News:

Dolphin Computers Ltd., is a leading IT product and service provider company in Bangladesh.

Main Menu

হূদরোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

Started by bbasujon, January 16, 2012, 05:21:51 PM

Previous topic - Next topic

bbasujon

বাংলাদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বিভিন্ন ধরনের হূদরোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রয়েছে অকালে হূদরোগ হওয়ার প্রবণতা। তাই হার্টের সমস্যা ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। যদিও বাংলাদেশে হূদরোগের চিকিত্সার খরচ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, তবু এটা এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে।
আর যেহেতু সরকারি চিকিত্সাসেবার অবকাঠামোর মাধ্যমে সব লোকের চিকিত্সা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, তাই অন্যান্য রোগের মতো হূদরোগ প্রতিরোধের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা।
বেতার ও টেলিভিশনে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নিয়মিত। কিন্তু এ অনুষ্ঠানগুলো হয় এমন সময়, যখন সবাই কর্মব্যস্ত থাকে। ফলে এ অনুঠানগুলোর দর্শক-শ্রোতাও বেশি থাকে না।
রোগ নির্ণয় বা রোগের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠান নয়, কারণ রোগী না দেখে শুধু সামান্য বর্ণনা শুনে চিকিত্সার পরামর্শ দিলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর দর্শক-শ্রোতারাও অন্যের উপসর্গের সঙ্গে নিজের উপসর্গ মিলিয়ে নিজেই নিজের চিকিত্সক (!) বনে যেতে পারেন। আর এ দেশে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই খুব সহজে ওষুধ কেনা ও সেবন করা সম্ভব।
১৫ কোটি মানুষের এই দেশে সমস্যার কোনো শেষ নেই। 'নুন আনতে পান্তা ফুরোয়'—এমন লোকের কাছে চিকিত্সাসেবা অনেক দূরের বিষয়। নিম্নমধ্যবিত্ত বা নিম্ন আয়ের মানুষ সব সময় চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে পারে না বা হলেও অনেক সময় ওষুধ কিংবা অন্য ধরনের চিকিত্সা নেওয়ার সামর্থ্য তাদের থাকে না। পানি ফুটিয়ে পান করা বা ভালো করে হাত ধোয়ার গুরুত্ব যেমন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো গেছে, তেমনি হূদরোগ প্রতিরোধের জন্য কী করা দরকার, তাও তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সামান্য অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে যে বাতজ্বর ও বাতজ্বরসংক্রান্ত অন্য অসুখ থেকে বাঁচা সম্ভব, তা জনসাধারণকে জানাতে হবে।
সুস্থ হূদ্যন্ত্র নিয়ে বাঁচতে চাইলে তেল, চর্বি, লবণ—এগুলো কম খেতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপান, জর্দা, গুল, সাদাপাতা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে হলে এগুলো জানা জরুরি। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় হূদরোগের প্রকোপ অন্যান্য দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। হার্ট অ্যাটাকে যাঁরা আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশেরই বয়স চল্লিশের নিচে। আর ৫০ শতাংশের বয়স পঞ্চাশের নিচে।
এটা আমাদের জন্য একটা বিপত্সংকেত। ঢাকাসহ বড় বড় শহরে শুধু হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে হূদরোগের সুচিকিত্সার ব্যবস্থা আছে। অনেক জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় সুচিকিত্সা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার কোথাও রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের অভাব।
তাই অকালমৃত্যু রোধে আমাদের একজোট হয়ে হূদরোগ প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, আর এ দায়িত্ব সমাজের সব সচেতন মানুষের।

ধূমপান ও হূদরোগ—দুজন দুজনার
আমরা জানি, ধূমপান ধূমপায়ীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীদের চেয়ে ২২ বছর আগে মারা যেতে পারেন। ধূমপান কতটা ক্ষতিকর, এটা পুরোপুরি না জানা গেলেও মানবদেহে এমন কোনো অঙ্গ নেই, যা ধূমপানের মাধ্যমে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রতিদিনই ধূমপানের কারণে নতুন নতুন রোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপানের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি দুই রকম ক্ষতিকর প্রভাব আছে। স্বল্পমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে হূদ্যন্ত্রে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়া, রক্তে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি ধূমপানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের বিবরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের একটা মুখ্য কারণ। ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অধূমপায়ীদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি। যাঁদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাঁরা যদি ধূমপান বন্ধ না করেন তবে তাঁদের দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অধূমপায়ীদের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।
ধূমপান শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, বিভিন্ন অঙ্গ—যেমন হূদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক ইত্যাদিতে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ধূমপানসংক্রান্ত ক্যানসারের কথা সবার জানা। ধূমপান নারীদের হূদরোগ ও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের বয়স ৫০ বছরের নিচে, তাঁদের ওপর ধূমপানের প্রভাব বয়স্ক লোকজনের চেয়ে বেশি হয়।
বাংলাদেশে প্রায় ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং তিন শতাংশ নারী ধূমপান করেন। এর বইরেও ১৬ ভাগ পুরুষ এবং ৩১ ভাগ নারী ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন (অনেক সময় পানের সঙ্গে) করে থাকেন। সাধারণত ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী লোকদের ধূমপানে বেশি আসক্ত থাকতে দেখা যায়। স্বল্প আয়ের লোকজন বেশি ধূমপান করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে ৫০ লাখ লোক ধূমপানজনিত রোগের কারণে মারা যায়। বর্তমানে অল্পবয়সী লোকজনের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ধূমপান। ২০২০ সালে ধূমপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াবে এক কোটিতে। ধূমপায়ীরা কি জানে, তারা কী পান করছে? ধূমপানের সঙ্গে তারা চার হাজার ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য পান করছে, যার সবই শরীরের জন্য বিষস্বরূপ। সিগারেট কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে ক্রেতাদের কাছে এগুলো প্রকাশ করে না বা লুকিয়ে রাখে এবং তারা চাকচিক্যপূর্ণ লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে। উন্নত বিশ্বে যখন ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে, তখন তারা বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে তাদের ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমাদের বোকা বানিয়ে তারা তাদের ব্যবসা করছে পুরোদমে। পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়, ববং তারাও ধূমপায়ীদের মতোই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সাধারণত ২৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ৭৫ ভাগ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধূমপানের পরোক্ষ প্রভাবে; এমনকি অধূমপায়ীরা ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস করলে হূদরোগের ঝুঁকি ২৫ ভাগ বেড়ে যায়।
নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে, পরিবারের কথা চিন্তা করে, শিশুদের কথা চিন্তা করে প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের ধূমপান ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং ধূমপানের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এর জন্য দরকার মানসিক প্রস্তুতি। চিন্তা করে দেখুন, আপনার ধূমপানের কারণে শুধু লাভবান হচ্ছে তামাক প্রস্তুতকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর ক্ষতির শিকার হচ্ছেন আপনি।
ধূমপান একেবারে ছেড়ে দিন। হূদরোগের আশঙ্কা কমে যাবে, সুস্থ থাকবেন, জীবনের স্বাদ বেড়ে যাবে, টাকা বাঁচবে, সর্বোপরি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন এবং বেশি দিন বাঁচবেন।

