উচ্চমাত্রার প্রোটিনে চিংড়ি সমৃদ্ধ, উপরন্তু এতে আছে কমমাত্রার চর্বি এবংক্যালোরি। ফলেছেলেবুড়ো সবার জন্যই চিংড়ি ভারী ভালো খাদ্য। সারা পৃথিবীতে প্রায় তিন শ প্রজাতির চিংড়ি আছে। লোনাপানি কিংবা সাধুপানি সব জায়গাতেইমেলে চিংড়ি। চিংড়িতে আছে ওমেগা ফ্যাটি এসিড। এটি রক্তে ট্রাইগ্লাসারাইডের মাত্রা সহনীয় রাখে। ফলেকমে হূদরোগের ঝুঁকি। এ ছাড়া চিংড়িতে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, আয়োডিন, ফসফরাস এবংআয়রন। এই ভিটামিনগুলো সুস্থ ত্বকের জন্য যেমন জরুরি তেমনিও হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় বেশ কার্যকর। এ ছাড়া চিংড়িতে আছে অল্পমাত্রায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম।কিন্তু এই চিংড়ি যদি অতিরিক্ত তেল, ঘি বা নারকেলের পুরে ভাজা হয়, তাহলেএই খাদ্যটি কিন্তু আর স্বাস্থ্যসম্মত থাকে না এবং রক্তে বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলেরমাত্রা। এক গবেষণায়দেখা গেছে, মস্তিষ্কের বিশেষ একধরনের রোগ—আলঝেইমার— প্রতিরোধেও চিংড়ি বেশ কার্যকর।চিংড়ি যে শুধু খালি খাওয়া হয় তাও কিন্তু না। যেকোনো তরকারিতেই চিংড়ি মিশে যেতে পারে সহজে। আর স্বাদেও এনে দেয় বৈচিত্র্য। তাই বলে তরকারিতে দেওয়া যাবে না চিংড়ি। পরিমিত খেলে চিংড়ি উপকারী। বেশিখেয়ে ফেললে আবার ঝামলাও কম নয়।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ০১, ২০১০