« on: January 19, 2012, 08:10:55 AM »
কয়েকদিন আগে আমি আইডিবি ভবনে যাচ্ছি আমার এক বন্ধুর ল্যাপটপ কেনার জন্য। যাওয়ার পথেই ঘটনাটা ঘটে। ঘটনাটা ঘটে আইডিবি ভবনের ঠিক একদম পাশেই। আমরা ট্যাক্সির মধ্যে বসে আছি কারণ সিগনাল পড়েছিল তাই। পাশেই দেখি প্রাইভেট কারগুলোর চেকিং চলছে যে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না? ঠিক সেই সময়ই একটা গাড়িতে দেখি একটা শিশু পেছন সিটে বসে আছে এবং গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে।
বাচ্চাটার বোধ হয় স্কুল ছুটি হয়েছে তাই বাড়ি ফিরছে গাড়ি করে।রাস্তায় দাঁড়ানো ট্রাফিক পুলিশ যখন গাড়ির কাগজ-পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কথা জিজ্ঞেস করে ড্রাইভারকে ঠিক তখনই ড্রাইভার তার পকেট থেকে একটা সাদা কাগজ বের করে ট্রাফিক পুলিশ এর হাতে দেয়। ট্রাফিক পুলিশ কাগজটি পরে গাড়িটিকে ছেঁড়ে দেয়।
আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে সাধারণ একটা কাগজে কি এমন লেখা আছে যে ট্রাফিক পুলিশটি গাড়িটি ছেড়ে দিল। তাই আমি গাড়ির মধ্যে থেকেই ট্রাফিক পুলিশটিকে ডাঁক দেই। আমার কাছে আসার পরে ট্রাফিক পুলিশটিকে প্রথমে সালাম দেই। কারণ, একটু মন না গলালে তো আর আমাকে কাহিনী বলবে না। তারপর বললাম যে চাচ্চু আমি কি আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
ট্রাফিক পুলিশটি বলল যে হ্যাঁ বলেন। তখন আমি বললাম যে আচ্ছা চাচ্চু, ওই গাড়িটি যে আপনি ছেঁড়ে দিলেন কিন্তু ওই গাড়িটির তো কোন রকম কাগজ-পত্র ছিল না। শুধু আপনাকে একটা ছোট্ট সাদা একটা কাগক দেখালো। আর তাই আপনি ছেঁড়ে দিলেন। সমস্যা নেই, আমি সাধারন একটা ছেলে, অন্য কোন আইনের লোক না।
আমার এমনিতেই একটু জানার ইচ্ছে ছিল আর কি? ট্রাফিক পুলিশটি আমাকে বিশ্বাস করে বললো যে, দেখো। এই কাগজটি পড়ো। আরো বললো যে, এরা এই কাগজের বিনিময়ে রাস্তায় দেখিয়ে পাঁড় পেয়ে যায় এবং তার বিনিময়ে আমরা মাস শেষে ১০০০ টাকা পাই। কাগজটি পরার পর অবশ্য আমি ঠিক বুঝলাম যে কাহিনী কি?
কাগজটা আপনারাও পড়ুন। তারপর আপনারাও ঠিকমতোই বুঝতে পারবেন। আর তারপর বলুন যে এই পদ্ধতিটা কেমন লাগলো আপনাদের? এটা সম্পূর্ণ একটা নতুন পদ্ধটি। আসলে এই ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেক কিছুই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে দূর্ণীতি করার পদ্ধটি গুলোও ঠিক ভালোভাবেই কিন্তু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে Tongue
কি, তাই নয় কি?
Logged