উচ্চ রক্তচাপ নিঃশব্দ ঘাতক
উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশি ধারণা আছে। এটি যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তাও আমরা অনেকেই জানি। উচ্চ রক্তচাপ মানুষকে নিঃশব্দে আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রায় ১০ শতাংশ পুরুষ ও ১৫ শতাংশ নারী উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। ৬০ বছরের বেশি শতকরা ৬৫ জনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। গ্রামের চেয়ে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বেশি।
হূিপণ্ডের সংকোচনের ফলে রক্ত ধমনির মাধ্যমে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়। রক্তচাপ বলতে রক্তবাহী ধমনির মধ্যে রক্তের চাপকে বোঝায়। হূিপণ্ড সংকোচনের ফলে ধমনির মধ্যে যে চাপের সৃষ্টি হয়, এর সর্বোচ্চ চাপকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলে। আবার হূিপণ্ড প্রসারিত হওয়ার ফলে রক্তের চাপ কমে যায়। এই রক্তচাপকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
উচ্চ রক্তচাপ বলতে বোঝায়, কোনো কারণে রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, এটি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষত হূিপণ্ড ও মস্তিষ্কের জন্য। উচ্চ রক্তচাপ হলে হূিপণ্ডকে সেই রক্তচাপের বিপক্ষে রক্ত বেশি জোরে সংকোচন বা পাম্প করতে হয়। এতে হূিপণ্ডের পরিশ্রম বেড়ে যায়। অর্থাত্ হূিপণ্ডের নিজেরই বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনমতো অক্সিজেন সরবরাহ না পেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপে রক্তবাহী ধমনিগুলো শক্ত হয়ে যায়। ফলে স্ট্রোক, কিডনি ফেইলর, চোখের সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সিস্টোলিক রক্তচাপ সাধারণত ১১০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার মারকারি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৭৩ থেকে ৯০ মিলিমিটার মারকারি থাকার কথা। তবে বয়স, লিঙ্গভেদ, শারীরিক পরিশ্রম, স্থূলতা, ফিটনেস ইত্যাদির ওপর রক্তচাপ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যাদের রক্তচাপ ১৪০-এর নিচে, তাদের হূদরোগের ঝুঁকি কম।
অন্যান্য রোগের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের পার্থক্য এটাই যে উচ্চ রক্তচাপের সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না, এ জন্য যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে, তারা সাধারণত তা অনুভব করে না। প্রকৃতপক্ষে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের এক-তৃতীয়াংশ জানেই না যে তাদের এটি রয়েছে। সাধারণত রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময় এটি ধরা পড়ে। উচ্চ রক্তচাপের আসল কারণ অনেক সময় জানা যায় না। কতগুলো কারণ এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত; যেমন—পারিবারিক ইতিহাস, স্থূলতা, কম কায়িক পরিশ্রম, অতিরিক্ত লবণ বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান, বয়স, উদ্বেগ, উত্তেজনা ইত্যাদি। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আর্সেনিকের বিষক্রিয়া রক্তচাপ বাড়ায়। যাদের রক্তে আর্সেনিকের পরিমাণ যত বেশি, তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে কি না, তা জানার একমাত্র উপায় রক্তচাপ পরীক্ষা করা। একবার মেপে রক্তচাপ বেশি পাওয়া গেলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলা ঠিক হবে না। দিনের একই সময়ে পর পর কয়েক দিন রক্তচাপ মেপে যদি বেশি দেখা যায়, তবে একে উচ্চ রক্তচাপ বলা যেতে পারে। আপনার চিকিত্সক আপনাকে এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ১১ ভাগ লোক উচ্চ রক্তচাপে মারা যায় প্রতিবছর।
আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ১০ ভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ ভাগ উচ্চ রক্তচাপের রোগী সঠিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখত। সিস্টোলিক রক্তচাপ ২০ মিলিমিটার মারকারি কমাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রকোপ কমে যায় ৫০ ভাগ। আর হূদরোগের প্রকোপ কমে যায় ২৫ ভাগের মতো। জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে বা ওষুধ সেবন করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি উচ্চ রক্তচাপ সহনীয় পর্যায়ে থাকে, অর্থাত্ খুব বেশি রক্তচাপ নয়, এমন রোগীরা শুধু জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এসবের মধ্যে বেশি করে দরকার শাকসবজি, ফলমূল খেয়ে, চর্বি ও লবণ পরিহার করে ছয়-সাত ঘণ্টা একটানা ঘুমানো। শুধু জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হয়, তবে এর সঙ্গে কিছু ওষুধ সেবন করতে হবে নিয়মিত। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সারা জীবন নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়।
আপনার সুন্দর, সুস্থ, কার্যকর ও আনন্দময় জীবনের জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তাঁরা অন্তত বছরে একবার নিজে রক্তচাপ পরীক্ষা করুন।

এম এইচ মিল্লাত
কনসালট্যান্ট কার্ডিয়াক সার্জন
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৮, ২০০৯
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection