবে।
তবে শর্ত এই  যে, এই  ধারা অনুসারে শ্রমিক যদি তাহার চাকুরীর অধিকার হারায়, তাহা হইলে অতীত চাকুরীর জন্য আইন অনুযায়ী যেই সকল সুযোগ-সুবিধা তাহার প্রাপ্য হইয়াছে, তাহা হইতে তাহাকে বঞ্চিত করা যাইবে না এবং সম্ভব হইলে তাহাকে ‘বদলী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত  করিয়া রাখিতে হইবে।
আরও শর্ত এই  যে , উক্ত শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চাকুরীতে ফিরিয়া আসিতে না পারার কারণ দর্শাইয়া মালিকের নিকট সন্তোষজনক কৈফিয়ত দিতে ব্যর্থ হয়, তবে মালিক দোষ লাঘব করিবার মতো পরিস্থিতি থাকিলে উহা বিবেচনা করিয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে শ্রমিকের প্রত্যাবর্তনের তারিখ হইতে অনধিক সাত দিনের জন্য তাহাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং শ্রমিক ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হইতে অনুপস্থিত থাকাকালীন সময়ের এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকার সময়ের বেতন হইতে বঞ্চিত হইবে, তাহা হইলে উক্ত শ্রমিক চাকুরীর অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে না।

(৪) যদি একজন শ্রমিকের চাকুরীর, যাহার কোনো বার্ষিক ছুটি [১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন], [১৯৬৫ সালের কারখানা অাইন] অথবা সাময়িকভাবে প্রযোজ্য অন্য যেই কোনো আইনের বিধান অনুযায়ী পাওনা থাকে এবং এই ছুটি উপভোগ করিবার আগে ছাঁটাই, কর্মচ্যুতি, বরখাস্ত, অবসান, অবসরগ্রহণ অথবা তাহার পদত্যাগের কারণে তাহার চাকুরীর অবসান হয়, তাহা হইলে অনুরূপ ভোগ্য ছুটির পরিবর্তে তিনি যে হারে মজুরী পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, ছুটির সময়ে উক্ত আইনসমূহের বিধান অনুযায়ী সেই হারে মালিক তাহাকে মজুরী প্রদান করিবেন এবং এই মজুরী চাকুরীর অবসানের পরবর্তী দ্বিতীয় কর্মদিবস শেষ হইবার পূর্বে প্রদান করিতে হইবে।

 
ধারা-৬। কাজ বন্ধ রাখা (Stoppage of work) :
(১) যে কোনো সময় অগ্নিকান্ড, আকস্মিক বিপদ, যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া, বিজলী সরবরাহ বন্ধ হওয়া, মহামারী, রাজনৈতিক গোলযোগ অথবা মালিকের আয়ত্ব বহির্ভুত অন্য যে কোনো কারণে মালিক তাহার দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে বা উহার যে কোনো শাখা যে  কোনো সময়ের জন্য বন্ধ রাখিতে পারিবেন।
(২) কাজের সময়ের পরে উক্তরূপে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হইলে মালিক কারখানার বেলায় উহা সংশিষ্ট শাখার নোটিশ বোর্ডে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো প্রকাশ্য স্থানে নোটিশ লটকাইয়া কবে কাজ পুনঃআরম্ভ হইবে এবং বন্ধ থাকার সময় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ কর্মস্থলে থাকিবেন কিনা, তাহা স্পষ্ট করিয়া লিখিয়া জানাইবেন।
(৩) কাজের সময়ের মধ্যে উক্তরূপে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হইলে মালিক কারখানার বেলায় উহার সংশ্লিষ্ট শাখার নোটিশ বোর্ডে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো প্রকাশ্য স্থানে নোটিশ লটকাইয়া কাজ কবে পুনঃআরম্ভ হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণ তাহাদের কর্মস্থল ত্যাগ করিয়া যাইবে, না কর্মস্থলে উপস্থিত থাকিবে, তাহা স্পষ্ট করিয়া লিখিয়া জানাইবেন।
(৪) অনুরূপভাবে কাজ বন্ধ হওয়ার দরুন শ্রমিকগণ আটকা পড়িয়া গেলে-
(ক) আটকা পড়িবার মেয়াদ অনধিক এক ঘন্টা হইলে তজ্জন্য শ্রমিকের কিছুই পাওনা হইবে না;
(খ) এক ঘন্টার বেশি সময় আটকা থাকিলে শ্রমিক পুরা আটক থাকাকালীন সময়ের জন্য বেতন পাইবে।
(৫) কাজ বন্ধ রাখার মেয়াদ যদি একদিনের কাজের সময়ের অতিরিক্ত না হয়, তবে উপধারা (৪)-এর অনুচ্ছেদ (খ) অনুসারে বেতন পাওনা না হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ উহার জন্য কোনো বেতন পাইবে না; কিন্তু কাজ বন্ধ রাখার মেয়াদ যদি একদিনের কাজের সময়ের অতিরিক্ত হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ (বদলী ও সাময়িক শ্রমিক বাদে) একদিনের কাজের সময়ের অতিরিক্ত প্রতিদিনের জন্য বেতন পাইবে, এবং কাজ বন্ধ রাখার মেয়াদ একদিনের কাজের সময়ের অতিরিক্ত হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ (বদলী ও সাময়িক শ্রমিক বাদে) একদিনের কাজের সময়ের অতিরিক্ত প্রতিদিনের জন্য বেতন পাইবে, এবং কাজ বন্ধ রাখার মেয়াদ তিন দিনের অতিরিক্ত হইলে ৯ ধারার বিধান মোতাবেক সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদিগকে লে-অফ করা যাইতে পারে এবং উক্ত লে-অফ কাজ বন্ধ হওয়ার দিন হইতে কার্যকরী হইবে, এবং প্রথম তিন দিনের জন্য শ্রমিকদিগকে কোনো বেতন দেওয়া থাকিলে, তাহা লে-অফ বাবদ তাহাদের পাওনা কাটিয়া লওয়া যাইবে।
তবে শর্ত এই  যে,  ঠিকা শ্রমিকের বেলায় পূর্ববর্তী মাসে তাহার প্রতিদিনের গড় আয়ের হিসাব করিয়া পূর্ববর্তী উপধারা মোতাবেক প্রাপ্য মজুরীর হার নির্ণয় করিতে হইবে।
(৬) কোনো দোকানের, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোনো এক শাখায় বা বিভাগে ধর্মঘট চলিলে, উক্ত শাখা বা বিভাগ অথবা উহার দ্বারা প্রভাবিত অন্য যেই  কোনো শাখা বা বিভাগ মালিক সম্পূর্ণ বা আংশিকভাব বন্ধ রাখিতে পারিবেন  এবং অনুরূপ বন্ধ রাখার সময়ের জন্য শ্রমিকগণ কোনো বেতন পাইবে না।
তবে শর্ত এই  যে,  মালিক উক্ত বন্ধ রাখার বিষয়টি কারখানা হইলে উহার সংশ্লিষ্ট শাখায় বা বিভাগের নোটিশ বোর্ডে ও তত্‍সহ টাইম কিপারের অফিস থাকিলে, তাহার নোটিশ বোর্ডে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেলায় উহার কোনো প্রকাশ্য স্থানে বিজ্ঞপ্তির আকারে লটকাইয়া দিবেন এবং উক্ত বন্ধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে কোন তারিখ হইতে কাজ পুনঃআরম্ভ হইবে, উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে তাহারও উল্লেখ থাকিতে হইবে।

ধারা-৭। অব্যাহত চাকুরীর ‘এক বছর’ বা ‘ছয় মাস’ হিসাব (Calculation of ‘one year’ or ‘six months’ of continuous service) :
এই আইনের উদ্দেশ্যে কোনো শ্রমিক কোনো দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী ১২ টি পঞ্জিকা মাসে প্রকৃতপক্ষে যথাক্রমে অন্যূন দুইশত চল্লিশ দিন ও একশত চল্লিশ দিন কাজ করিয়া থাকিলে যথাক্রমে এক বছর ও ছয় মাস কাজ করিয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং সেইভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাহার অব্যাহত চাকুরীর হিসাব গণনা করিতে হইবে।

ধারা-৮। ৬, ৯, ১০ এবং ১১ ধারা প্রয়োগে বিধি-নিষেধ (Restrictions of applications of sections6, 9, 10 and 11) :
এই আইনের অন্যত্র যাহাই থাকুক না কেন-
(ক) পাঁচজন বা ততোধিক সংখ্যক শ্রমিক যেইখানে  চাকুরীতে নিযুক্ত নাই, অথবা পূর্ববর্তী ১২ মাসে নিযুক্ত ছিল না, সেই সকল  দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেলায় ৬, ৯, ১০ এবং ১১ ধারার বিধানসমূহ প্রয়োজন হইবে না;
(খ) চাকুরীতে নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা যাহাই হউক না কেন, সংশ্লিষ্ট দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি মওসুমী ধরনের হয় এবং সেইখানে যদি মাঝে মাঝে কাজ হইয়া থাকে, তবে তাহাদের ক্ষেত্রেও ৯ হইতে ১১ পর্যন্ত ধারাগুলি প্রযোজ্য হইবে না।
তবে শর্ত এই  যে,  কোনো দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠান মওসুমী ধরনের কিনা এবং উহাতে মাঝে মাঝে কাজ চলে কিনা, এই  প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে সেই সম্পর্কে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
আরও শর্ত এই যে, যেই সমস্ত দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেলায় এই ধারার (খ) অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য, তাহাদের মালিককে ৬ ধারার (৫) উপধারার অধীনে কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে লে-অফ হইলে ৯ হইতে ১১ ধারাগুলি অনুসরণের প্রয়োজন নাই।

ধারা-৯।‘লে-অফ’ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের অধিকার (Rights of the laid-off workers for compensation):

(১) যে  শ্রমিকের নাম (বদলী বা সাময়িক শ্রমিক বাদে) কোনো দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলের অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে এবং মালিকের অধীনে যাহার অব্যাহতভাবে অন্যূন এক বছর পূর্ণ হইয়াছে, তাহাকে লে-অফ করা হইলে মালিক তাহাকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলি বাদে লে-অফের অবশিষ্ট সমস্ত দিনগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার মোট মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক এবং আবাসিক ভাতা, যদি থাকে, পূর্ণ অংশ প্রদান করিবেন।
তবে শর্ত এই  যে , বদলী শ্রমিক যদি অব্যাহত চাকুরীর এক বত্‍সর পূর্ণ করিয়া থাকে এবং তাহার নাম যদি সংশ্লিষ্ট দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভূক্ত থাকে, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রে এই  ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
আরও শর্ত এই যে, মালিকের সহিত বিপরীত কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ না হইয়া থাকিলে কোনো শ্রমিক উপরে বর্ণিত পদ্ধতি মোতাবেক কোনো পঞ্জিকা বত্‍সরের জন্য ৪৫ দিনের বেশি ক্ষতিপূরণ পাইবে না।
(২) উপধারা (১)-এর শর্তে যেই  বিধানই থাকুক না কেন, কোনো শ্রমিককে যদি একটি পঞ্জিকা বত্‍সরের একটানা বা বিরতিসহ ৪৫ দিনের বেশি লে-অফ করিয়া রাখা হইয়া থাকে এবং প্রথম ৪৫ দিন পর লে-অফের মেয়াদ যদি ১৫ দিন বা উহার বেশি হয়, তাহা হইলে (মালিকের সহিত তাহার বিপরীত কোনো চুক্তি না হইয়া থাকিলে) উক্ত শ্রমিককে পরবর্তী  ১৫ বা ততোধিক দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার মূল বেতনের ও মহার্ঘ ভাতার এক-চতুর্থাংশ এবং সম্পর্ণূ আবাসিক ভাতা, যদি থাকে, তাহা দিতে হইবে।
(৩) কোনো ক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক একটি পঞ্জিকা বত্‍সরে প্রথম ৪৫ দিন লে-অফের পর পুনরায় ১৫ দিন বা তাহার অধিক দিনের জন্য লে-অফ করিবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, মালিক তাহাকে লে-অফ করিবার পরিবর্তে ১২ ধারা মোতাবেক ছাঁটাই করিতে পারিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-১০। ‘লে-অফ’ শ্রমিকদের মাস্টার রোল  (Master-roll of laid –off workers) :
কোনো দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বা উহার কোনো শাখার শ্রমিকদের লে-অফ করা সত্ত্বেও মালিকের কর্তব্য হইবে, তাহাদের একটি মাস্টার রোল রাখা এবং লেইড-অফ শ্রমিকগণ যাহাতে নিজেরা উপস্থিত হইয়া বা তাহাদের প্রতিনিধিদের মারফত স্বাভাবিক কাজ চলিবার দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় উক্ত মাস্টার রোলে স্বাক্ষর করিতে পারে, তাহার ব্যবস্থা করা।
ধারা-১১। কতিপয় ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ পাইবে না (Workers not entitled to compensation in certain cases) :
এই  আইনের অন্যত্র যে বিধানই থাকুক না কেন, নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে লে- অফ শ্রমিক কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ পাইবে না :-
(ক) একই দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে, যেই  স্থানে তাহাকে লে-অফ করা হইয়াছে, অথবা একই মালিকের অধীনস্থ অন্য কোনো দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে, যাহা একই শহরে বা গ্রামে অবস্থিত অথবা প্রথমোক্ত দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠান হইতে পাঁচ মাইলের মধ্যে অবস্থিত, যদি তাহাকে একই বেতনে কোনো বিকল্প চাকুরী  দেওয়া হয় এবং তজ্জন্য কোনো বিশেষ দক্ষতার বা পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন না হয়, তথাপি যদি সে উহা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিয়া থাকে;
(খ) মালিক চাহিলে সে যদি দিনে অন্তত কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কাজের জন্য সংশিষ্ট দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে হাজিরা না দিয়া থাকে; অথবা
(গ) সংশ্লিষ্ট দোকানের বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্য অংশে ধর্মঘটের কারণে যদি উক্ত লে-লফ শুরু হইয়া থাকে।

ধারা-১২। ছাঁটাইয়ের শর্ত (Conditions of retrenchment) :
কোনো দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কোনো শ্রমিকের অব্যাহত চাকুরীর অন্যূন এক বত্‍সর পূর্ণ হইয়া থাকিলে নিম্নোক্ত শর্ত পূরণ ছাড়া মালিক তাহাকে ছাঁটাই করিতে পারিবে না।
(ক) ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখপূর্বক শ্রমিককে এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা তত্‍পরিবর্তে শ্রমিককে নোটিশ মেয়াদের বেতন দিতে হইবে;
(খ) ছাঁটাই সংক্রান্ত উক্ত নোটিশের একটি কপি চীফ ইন্সপেক্টর বা তত্‍কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত অন্য কোনো অফিসারকে দিতে হইবে;
(গ) ছাঁটাই করিবার সময় শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতি সম্পূর্ণ এক বত্‍সরের চাকুরীর জন্য, অথবা ছয় মাসের অধিক সময়ের জন্য [৩০] দিনের বেতন অথবা গ্র্যাচুইটি, যদি পাওনা হয়, যাহা বেশি হইবে, পরিশোধ করিতে হইবে।
তবে শর্ত এই  যে, ৯ ধারার উপধারা (৩) অনুসারে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা হইলে অনুচ্ছেদ (ক) মোতাবেক তাহাকে নোটিশ দেওয়ার আবশ্যকতা নাই, কিন্তু অনুরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ বা গ্র্যাচুইটি ছাড়াও অতিরিক্ত ১৫ দিনের বেতন অনুচ্ছেদ (গ) মোতাবেক পরিশোধ করিতে হইবে।

ধারা-১৩। ছাঁটাইয়ের পদ্ধতি (Procedure for retrenchments) :
কোনো বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিক ছাঁটাই করিতে হইলে, শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে অন্য কোনো চুক্তি না থাকিলে মালিক সাধারণত সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর শ্রমিকদের মধ্যে সকলের শেষে যেই  ব্যক্তি চাকুরিতে নিযুক্ত হইয়াছে, তাহকে সর্বাগ্রে ছাঁটাই করিবেন; ছাঁটাইয়ের কারণ লিখিতভাবে জানাইবার আবশ্যকতা না থাকিলে মালিক অন্য যেই  কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করিতে পারিবেন।

ধারা-১৪। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের পুর্ননিয়োগ (Re-employment of retrenched workers) :
কোনো প্রতিষ্ঠানে যত শ্রমিক ছাঁটাই হইয়া থাকুক না কেন, উক্ত ছাঁটাইয়ের দিন থেকে এক বত্‍সরের মধ্যে মালিক তাঁহার প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যক্তিকে চাকুরীতে নিযুক্ত করিতে চাহিলে, তিনি সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর ছাঁটাইকৃত শ্রমিকগণকে উক্ত নিয়োগের বিষয়ে সুযোগ প্রদান করিবেন এবং উক্ত উদ্দেশ্যে তাহাদের সর্বশেষ জানা ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করিবেন এবং চাকুরীতে পুনর্নিযুক্তির উদ্দেশ্যে উক্ত নোটিশ প্রাপ্ত ছাঁটাইকৃত শ্রমিকগণ চাকুরীতে পুনর্নিযুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করিলে অন্যদের তুলনায় তাহাদিগকে অগ্রাধিকার দিতে হইবে এবং তাহাদের প্রত্যেককে উক্ত মালিকের অধীনে চাকুরীর মেয়াদের দৈর্ঘ্য অনুসারে অন্যের তুলনায় অগ্রাধিকার লাভের অধিকারী হইবে।

ধারা-১৫। জরিমানা (Fine) :
১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের বিধান মোতাবেক কোনো শ্রমিককে জরিমানা করা যাইতে পারে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-১৬। চাকুরী  হইতে অপসারণ (Discharge) :
দৈহিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে অসদাচরণের পর্যায়ে পড়ে না, অনুরূপ অন্য কোনো কারণে শ্রমিকদের চাকুরী  হইতে অপসারণ করা যাইতে পারে।
তবে শর্ত এই  যে,  অব্যাহত চাকুরী  অন্যূন এক বত্‍সর পূর্ণ হইয়া থাকিলে এবং সেই শ্রমিককে অপসারণ করা হইলে মালিক তাহাকে প্রতি এক বত্‍সরের বা ৬ মাসের অধিক চাকুরীর জন্য ৩০ দিনের করিয়া বেতন অথবা গ্র্যাচুইটি যদি উহা পাওনা হয়, এবং যাহা পরিমাণে অধিক, প্রদান করিবেন।

ধারা-১৭। চাকুরী  হইতে বরখাস্তকরণ (Dismissal from service) :
(১) এই  আইনের অন্যত্র লে-অফ, ছাঁটাই, চাকুরীচ্যুতি ও চাকুরি অবসান  সম্পর্কে যেইরূপ বিধানই থাকুক না কেন, একজন শ্রমিক-
(ক) কোনো অপরাধরে দরুন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে পূর্বাহ্নে কোনো নোটিশ না দিয়া বা তত্‍পরিবর্তে বেতন বা কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়া বরখাস্ত করা যাইবে;
(খ) ১৮ নং ধারা অনুসারে অসদাচরণের দরুন দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহাকে পূর্বাহ্নে কোনো নোটিশ না দিয়া বা তত্‍পরিবর্তে বেতন না দিয়া বরখাস্ত করা যাইবে।
তবে শর্ত এই  যে,  বরখাস্তকৃত শ্রমিকের একটানা চাকুরীর মেয়াদ এক বত্‍সরের কম না হইলে মালিক তাহাকে ক্ষতিপূরণস্বরূপ প্রতি এক বত্‍সরের বা ছয় মাসের অধিক চাকুরীর দরুন চৌদ্দ দিনের বেতন অথবা গ্র্যাচুইটি যাহা বেশি হয়, দিবেন।
(২) কোনো শ্রমিক অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে দন্ড লঘু করিবার যেই  কোনো অবস্থা বিবেচনা করিবার পর উপধারা (১)-এর বিধানমতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বরখাস্ত না করিয়া কর্মচ্যুত, কিংবা মজুরী, অথবা জীবিকা ভাতা ভিন্ন অনধিক সাতদিনের জন্য বরখাস্ত করা যাইতে পারে এবং এই  সময় ১৮ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য (যদি এইরূপ তদন্ত হইয়া থাকে), শ্রমিকের সাময়িক বরখাস্তের অন্তর্ভুক্ত  বা অতিরিক্ত হইতে পারে, কিংবা তাহাকে অন্য প্রকার লঘু দন্ড দেওয়া যাইতে পারে।

ধারা-১৮। শাস্তিদানের পদ্ধতি (Procedure for punishment) :
(১) নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ ছাড়া কোনো শ্রমিককে চাকুরী  হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করিবার আদেশ জারি করা যাইবে না:
(ক) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে;
(খ) লিখিত অভিযোগের একটি কপি তাহাকে দিতে হইবে এবং কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য তাহাকে অন্যূন তিন দিনের সময় দিতে হইবে;
(গ) অনুরোধ করিলে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হইয়া বক্তব্য পেশের সুযোগ দিতে হইবে; এবং
(ঘ) অনুরূপ আদেশে মালিকের বা ম্যানেজারের অনুমোদন থাকিতে হইবে।
(২) অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত শ্রমিককে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে সাসপেন্ড করা যাইতে পারে এবং বিষয়টি কোনো আদালতে বিচারাধীন না থাকিলে উক্ত সাসপেনশনের মেয়াদ ষাট দিনের অধিক হইবে না।
তবে শর্ত এই যে,  যতদিন সাসপেন্ড করিয়া রাখা হইবে, ততদিন মালিক উক্ত শ্রমিককে মহার্ঘ ভাতা থাকিলে উহাসহ গড় বেতনের অর্ধেক হিসাবে জীবন ধারণের ভাতা প্রদান করিবেন।
(৩) সাসপেনশনের আদেশ লিখিতভাবে দিতে হইবে এবং শ্রমিককে, পেঁ ৌছাইয়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উহা কার্যকরী হইবে।
(৪) তদন্তের পর যদি আনীত অভিযোগসমূহের কোনো একটি সম্পর্কে শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত হয় এবং ১৭ ধারার উপধারা (১) অনুসারে তাহাকে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহা হইলে তদন্তের জন্য সাসপেনশনের সময়কালে কোনো বেতন সে পাইবে না, কিন্তু উপধারা (২)- এর শর্তে উল্লিখিত জীবন-ধারণ ভাতা তাহাকে দিতে হইবে।
(খ) শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হইলে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য যতদিন তাহাকে সাসপেন্ড করিয়া রাখা হইয়াছিল, ততদিন সে ডিউটিতে হাজির ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সময়কালের বেতন তাহার প্রাপ্য হইবে এবং জীবন-ধারণ ভাতা হিসাবে তাহাকে যাহা দেওয়া হইয়াছে, তাহা উক্ত প্রাপ্য বেতন হইতে বাদ যাইবে।
(গ) শাস্তি দেওয়া হইলে উক্ত শাস্তি দানের আদেশ সম্বলিত পত্রের একটি কপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে দিতে হইবে।
(৫) মালিক কর্তৃক প্রদত্ত কোনো নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোনো দলিল গ্রহণ করিতে যদি শ্রমিক অস্বীকার করিয়া থাকে,তবে ধরিয়া লইতে হইবে যে  উক্ত, নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা দলিল উক্ত শ্রমিককে অর্পণ করা হইয়াছে, যদি উহার একটি কপি অফিসের নোটিশ বোর্ডে লটকাইয়া দেওয়া হইয়া থাকে এবং অপর একটি কপি মালিকের অফিসের রেকর্ডে প্রাপ্ত ঠিকানায় উক্ত শ্রমিকের নিকট রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হইয়া থাকে।
(৬) এই  আইন অনুসারে শাস্তি দানের সময় শ্রমিকের অসদাচরণের মাত্রা, তাহার চাকুরীর পূর্ববর্তী রেকর্ড (যদি কিছু থাকিয়া থাকে) এবং অন্য কোনো ক্ষমার যোগ্য বিষয় বা পরিস্থিতির অবনতি সাধক অবস্থা বিদ্যমান থাকিলে, তাহা মালিক বিবেচনা করিয়া দেখিবেন।
(৭) পূর্ববর্তী বর্ণিত উপধারাসমূহে বা এই  আইনের অন্যত্র যেই  বিধানই থাকুক না কেন, ধীরে কাজ করা বা বে-আইনী ধর্মঘটের ক্ষেত্রে মালিক শ্রম আদালতের অনুমতি লইয়া নোটিশ বোর্ডে নোটিশ লটকাইবার মাধ্যমে এক বা একাধিক শ্রমিককে একক বা যৌথভাবে চাকুরী  হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করিতে, অথবা অন্য কোনো শাস্তি দান করিতে পারিবেন।

ধারা-১৯। চাকুরীর অবসান (Termination of employment) :
(১) এই  আইনের অন্যত্র বর্ণিত বিধান অনুযায়ী না হইয়া অন্যভাবে মালিক কর্তৃক কোনো স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান ঘটাইবার জন্য মাসিক বেতনে নিযুক্ত কর্মচারীর বেলায় * [একশত কুড়ি] দিনের নোটিশ এবং অন্যান্য কর্মচারীর বেলায় পঁয়তাল্লিশ দিনের নোটিশ মালিক কর্তৃক লিখিতভাবে দিতে হইবে।
তবে শর্ত এই  যে,  উক্ত নোটিশের পরিবর্তে যথাক্রমে *[একশত কুড়ি] দিনের বা *[ষাট] দিনের বেতন পরিশোধ করিলে চলিবে।
আরও শর্ত এই  যে, উপরোক্তরূপে যেই  শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হইয়াছে, মালিক তাহাকে প্রতি পূর্ণ বত্‍সরের চাকুরীর জন্য, অথবা উহার যেই  কোনো অংশ ৬ মাসের অধিক হইলে *[ত্রিশ] দিন করিয়া বেতন ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিশোধ করিবেন এবং ইহা ছাড়াও এই  আইন বা ঐ সময় প্রচলিত অন্য কোনো আইন অনুসারে তাহার অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা পাওনা হইলে তাহাও পরিশোধ করিবেন।
(২) কোনো স্থায়ী শ্রমিক নিজের চাকুরীর অবসান ঘটাইতে চাহিলে মাসিক বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বেলায় এক মাসের এবং অন্য ধরনের শ্রমিকদের বেলায় ১৪ দিনের নোটিশ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্তৃক লিখিতভাবে মালিককে দিতে হইবে।
তবে শর্ত এই  যে,  উপধারা মতে কোনো শ্রমিক চাকুরীর অবসান ঘটাইলে উপধারা (১)-এর বর্ণিত কোনো ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবে না, কিন্তু এই  আইন বা ঐ সময় প্রচলিত অন্য কোনো আইন অনুসারে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওনা হইলে, তাহা তাহাকে পরিশোধ করিতে হইবে।
(৩) এই  আইনের অন্যত্র বর্ণিত বিধান অনুসারে না হইলে এবং যেই  অস্থায়ী কাজে তাহাকে নিয়োগ করা হইয়াছিল, সেই কাজের সমাপ্তি, অবসান, বিলুপ্তি বা বিচ্ছিন্নতার কারণপ্রসূত না হইলে, মালিক কর্তৃক অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান ঘটাইবার জন্য মাসিক বেতনে নিযুক্ত শ্রমিকের বেলায় এক মাসের নোটিশ এবং অন্যান্যদের বেলায় ১৪ দিনের নোটিশ লিখিতভাবে দিতে হইবে।

তবে শর্ত এই  যে, অবস্থানুয়ায়ী যথাক্রমে এক মাসের বা ১৪ দিনের বেতন নোটিশের পরিবর্তে পরিশোধ করিলে চলিবে।

ধারা-২০। প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident fund) :

কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য একজন শ্রমিক যদি উক্ত ফান্ডের বিধিমালা অনুসারে তাহা পাইবার অধিকারী হয়, তবে ছাঁটাই, বরখাস্ত, চাকুরীচ্যুত বা চাকুরী  অবসানের দরুন সে মালিকের চাঁদাসহ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা হইতে বঞ্চিত হইবে না।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-২১। চাকুরীর সার্টিফিকেট (Certificate of service) :

প্রত্যেক শ্রমিক (সাময়িক ও বদলী শ্রমিক বাদে) চাকুরী হইতে ছাঁটাই, অপসারিত, বরখাস্ত, অবসর বা চাকুরীর অবসর হওয়াকালীন চাকুরী সংক্রান্ত এক ট ি সার্টিফিকেট পাইবার অধিকারী হইবে।

ধারা-২২। চাকুরীর বিদ্যমান শর্তাবলী সংরক্ষণ (Protection of existing conditions of employment) :
এই  আইন বলবত্‍ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে কোনো আইন, প্রথা, ব্যবস্থা, বা কোনো রায়, চুক্তি বা মীমাংসা কার্যকর থাকিলে উক্ত আইন, প্রথা, ব্যবস্থা বা রায়, চুক্তি বা মীমাংসার শর্ত মোতাবেক শ্রমিকের চাকুরীর শর্তাবলী যদি এই  আইনের বিধানের তুলনায় অধিকতর সুবিধাজনক হইয়া থাকে, তবে এই  আইনের কোনো বিধান দ্বারা তাহা ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না।

ধারা-২৩। রেহাই দেওয়ার ক্ষমতা (Power to exempt) :
সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত শর্ত আরোপ করিয়া যেই  কোনো দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বা যেই  কোনো শ্রেণীর প্রতিষ্ঠানকে এই  আইনের যেই  কোনো বিধানের বা সামগ্রিকভাবে এই  আইনের আওতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

ধারা-২৪। আবাসিক গৃহ হইতে উচ্ছেদকরণ (Eviction from residential accomodation) :
(১) মালিক কর্তৃক প্রদত্ত আবাসিক সুযোগ ভোগ করিতেছে, এইরূপ শ্রমিক ছাঁটাই, অপসারিত, বরখাস্ত বা তাহার চাকুরীর অবসান হইলে, উক্ত ছাঁটাই, অপসারণ, বরখাস্তকরণ বা অবসান সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো মামলা মূলতবী না থাকিলে ছাঁটাই, অপসারিত, বরখাস্ত বা চাকুরীর অবসান হওয়ার তারিখ হইতে পনেরো দিনের মধ্যে উক্ত বাসগৃহ খালি করিয়া যাইবে।
(২) উপধারা (১) অনুসারে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্ত বাসগৃহ খালি করিয়া যাইতে ব্যর্থ হইলে, উক্ত বিষয়ে এখতিয়ার রহিয়াছে, এইরূপ কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মালিক অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।
(৩) ঐ সময় প্রচলিত অন্য কোনো আইনে যেই রূপ বিধানই থাকুক না কেন, ম্যাজিস্টেট উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণের পর সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করিবেন এবং শ্রমিককে যুক্তিসঙ্গত সময় দান করিয়া তাহাকে উক্ত বাসগৃহ হইতে উচ্ছেদের আদেশ দিতে পারিবেন।
(৪) উপধারা (৩) অনুসারে প্রদত্ত সময়-সীমার মধ্যে বাসস্থান খালি না করিলে শ্রমিককে বলপুর্বক উচ্ছেদ করিবার জন্য ম্যজিস্ট্রেট প্রয়োজনবোধে কোনো পুলিশ অফিসারকে আদেশও দিতে পারিবেন।
(৫) উপধারা (৪) মতে ম্যাজিস্টেটের নির্দেশ পালনের সময় উক্ত পুলিশ অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বিবরণসহ উক্ত গৃহে তাঁহার প্রবেশের ইচ্ছার কথা সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাকে জানাইবেন এবং বাসিন্দাগণকে ঘর খালি করিয়া দিবার জন্য অন্যূন দুই ঘন্টা সময় দিবেন এবং উক্ত গৃহের দখল লইবার জন্য যদি বলপ্রয়োগ করিবার প্রয়োজনীতা দেখা দেয়, তবে সেইক্ষেত্রে শিশু ও মহিলা বাসিন্দাগণকে ঘর হইতে বাহির হইয়া যাওয়ার জন্য যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দান করিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-২৫। অভিযোগ উত্থাপনের পদ্ধতি (Grivance procedure) :
(১) কোনো শ্রমিকের১ [বরখাস্ত, কর্মচ্যুত ছাঁটাই, লে-অফ বা অন্যভাবে চাকুরী  হইতে অপসারিত শ্রমিকসহ] এই  আইন অনুসারে কোনো বিষয়ে ব্যক্তিগত কোনো অভিযোগ করিবার থাকিলে এবং এই  ধারার অধীনে উহার প্রতিকার পাইতে ইচ্ছুক হইলে, নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে :
(ক) অভিযোগের কারণ উদ্ভবের পনেরো দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক লিখিতভাবে ২[রেজিস্টার্ড ডাকযোগে] স্বীয় অভিযোগ মালিকের নিকট পেশ করিবে এবং মালিক উক্ত অভিযোগ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং এই  শ্রমিককে তাহার বক্তব্য পেশের সুযোগ দিবেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত উক্ত শ্রমিককে লিখিত ভাবে জ্ঞাপন করিবেন।
(খ) অনুচ্ছেদ (ক) অনুযায়ী যদি মালিক তাহার সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করিতে ব্যর্থ হন, অথবা শ্রমিক যদি মালিকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় এবং ১৯৫৮ সালের শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে বিষয়টি যদি শ্রম বিরোধ হিসাবে ইতিমধ্যে উত্থাপিত না হইয়া থাকে বা উত্থাপনের উদ্যোগ না লইয়া থাকে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অনুচ্ছেদে (ক) অনুসারে শেষ দিন হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে অথবা সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে (এই  বিষয়ে যাহার এই খতিয়ার রহিয়াছে) অভিযোগ দায়ের করিতে পারে।
তবে শর্ত এই  যে, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকলাপের দরুন ১৯ ধারা অনুসারে তাহার চাকুরী  অবসানের অভিযোগ না থাকিলে বা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে উক্ত ধারার নির্দিষ্ট সুবিধা হইতে বঞ্চিত করা না হইয়া থাকিলে, তাহার চাকুরীর অবসানের আদেশের বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করিবে না।
(গ) অনুচ্ছেদ (খ) অনুসারে কোনো অভিযোগ প্রাপ্তির পর আদালত নোটিশ জারি এবং পক্ষসমূহের বক্তব্য শ্রবণের পর নিজ বিবেচনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন;
(ঘ) অভিযোগ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আদালত নিজ বিবেচনা মোতাবেক যতটা ন্যায় সঙ্গত মনে করিবেন, বাদীকে বিবাদী কর্তৃক তদনুরূপ মামলার খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ চূড়ান্ত হইবে।
তবে শর্ত এই  যে, এই  ধারা অনুসারে আনীত কোনো অভিযোগ এই  আইনের ২৭ ধারা অনুসারে ফৌজদারীতে সোপর্দকরণ বিবেচিত হইবে না;
(ঙ) আদালতে অভিযোগ দায়েরের জন্য বা কোনো কাগজপত্র দাখিল বা একজিবিট করিবার জন্য কোনোরূপ কোর্ট ফী দিতে হইবে না।

ধারা-২৬। ২৫ ধারা অনুসারে আদালতের আদেশ অমান্য করিবার শাস্তি (Penalty for non-compliance of Court’s order under section 25) :
(১) ২৫ ধারা অনুসারে প্রদত্ত আদালতের আদেশ কেহ পালন করিতে অস্বীকার করিলে বা পালন করিতে ব্যর্থ হইলে, সে অনধিক তিন মাস পর্যন্ত বিনা শ্রমে কারাদণ্ড বা অনধিক এক হাজার টাকার পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
(২) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগ ব্যতীত উপধারা (১) অনুসারে অপরাধ আদালত কর্তৃক আমলে গ্রাহ্য হইবে না।

ধারা-২৭। শাস্তি ও উহার পদ্ধতি (Penalties and procedure) :
(১) কোনো মালিক তাহার দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য এই  আইনের কোনো বিধান অমান্য করিলে প্রথমবারের অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উপর্যুপরি অপরাধ করিতে থাকিলে, প্রথম অপরাধের পর পরবর্তী  অপরাধসমূহের জন্য প্রতিদিন অনধিক পঞ্চাশ টাকা করিয়া জরিমানায় দণ্ডনীয় হইবেন এবং পরবর্তী  দিনগুলির অপরাধের প্রতিটির জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানায়, অথবা অনধিক এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে, অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত পরবর্তী  অপরাধ হইতে উদ্ভত অব্যাহত অপরাধের জন্য প্রতিদিন পঞ্চাশ টাকা করিয়া জরিমানায় দণ্ডনীয় হইবেন।
(২) এই  আইনের অন্যত্র বর্ণিত বিধান অনুসারে অন্য কোনোরূপ শাস্তির ব্যবস্থা না থাকিয়া থাকিলে, এই  আইনের যেই  কোনো বিধান যেই  কেহ ভঙ্গ করিলে প্রথম বারের অপরাধের জন্য দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানাদণ্ডে এবং পরবর্তী  প্রতিটি অপরাধের জন্য দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা অনধিক এক মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
(৩) এই  ধারা অনুসারে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ সম্পর্কে কেবল চীফ ইন্সপেক্টর বা তাঁহার দ্বারা ভারপ্রাপ্ত কোনো অফিসার ছাড়া বা তাঁহার লিখিত পূর্ব অনুমতি ছাড়া অন্য কেহ বা অন্য কোনভাবে কেহ অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে না।
(৪) এই  ধারা এবং ২৬ ধারা অনুসারে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অধস্তন কোনো আদালতে করিতে পারিবেন না।

ধারা-২৮। এই  আইনের সংক্ষিপ্ত-সার বিজ্ঞাপিত করা (Display of notice of abstracts of the Act) :
এই  আইনের বিধানসমূহ এবং তদানুসারে প্রণীত বিধিমালা এবং ৩ ধারার শর্ত মোতাবেক চাকুরীর কোনো নিয়ন্ত্রণবিধি প্রণীত হইয়া থাকিলে, উহার সারমর্ম বাংলায় ও [ইংরেজিতে]* স্পষ্টাক্ষরে লিখিয়া মালিক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট দোকানের বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকাশ্য স্থানে উক্ত উদ্দেশ্যে রক্ষিত বিশেষ বোর্ডে প্রাধান্য সহকারে লটকাইয়া রাখিতে হইবে।
তবে শর্ত এই  যে,  নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা সাত জনের কম হইলে সেই সকল  দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেলায় এইই ধারা প্রযোজ্য নয়।

ধারা-২৯। মালিকের দায়-দায়িত্ব (Liability of employer) :
এই  আইনের বিধানসমূহ যথাযথভাবে এবং বিশ্বস্ততার সহিত পালনের ব্যাপারে প্রত্যেক দোকানের বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন।

ধারা-৩০। চীফ ইন্সপেক্টর ও ইন্সপেক্টরগণ (Chief Inspector and inspectors) :
[কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের চীফ ইন্সপেক্টর] এই ক্ষেত্রে চীফ ইন্সপেক্টর হইবেন এবং এই  আইন অনুসারে প্রদত্ত চীফ ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা ছাড়াও [বাংলাদেশ] সর্বত্র এ ক জ ন ইন্সপেক্টরের ক্ষমতাও তাহার থাকিবে এবং অন্যান্য ইন্সপেক্টরের উপর নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির ক্ষমতাও তাহার থাকিবে।
তবে শর্ত এই যে,  চীফ ইন্সপেক্টর তাঁহার ক্ষমতা বা কোনো আংশিক ক্ষমতা তাহার অধীনস্থ যেই  কোনো অফিসার বা অফিসারদের উপর ন্যস্ত করিতে পারিবেন।
(২) এই  আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকার নিজ পছন্দ মোতাবেক ইন্সপেক্টর পদে লোক নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের স্ব-স্ব স্থানীয় সীমানা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।
(৩) একজন ইন্সপেক্টর যেই  কোনো যুক্তিসঙ্গত সময়ে যেই  কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া এই  আইনের বিধানসমূহ কার্যকরকরণের সহিত সম্পর্কযুক্ত যেই  কোনো রেকর্ড, রেজিস্টার বা অন্য যেই  কোনো দলিলপত্র পরীক্ষা করিতে এবং উক্ত স্থানে বা অন্যত্র যেই  কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট মালিক বা দখলকারী এই  আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাহাকে যেই  কোনো যুক্তিসঙ্গত সহায়তা প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।

ধারা-৩১। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা (Powers to make rules) :
(১) এই  আইনে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পূর্বাহ্নে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের শর্ত সাপেক্ষে সরকার বিধানমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
(২) পূর্বে বর্ণিত কোনো ক্ষমতা ক্ষুন্ন না করিয়া এই  আইন অনুসারে নির্দিষ্ট সমস্ত বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধিমালা প্রণয়ন করা যাইবে।
(৩) এই  ধারার অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এই  বিধানও রাখা যাইতে পারে যে , বিধিমালা অমান্য করা হইতে অনধিক একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে।

ধারা-৩২। বাতিল এবং সংরক্ষণ (Repeal and savings) :

(১) ১৯৬০ সালের দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) অর্ডিন্যান্স এতদ্বারা বাতিল করা হইলো।

(২) বাতিল সত্ত্বেও  কোনো কিছু করা হইয়া থাকিলে, কার্যসম্পাদন হইয়া থাকিলে,বিধিমালা প্রণীত হইয়া থাকিলে অথবা উক্ত অধ্যাদেশের অধীনে বিজ্ঞপ্তি বা অআদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, যতখানি এই আইনের বিধানসমূহের সহিত অসঙ্গতিপূর্ নহে এই আইনের অনুরূপ বিধান মোতাবেক হইয়াছিল, সম্পাদন করা হইয়াছিল, প্রণীত হইয়াছিল, গণ করা হইবে।

(৩) সাময়িকভাবে কার্যকর অন্য যেই কোনো আইনে ১৯৬০ সালের দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) অর্ডিন্যান্সের উল্লেখ থাকিলে এই আইনের উল্লেখস্বরূপ ব্যাখ্যা করিতে হইবে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection