Author Topic: দখল সংক্রান্ত আইন  (Read 5328 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
দখল সংক্রান্ত আইন
« on: January 24, 2012, 07:23:46 AM »
প্রথম অধ্যায়

PART-I

প্রাথমিক বিষয়

PRELIMINARY

ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, কার্যকারিতার সীমা ও প্রবর্তন (Short title, extent and Commencement) :

১. এই আইন ১৯০৮ সালের তামাদি আইন নামে অভিহিত হইবে।

২. ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।

৩. অত্র ধারা ও ৩১ ধারা অবিলম্বে বলবত্‍ হইবে।

এই আইনের অবশিষ্টাংশ ১৯০৯ সালের পহেলা জানুয়ারি হইতে বলবত্‍ হইবে।

 

ধারা-২ সংজ্ঞা (Definitions) :

বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গের বিপরীত না হইলে এই আইনের নিম্নলিখিত শব্দ বা শব্দ সমষ্টি দ্বারা নিম্নরূপ অর্থ বুঝাইবে; যথা :

১.  ’  দরখাস্তকারী’   বলিতে যেই ব্যক্তির নিকট হইতে বা যাহার মাধ্যমে দরখাস্তকারী তাহার দরখাস্ত করিবার অধিকার লাভ করিয়া  থাকে, সেই ব্যক্তিকে বুঝায়।

২. ’  বিনিময় পত্র’   বলিতে হুণ্ডী এবং চেক বুঝায়।

৩. ’  মুচলেকা’   বলিতে এমন কোনো দলিল বুঝায়, যাহা দ্বারা  কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে অর্থ প্রদানের জন্য নিজেকে এই শর্তে  বাধ্য করিয়া থাকে যে, নির্দিষ্ট কোনো কাজ সম্পাদিত হইলে বা না হইলে উক্ত বাধ্যবাধকতা বাতিল হইয়া যাইবে।

৪. ’  বিবাদী’   বলিতে যেই ব্যক্তির নিকট হইতে বা যাহার মাধ্যমে বিবাদী তাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হইবার দায়-দায়িত্ব লাভ করিয়া থাকে, সেই ব্যক্তিকে বুঝায়।

৫. ’  ব্যবহারস্বত্ব’   বলিতে এমন কোনো অধিকার বুঝায়, যাহা কোনো চুক্তির ফলে উদ্ভুত হয় নাই এবং যাহা দ্বারা  কোনো ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির স্বত্বাধীন জমির কোনো অংশ বা তাহার কোনো ফসল বা তাহাতে সংযুক্ত বা অবাঞ্ছিত কোনো কিছু নিজের লাভের জন্য অপসারণ ও ব্যবহার করিবার অধিকার লাভ করে।

৬. ’  বিদেশ’   বলিতে বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য যেই কোনো দেশ বুঝায়।

৭.’  সরল বিশ্বাস’   যদি যথোপযুক্ত যত্ন ও মনোযোগ সহকারে কোনো কাজ না করা হয়, তবে তাহা সরল বিশ্বাসে করা হইয়াছে বলিয়া বুঝাইবে না।

৮. ’  বাদী’   বলিতে যেই ব্যক্তির নিকট হইতে বা যাহার মাধ্যমে বাদী মামলা করিবার অধিকার লাভ করিয়া থাকে,  সেই ব্যক্তিকে বুঝায়।

৯. ’  অঙ্গীকার পত্র’   এমন কোনো দলিল, যাহা দ্বারা  ইহার প্রণেতা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দলিলে নির্ধারিত  কোনো সময় অথবা চাহিবামাত্র তাহার দলিলটি তাহার নিকট উপস্থাপিত করা মাত্র অপর একজনকে প্রদানের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ করে।

১০. ’  মামলা’   বলিতে কোনো আপিল বা দরখাস্ত বুঝায় না।

১১. ’  অছি’   বলিতে বেনামদার বন্ধকী ঋণ পরিশোধের পরেও দখলকারী বন্ধকগ্রহীতা অথবা স্বত্বহীন অন্যায় দখলকারীকে বুঝায়।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: দখল সংক্রান্ত আইন
« Reply #1 on: January 24, 2012, 07:26:57 AM »
দ্বিতীয় অধ্যায়

PART-II

মামলা, আপিল ও দরখাস্তের তামাদি

LIMITATION OF SUITS, APPEALS AND APPLICATIONS

 

ধারা-৩ ( তামাদি মেয়াদ অন্তে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ (Dismissal of suits, etc, Instituted, etc, after period of Limitation) :

অত্র আইনের ৪ হইতে ২৫ ধারার উভয় ধারাসহ সাপেক্ষে প্রথম তফসিলে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত  তামাদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর মামলা, আপিল বা দরখাস্ত রুজু, দায়ের বা দাখিল করা হইলে বিবাদীপক্ষ যদি তামাদির প্রশ্ন উত্থাপন নাও করে, তারপরও উক্ত মামলা, আপিল বা দরখাস্ত খারিজ বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

 

ব্যাখ্যা

সাধারণত উপযুক্ত কর্মচারির নিকট আরজি উপস্থিত করিলে, নিঃস্ব হইলে, নিঃস্বভাবে মামলা করিবার অনুমতির জন্য দরখাস্ত করিলে এবং আদালত, যেইখানে কোম্পানি গুটাইয়া ফেলিতেছে; সেইখানে কোম্পানির বিরুদ্ধে দাবির ক্ষেত্রে দাবিদার সরকারী অবসায়কের নিকট দাবি প্রেরণ করিলে মামলা দায়ের করা হয় ।

 

ধারা-৪ (আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় যখন তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় (Where court is closed when period expires) :

যেইক্ষেত্রে কোনো মামলা, আপিল বা দরখাস্তের জন্য নির্দিষ্ট তামাদির মেয়াদ আদালত বন্ধ থাকার দিন উত্তীর্ণ হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত পুনরায় খুলিবার দিন উক্ত মামলা, আপিল বা দরখাস্ত রুজু দায়ের বা রুজু করা যাইবে ।

 

ধারা-৫ (ক্ষেত্র বিশেষে মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ (Extension of period in certain cases) :

কোনো আপিল বা রায় পুনর্বিচার বা পুনরীক্ষণের দরখাস্ত বা আপিল করিবার অনুমতি প্রার্থনার দরখাস্ত বা অন্য কোনো দরখাস্ত, যাহার উপর এই ধারা বর্তমানে বলবত্‍ কোনো আইনের দ্বারা বা অধীনে প্রযোজ্য করা হয়, উহার নির্দিষ্ট তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর গৃহীত হইতে পারে, যদি আপিলকারী বা দরখাস্তকারী এই মর্মে আদালতের সন্তুষ্টি সাধন করিয়া থাকে যে, নির্ধারিত  মেয়াদের মধ্যে আপিল বা দরখাস্তটি দাখিল না করিবার যথেষ্ট কারণ ছিল।

 

ব্যাখ্যাঃ

আপিলকারী  বা দরখাস্তকারী যদি হাইকোর্ট বিভাগের কোনো আদেশ, প্রথা বা রায় দ্বারা তামাদির মেয়াদ গণনা বা নির্ধারণ করিতে বিভ্রান্ত হইয়া থাকেন, তবে তাহা বর্তমান ধারা অনুযায়ী যথেষ্ট কারণ বলিয়া গণ্য হইবে ।

 

ধারা-৬। বৈধ অপারগতা (Legal disability) :

উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে মামলা বা কার্যধারা দায়ের করিবার কিংবা ডিংক্রী জারির জন্য দরখাস্ত দাখিলের অধিকারী ব্যক্তি, যেই সময় হইতে তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে, সেই সময় নাবালক, উন্মাদ বা জড়বুদ্ধি থাকে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি তাহার উপরোক্ত অপারগতার অবসান হইবার পর, অপারগতা না থাকিলে, প্রথম তফসিলের তৃতীয় স্তম্ভে অথবা ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির  ৪৮ ধারায় বর্ণিত যেই মেয়াদের মধ্যে সে উহা করিতে পারিতো,  সেই মেয়াদের মধ্যে মামলা বা কার্যধারা দায়ের কিংবা দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবে।

উপধারা-(২) যেইক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো ব্যক্তি, যেই সময় হইতে তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে, সেই সময় উপরে বর্ণিত যেই কোনো দুইটি অপারগতার অবসান হইবার পূর্বেই সে আরেকটি অপারগতায় পতিত হয়, সেইক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি তাহার উভয় অপারগতার অবসান হইবার পর, অপারগতা না থাকিলে, উপরে বর্ণিত যেই মেয়াদের মধ্যে সে উহা করিতে পারিতো,  সেই মেয়াদের মধ্যে মামলা দায়ের কিংবা দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবে।

উপধারা-(৩)যেইক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত তাহার অপারগতা অব্যাহত থাকে, সেইক্ষেত্রে তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর অপারগতা না থাকিলে উপরে বর্ণিত যেই মেয়াদের মধ্যে উহা করা যাইতো,  সেই মেয়াদের মধ্যে মামলা দায়ের কিংবা দাখিল করিতে পারিবে।

উপধারা-(৪) যেইক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখে তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি অনুরূপ কোনো অপারগতায় পতিত হয়, সেইক্ষেত্রে (১) ও (২) উপধারায় বিধৃত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।

 

উদাহরণ :

(ক) ‘ক’ নাবালক থাকাকালে একটা নৌকার ভাড়া আদায়ের জন্য মামলা করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হয়। ইহার চার বত্‍সর পর সে সাবালক হয় । সাবালক হইবার তারিখ হইতে তিন

বত্‍সরের মধ্যে যেই কোনো সময় উক্ত মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

(খ) ‘খ’  নাবালক থাকাকালে একটা মামলা করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হয়। এই অধিকার লাভের পর কিন্তু নাবালক থাকাকালেই সে উম্মাদ হইয়া পড়ে ।  তাহার নাবালকত্ব ও উম্মাদ অবস্থার অবসানের তারিখ হইতে তাহার তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হইবে ।

(গ) ‘গ’  নাবালক থাকাকালে একটা মামলা করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হয় । সাবালক হইবার পূর্বে ’ গ’  মারা যায় এবং তাহার নাবালক ছেলে ’ খ’   তাহার উত্তরাধিকারী হয় । ’ গ’ সাবালক হইবার তারিখ হইতে তাহার তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হইবে ।

 

ধারা-৭ (কতিপয় বাদী অথবা দরখাস্তকারীর একজনের অপারগতা (Disability of one of several plaintiffs or applicants) :

যেইক্ষেত্রে কতিপয় ব্যক্তি মামলা বা কার্যধারা দায়ের করিবার অথবা ডিক্রী জারির জন্য দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকারী এবং তাহাদের একজন উপরোক্ত প্রকারের অপারগতা এবং তাহার সম্মতি ছাড়াই দায়মুক্ত করা চলে, সেই ক্ষেত্রে তাহাদের সকলের প্রতিকূলেই তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইতে থাকিবে । কিন্তু যেইক্ষেত্রে অনুরূপভাবে দায়মুক্ত করিবার যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত অথবা উপরোক্ত অপারগতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের কাহারও প্রতিকূলে তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইবে না ।

 

উদাহরণ :

(ক) ‘ক’  একটা ফার্মের নিকট দেনাগ্রস্ত হয় । খ, গ ও ঘ সেই ফার্মের অংশীদার । খ উম্মাদ এবং গ নাবালক । খ এবং গ-এর সম্মতি ছাড়াই ঘ দেনাদার ’ ক’-কে দায়মুক্ত করিতে পারিবে  এইক্ষেত্রে খ, গ এবং ঘ সকলের প্রতিকূলেই তামাদি মেয়াদ অতিবাহিত হইবে ।

(খ) ‘ক’  একটা ফার্মের নিকট দেনাগ্রস্ত। চ, ছ এবং জ সেই ফার্মের অংশীদার । চ ও ছ উম্মাদ এবং নাবালক । চ অথবা ছ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা জ সাবালক না হওয়া পর্যন্ত কাহারও প্রতিকূলে তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইবে না ।

 

ধারা-৮ (বিশেষ ব্যতিক্রম (Special exceptions) :

৬ অথবা ৭ ধারার কোনো কিছুই অগ্রক্রয়ের অধিকার বলবতের মামলায় প্রযোজ্য নহে । যেই মেয়াদের মধ্যে মামলা অবশ্যই দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিতে হইবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অপারগতার অবসানে বা মৃত্যুর পর তাহা উক্ত ধারাদ্বয়ের কোনো কিছুই তিন বত্সরের অধিক বর্ধিত করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না ।

উদাহরণ :

(ক) ক নাবালক থাকাকালে মিরাস আদায়ের জন্য মামলা করিবার অধিকার লাভ করে। ইহার ১১ বত্‍সরপর সে সাবালক হয়। সাধারণ আইন অনুসারে ক মামলা দায়ের করিবার জন্য মাত্র অবশিষ্ট এক বত্‍সর সময় পায় । কিন্তু ৬ ধারা ও অত্র ধারা অনুসারে সে আরও দুই বত্‍সর অতিরিক্ত সময় পাইবে । অর্থাত্‍ সাবালক হইবার পর তিন বত্সরের মধ্যে সে মামলা দায়ের করিতে পারিবে ।

(খ) ক উম্মাদ থাকাকালে বংশগত একটা পদ লাভের জন্য মামলা করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হয় । ইহার ৬ বত্‍সর পর ক সুস্থ হয় । সাধারণ আইন অনুসারে ক সুস্থ হইবার ৬ বত্‍সরের মধ্যে মামলা দায়ের করিতে পারিবে   ৬ ধারা অত্র ধারার সহিত মিলাইয়া পড়িতে হইবে এবং তদানুসারে ক-এর মামলা দায়ের করিবার মেয়াদ আর বর্ধিত হইবে না ।

(গ) ক নামক একজন জড়বুদ্ধি সম্পন্ন জমিদার প্রজার নিকট হইতে জমির দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা করিবার অধিকার লাভ করে । ইহার তিন বত্‍সর পর ক মারা যায় এবং মৃত্যুর দিন পর্যন্ত সে জড়বুদ্ধি সম্পন্ন থাকে । সাধারণ আইন অনুসারে ক-এর স্বত্বাধিকারী তাহার মৃত্যুর তারিখ হইতে নয় বত্সরের মধ্যে মামলা দায়ের করিতে পারিবে  ৬ ধারার সহিত অত্র ধারা মিলাইয়া পড়িতে হইবে এবং তদানুসারে উক্ত মেয়াদ আর বর্ধিত হইবে না; কিন্তু স্বত্বাধিকারী এই অধিকার লাভের সময় যদি তাহার কোনো অপারগতা থাকিয়া থাকে, তবে সেইক্ষেত্রে ইহার ব্যতিক্রম হইবে ।

 

ধারা-৯ (সময়ের অবিরাম চলন (Continuous running of time) :

একবার তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইতে আরম্ভ হইলে পরবর্তী কোনো অপারগতা বা অক্ষমতার দ্বারা তাহা বন্ধ হইবে না ।

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে পাওনাদারের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকিবে, ততদিন উক্ত দেনার টাকা আদায়ের মামলার মেয়াদ অতিবাহিত হওয়া স্থগিত থাকিবে ।

একবার তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হইতে শুরু হইলে তত্‍ পরবর্তী মামলা দায়েরের কোনো অযোগ্যতা বা অক্ষমতা উহা রোধ করিতে পারিবে না । তামাদি আইনের বিধান একটা চলমান প্রতিবন্ধকতা । তামাদি শুরু হইলে তাহা চলিতে থাকিবে । যাহার বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থণা করা হইবে, সেই বিবাদী যদি বাদীর দাবী স্বীকার না করিয়া থাকে,তাহা হইলে অন্য কোনো অজুহাতে তামাদি এড়ানো যাইবে না । বিবাদীর নিকট হইতে স্বীকৃতি আদায় করিতে হইলে তাহা অবশ্যই স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক হইতে হইবে ।

তবে শর্ত হইল, যেইক্ষেত্রে কোনো পাওনাদারকে দেনাদারের সম্পত্তি কারবার পরিচালনার পত্রনামা প্রদান করা হইয়াছে, ঐ পরিচালনা অব্যাহত থাকাকালে ঋণ উসুলের জন্য মামলা করিবার নির্ধারিত  মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত মূলতবী থাকিবে ।

ধারা-১০ (প্রকাশ্য অছি এবং তাহাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা (Suits against express trustees and their representatives) :

তামাদি আইনে ইতিপূর্বে যাহাই থাকুক না কেন, যেই ব্যক্তির উপর সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্যে সম্পত্তি ট্রাস্ট ন্যস্ত হইয়াছে, তাহার বিরুদ্ধে বা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বা স্বত্বর্পিত ব্যক্তির (মূল্যভিত্তিক পণ্যের বিনিময়ে স্বত্বার্পিত না হইয়া থাকিলে) তাহার বা তাহাদের হাতের অনুরূপ সম্পত্তির হিসাবের বা উহার আয়ের হিসাবের জন্য কোনো মামলা দায়ের করিতে হইলে তাহা কখনও সময়ের  দৈর্ঘ্যে বারিত হইবে না ।

এই ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে হিন্দু, মুসলিম বা বৌদ্ধ ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত কোনো সম্পত্তি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ট্রাষ্টে ন্যস্ত সম্পত্তি বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং অনুরূপ সম্পত্তির ব্যবস্থাপক উহার অছি বলিয়া গণ্য হইবে ।

 

ধারা-১১ ( বৈদেশিক চুক্তির উপর মামলা (Suits on foreign contracts) :

(১) বিদেশে সম্পাদিত চুক্তির উপর বাংলাদেশে যেইসব মামলা দায়ের করা হয়, সেইগুলি অত্র আইনে বিধৃত তামাদির বিধিসমূহের অধীন ।

(২) বিদেশে সম্পাদিত চুক্তির উপর বাংলাদেশে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে বিদেশী কোনো আইনে তামাদি সংক্রান্ত বিধি জবাবস্বরূপ গ্রাহ্য হইবে না ।

তবে যদি সেই বিধি অনুসারে চুক্তিটির পরিসমাপ্তি ঘটিয়া থাকে এবং যদি উক্ত বিধি অনুসারে নির্ধারিত  সময়কালে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ সেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করিয়া থাকে, সেইক্ষেত্রে ইহার ব্যতিক্রম হইবে ।   
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: দখল সংক্রান্ত আইন
« Reply #2 on: January 24, 2012, 07:28:41 AM »
তৃতীয় অধ্যায়

PART-III

তামাদির মেয়াদ গণনা

COMPUTATION OF PERIOD OF LIMITATION

 

ধারা-১২ ( আইনানুগ কার্যধারায় যেই পরিমাণ সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time in legal proceedings) :

উপধারা-(১) কোনো মামলা আপিল বা দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, যেইদিন হইতে উক্ত মেয়াদ গণনা করিতে হইবে সেই দিন বাদ দিতে হইবে ।

উপধারা-(২) কোনো আপিল,  আপিলের অনুমতির দরখাস্ত অথবা রায় । পুনরীক্ষণের দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, যেই রায় সম্পর্কে অভিযোগ করা ইহবে, তাহা যেইদিন ঘোষণা করা হইয়াছে, সেইদিন এবং যেই ডিক্রী, দন্ডাদেশ বা আদেশ সম্পর্কে আপিল করা হইবে বা পুনরীক্ষণের প্রার্থণা  করা হইবে, তাহার নকল গ্রহণ করিতে যেইসময় আবশ্যক, তাহা বাদ দিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) যেইক্ষেত্রে ডিক্রী সম্পর্কে আপিল বা পুনরীক্ষণের প্রার্থণা  করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রী যেই রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেই রায়ের নকল লইতে যেই সময় লাগে, তাহাও বাদ দিতে হইবে ।

উপধারা-(৪) কোনো রোয়েদাদ নাকচ করিবার দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, রোয়েদাদের নকল লইতে যেই সময় লাগে, তাহা বাদ দিতে হইবে ।

 

ধারা-১৩ (বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কয়েকটি এলাকা হইতে বিবাদীর অনুপস্থিতকালীণ সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time of defendants absence from bangladesh and certain other territories) :

কোনো মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে বাংলাদেশ বহির্ভূত কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রশাসিত এলাকা হইতে বিবাদীর অনুপস্থিত কাল বাদ দিতে হইবে ।

 

ধারা-১৪ (এখতিয়ারবিহীন আদালতে সমুদ্দেশ্যমূলক কার্যধারায় যেই সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time of proceeding bonafide in court without jurisdiction) :

(১) কোনো মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, বাদী কোনো আদিম বা আপিল আদালতে বিবাদীর বিরুদ্ধে যদি অন্য একটা দেওয়ানী কার্যক্রম যথাবিহিত যত্ন সহকারে চালাইতে থাকে। তবে সেইক্ষেত্রে উক্ত মামলা ও কার্যক্রমের কারণ যদি এক্ই হয় এবং এখতিয়ারগত ত্রুটি বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণে যেই আদালত শেষোক্ত কার্যক্রমের বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন নহে, সেই আদালতে যদি সত্‍ বিশ্বাসে উহা দায়ের করা হইয়া থাকে, তবে শেষোক্ত কার্যক্রমে যেই সময় ব্যয়িত হয়, প্রথমোক্ত মামলার মেয়াদ গণনা হইতে তাহা বাদ দিতে হইবে ।

যথাযথ সতর্কতা ও সচেষ্ট প্রয়োগ সত্বেও একজন যুক্তিবান ও পরিণামদর্শী মানুষের পক্ষে যেই ধরনের ভুল হওয়া স্বাভাবিক, শুধুমাত্র ঐ ধরনের ভুলের ব্যাপারে জড়িত মামলার ক্ষেত্রেই এই ধারার বিধান অনুসারে সুবিধাদান করা যাইতে পারে । নিম্নতর আপিল আদালত যেইক্ষেত্রে যথাযথভাবে অত্র ধারার আওতায় উহার স্ববিচার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেইক্ষেত্রে হাইকোর্ট উহাতে হস্তক্ষেপ করিয়া থাকেনা ।

আপিলের জন্য সময় গণনাকালে অত্র ধারাটি প্রয়োগ ঘটে না । তবে ইহার যুক্তিযুক্ত মূলনীতি এবং এই ধারায় ভাবিত পরিস্থিতি যথাসময়ে আপিল উপস্থাপন করিবার জন্য ৫ ধারার অর্থ অনুসারে পর্যাপ্ত কারণ হিসাবে সাধারণত গ্রাহ্য হইতে পারে ।

ধারা-১৫। কার্যক্রম স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time during which proceedings are suspended) :

(১) যেই মামলা বা ডিক্রী জারির দরখাস্ত দায়ের বা জারি কোনো নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ দ্বারা স্থগিত রাখা হইয়াছে, তাহার জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনার সময়, যতদিন উহা নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ বলবত্‍ ছিল, যেইদিন উহা প্রদত্ত হইয়াছিল এবং যেইদিন উহা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল, তাহা বাদ দিতে হইবে।

(২) যেই মামলার জন্য বর্তমানে বলবত্‍ অন্য কোনো আইনের বিধান অনুসারে নোটিশ দেওয়া হইয়াছে, তাহার জন্য নির্ধারিত  মেয়াদ গণনায় নোটিশের কাল বাদ দিতে হইবে।

 

ধারা-১৬। ডিক্রী জারির বিক্রয় রদ করিবার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time during which proceedings to set aside execution sale are pending) :

ডিক্রী জারির নিলামে খরিদা সম্পত্তির দখল পাইবার জন্য নিলাম খরিদ্দার কর্তৃক মামলা দায়ের করিবার জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনার সময় নিলাম রদের জন্য দায়েরকৃত কার্যধারা যতদিন চলিয়াছে, তাহা উক্ত মেয়াদ গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে।

 

ধারা-১৭। মামলা করিবার অধিকার অর্জনের পূর্বে মৃত্যুর ফলাফল (Effect of death before right to sue accrues) :

(১) যেই ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকিলে একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকারী হইতো,  কিন্তু সেই ব্যক্তি উক্ত অধিকার সৃষ্টি হইবার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে, সেইক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধি উক্ত মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হইবার সময় হইতে তামাদি মেয়াদ গণনা করা হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকিলে তাহার বিরুদ্ধে কেহ একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকার লাভ করিতো, কিন্তু সেই ব্যক্তি উক্ত অধিকার সৃষ্টি হইবার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে, সেইক্ষেত্রে যখন মৃত ব্যক্তির এইরূপ কোনো আইনানুগ প্রতিনিধি থাকিবে, যাহার বিরুদ্ধে বাদী মামলা দায়ের বা দরক্ষাস্ত দাখিল করিতে পারিবে, তখন হইতে তামাদি মেয়াদ গণনা করা হইবে।

(৩) সম্পত্তি প্রয়োগের অগ্রাধিকার প্রয়োগের মামলা অথবা স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত দখল বা বংশগত কোনো পদলাভ সম্পর্কিত মামলার ক্ষেত্রে উপরোক্ত (১) ও (২) উপধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য নহে।

 

ধারা-১৮। প্রতারণার ফলাফল (Effect of Fraud) :

যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকারী হয়, কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে তাহাকে সেই অধিকারের বিষয় অথবা যেই স্বত্বের উপর উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যেই দলিল প্রয়োজনীয়, তাহা প্রতারণা করিয়া তাহার নিকট হইতে গোপন রাখা হইয়াছে, সেই সকল ক্ষেত্রে-

(ক) প্রতারণার জন্য দোষী ব্যক্তির বা তাহার সহযোগীর বিরুদ্ধে, অথবা

(খ) যেই ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময় ভিন্ন অন্য প্রকারে উক্ত দোষী ব্যক্তির মাধ্যমে স্বত্ব দাবি করে, তাহার বিরুদ্ধে- ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন প্রতারণার কথা জানিতে পারে, সেইদিন হইতে অথবা দলিল গোপন করা হইয়া থাকিলে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন হইতে অথবা দলিল গোপন করা হইয়া থাকিলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন দলিলটি উপস্থাপন করিতে সমর্থ হয় বা অপর পক্ষকে উহা উপস্থাপন করিবার জন্য বাধ্য করিতে পারে, সেইদিন হইতে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।

 

ধারা-১৯। লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল (Effect of acknow-ledgement in writing) :

উপধারা-(১) যেই ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার জন্য নির্ধারিত  তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই যেই পক্ষের নিকট হইতে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার দাবি করা হইতেছে, সেই পক্ষ স্বয়ং অথবা যাহার মাধ্যমে তিনি উক্ত সম্পত্তির স্বত্ব বা দায় প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তি লিখিত স্বাক্ষরিতভাবে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে দায় স্বীকার করেন, সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ স্বীকৃতি স্বাক্ষরিত হইবার সময় হইতে নূতন করিয়া মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।

উপধারা-(২) উক্ত লিখিত স্বীকৃতিতে কোনো তারিখ না থাকিলে, উহা স্বাক্ষর করিবার সময় সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইতে পারে, কিন্তু ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের বিধান সাপেক্ষে উহার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো মৌলিক সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না।

ব্যাখ্যা-১। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে স্বীকৃতি যথেষ্ট হইতে পারে, যদিও সম্পত্তি বা অধিকারের সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কে উহাতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নাই, অথবা যদি উহাতে বলা হয় যে, টাকা পরিশোধ, পণ্য আপণ চুক্তি পালন বা কিছু ভোগদখলের সময় এখনও আসে নাই, অথবা যদি সংশ্লিষ্ট স্বীকৃতির সহিত টাকা পরিশোধ করিতে, পণ্য  অর্পণ করিতে, চুক্তি সম্পাদন করিতে বা কিছু ভোগদখল করিবার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতিও জ্ঞাপন করা হয়, অথবা যদি উহার সহিত শোধবাদের কোনো দাবি উপস্থাপন করা হয় অথবা যদি উহা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বা অধিকারের স্বত্ববান ব্যক্তি ভিন্ন অপর কোনো ব্যক্তির উদ্দেশ্যে লিখিত হয়।

ব্যাখ্যা-২। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে  ‘স্বাক্ষরিত’   কথাটির দ্বারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বয়ং বা এই ব্যাপারে যথাবিহিতরূপে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত বুঝাইবে।

ব্যাখা-৩। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কোনো ডিক্রী জারি বা আদেশ কার্যকর করিবার দরখাস্ত একটা অধিকার সম্পর্কিত দরখাস্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

ধারা-২০। উত্তর দায় সংক্রান্ত ঋণ পরিশোধের অথবা সুদ প্রদানের ফলাফল (Effect of payment on account of debt or of interest on legacy) :

উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে কোনো দেনা অথবা দায়ের সুদ বাবদ নির্ধারিত  মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে উক্ত দেনা বা দায় পরিশোধ করিতে দায়ী ব্যক্তি স্বয়ং বা তাহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কোনো অর্থ প্রদান করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অর্থ প্রদানের তারিখ হইতে নূতন করিয়া তামাদি মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, ১৯২৮ সালের ১লা জানুয়ারির পূর্বে সুদ পরিশোধের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে, যেই ব্যক্তি অর্থ প্রদান করিবে, স্বীকৃতি তাহার স্বহস্তে লিখিত ও স্বাক্ষরিত অথবা অপরের লিখিত হইলেও তত্‍কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।

উপধারা-(২) বন্ধকী জমির প্রাপ্তির রসিদের ফলাফল (Effect of receipt of produce of mortgage land) : যেইক্ষেত্রে বন্ধক দেওয়া জমি বন্ধক গ্রহীতার দখলে থাকে, সেইক্ষেত্রে অনুরূপ জমির খাজনা বা ফসল প্রাপ্তির রসিদ ১ উপধারার উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান বলিয়া বিবেচিত হইবে।

ব্যাখ্যা : দেনা বলিতে আদালতের ডিক্রী বা আদেশের অধীন প্রদেয় অর্থও বুঝাইবে।

 

ধারা-২১। অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি (Agent of person under disability) :

উপধারা-(১) অত্র আইনের ১৯ ও ২০ ধারায়   ‘তাহার পক্ষে যথাবিহিতরূপে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি’   বলিতে অপারগতাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাহার আইন সম্মত অভিভাবক, কমিটি বা ম্যানেজারকে অথবা অনুরূপ অভিভাবক, কমিটি বা ম্যানেজার কর্তৃক স্বীকৃতি স্বাক্ষর করিবার বা অর্থ প্রদান করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে।

উপধারা-(২) যৌথ চুক্তিকারী প্রভৃতির একজন কর্তৃক স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান (Acknowledgment or payment by one of several joint contractors, etc.) : উপরোক্ত ধারাগুলি কোনো বিধানবলে যৌথ চুক্তিকারী, অংশীদার, নির্বাহক বা বন্ধকগ্রহীতাগণের মধ্যে একজনের বা একাধিক জনের অথবা তাহাদের একজনের বা একাধিকজনের প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত কোনো লিখিত স্বীকৃতির ফলে বা অর্থ প্রদানের ফলে অপরজনকে কোনো দেনার জন্য দায়ী করা যাইবে না।

উপধারা-(৩) উপেরাক্ত ধারাগুলির উদ্দেশ্য সাধনকল্পে--

(ক) হিন্দু আইনের আওতাধীন কোনো বিধান অথবা কোনো সম্পত্তিতে সীমিত স্বত্বে স্বত্ববান কোনো ব্যক্তি বা তাহার যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কর্তৃক কোনো দায়েরের ব্যাপারে স্বাক্ষরিত স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান উক্ত দায়ের পরবর্তী উত্তরাধীকারীর প্রতিকূলে বৈধ স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান হিসাবে গণ্য হইবে।

(খ) যেইক্ষেত্রে কোনো অবিভক্ত হিন্দু পরিবার বা তত্‍পক্ষে কেহ কোনো দায়গ্রস্ত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পরিবারের ম্যানেজার বা তাহার যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধি কোনো স্বীকৃতিদান বা অর্থ প্রদান করিলে তাহার সমগ্র পরিবারের পক্ষ হইতে করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 

ধারা-২২। নূতন বাদী বা বিবাদীকে কাহারও স্থলাভিষিক্ত বা পক্ষভুক্ত করিবার  ফলাফল (Effect of substituting or adding new plaintiff or defendent) :

উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে মামলা দায়ের করিবার পর নূতন কোনো বাদী বা বিবাদীকে কাহারও স্থলাভিষিক্ত বা পক্ষভুক্ত করা হয়, সেইক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি যেই তারিখে অনুরূপ পক্ষভুক্ত হইয়াছে, তাহার জন্য মামলাটি সেই তারিখে দায়ের করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

উপধারা-(২) যেইক্ষেত্রে মামলা মুলতবী থাকাকালে স্বত্বার্পণ বা কোনো স্বত্ব হস্তান্তরের কারণে কাহাকেও পক্ষভুক্ত বা স্থলাভিষিক্ত করা হয় অথবা যেইক্ষেত্রে বাদীকে বিবাদী কিংবা বিবাদীকে বাদীতে রূপান্তরিত করা হয়, সেইক্ষেত্রে ১ উপধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।

 

ধারা-২৩। অবিরাম চুক্তিভঙ্গ বা অন্যায় করা (Continuing breaches and wrongs) :

যেইক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি ভঙ্গ করা হয় এবং যেইক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি নিরপেক্ষভাবে অন্যায় করা হয়, সেইক্ষেত্রে চুক্তি ভঙ্গ বা অন্যায় চলাকালীন সময়ের প্রতি মুহূর্তেই নূতন করিয়া তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইতে শুরু করে।

এমন অনেক চুক্তি রহিয়াছে, যাহা ভঙ্গ হইলে প্রতিমুহূর্তে নালিশের কারণ উদ্ভব হইতে পারে। চুক্তি বহির্ভূত এমন অনেক লোকসান রহিয়াছে,  যাহা প্রতিমুহূর্তে নালিশের কারণের উদ্ভব ঘটায়। এইসব ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ প্রতিমুহূর্তে বৃদ্ধি পায়।

 

ধারা-২৪। বিশেষ ক্ষতির কারণ না হইলে যেই কাজের জন্য মামলা করা যায় না, তাহার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা (Suit for compensation for act not actionable without special damage) :

যেই কার্যের দ্বারা বাস্তবিক পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট ক্ষতি সাধিত না হইলে কোনো মামলার কারণ উদ্ভুত হয় না, তদ্রূপ কার্যের দরূন ক্ষতিপূরণের মামলার জন্য যখন ক্ষতি হয়, তখন হইতে তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।

 

উদাহরণ :

‘ক’   একটা জমির উপরিভাগের মালিক। ‘খ’   ঐ জমির ভূ-গর্ভের মালিক। উপরিভাগের তাত্‍ক্ষণিক স্পষ্ট কোনো ক্ষতি না করিয়া ভূ-গর্ভ হইতে কয়লা খনন ও উত্তোলন করে । কিন্তু অবশেষে জমিটির উপরিভাগ ধ্বসিয়া পড়ে। এইক্ষেত্রে ‘ক’   কর্তৃক ‘খ’-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের তামাদির মেয়াদ ধ্বসিয়া পড়ার সময় হইতে শুরু হইবে।

 

ধারা-২৫। দলিলের উল্লিখিত সময়ের গণনা (Computation of time mentioned in instruments) :

এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে যাবতীয় দলিল গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রণীত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 

উদাহরণ :

(ক) জনৈক হিন্দু একটা অঙ্গীকার পত্রে স্থানীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে তারিখ উল্লেখ করে। অংগীকারপত্রটি ঐ তারিখ হইতে চার মাস পর পরিশোধযোগ্য। এক্ষণে[
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: দখল সংক্রান্ত আইন
« Reply #3 on: January 24, 2012, 07:29:28 AM »
চতুর্থ অধ্যায়

PART-IV

দখলবলে মালিকানা স্বত্ব অর্জন

ACQVISITION OWNERSHIP BY POSSESSION

 

ধারা-২৬। সুখাধিকারসমূহ অর্জন (Acquisition of right to easements) :

উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে কোনো দালানে আলো বা বাতাসের প্রবেশ ও ব্যবহার সুখাধিকার হিসাবে এবং অধিকার হিসাবে অব্যাহতভাবে এবং বিশ বত্‍সর যাবত্‍ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ করা হইয়াছে এবং যেইক্ষেত্রে কোনো পথ বা জলস্রোত অথবা কোনো পানির ব্যবহার অথবা অন্য যেই কোনো সুখাধিকার (ইতিবাচক, নেতিবাচক যাহাই হউক না কেন) কোনো ব্যক্তি সুখাধিকার ও অধিকার হিসাবে উহাতে স্বত্ব দাবি করিয়া অব্যাহতভাবে এবং বিশ বত্‍সর যাবত্‍ শান্তিপূর্ণভাবে ও প্রকাশ্যে ভোগ করিয়াছে, সেইক্ষেত্রে অনুরূপ আলো-বাতাসের প্রবেশ ও ব্যবহার, পথ, জলস্রোত, পানির ব্যবহার অথবা অন্য কোনো সুখাধিকার নিরষ্কুশ ও অলংঘনীয় অধিকারে পরিণত হইবে।

যদি কোনো মামলায় উক্তরূপ কোনো অধিকারের দাবির বিরোধিতা করা হয়, সেই মামলায় উক্ত উভয় ক্ষেত্রেই বিশ বত্‍সর বলিতে মামলা দায়েরের তারিখের অব্যবহতি পূর্ববর্তী দুই বত্‍সরের মধ্যে সমাপ্ত বিশ বত্‍সর বুঝাইবে।

উপধারা-(২) যেই সম্পত্তির উপর (১) উপধারা অনুসারে অধিকার দাবি করা হয়, তাহা যদি সরকারের সম্পত্তি হয়, তবে উক্ত উপধারায়   ‘বিশ

বত্‍সর’  কথাগুলির স্থলে ‘ষাট বত্‍সর’  কথাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

 

ব্যাখ্যা : এই ধারার অর্থানুসারে কোনো কিছুই ব্যাহত হইবে না যদি দাবিদার ব্যতীত অন্য কোনো লোকের কার্য দ্বারা বাধার ফলে দখল বা ভোগ প্রকৃত বিরতি না হয় এবং যদি উক্ত বাধা মানিয়া না লওয়া হয় অথবা উহাতে মৌন সম্মতি প্রকাশ না করা হয় এবং তাহা দাবিদারের গোচরীভুত হইবার পর এক বত্‍সর অতিবাহিত হয়।

 

উদাহরণ :

(ক) পথ চলার অধিকারে বাধা প্রদানের জন্য ১৯১১ সালে একটা মামলা দায়ের করা হয়। বিবাদী বাধা প্রদানের কথা স্বীকার করে। কিন্তু পথ চলার অধিকারের প্রতি অস্বীকৃতি জানায়। বাদী প্রমাণ করিয়া থাকে যে, সে এই অধিকার ১৮৯০ সালের ১লা জানুয়ারি হইতে ১৯১০ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহতভাবে উহাতে সুখাধিকার হিসাবে স্বত্ব দাবি করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ও প্রকাশ্যে ভোগ করিয়াছে। বাদী স্বীয় অনুকূলে রায় পাইবার অধিকারী।

(খ) অনুরূপ এক মামলায় বাদী দাবি করিয়া থাকে যে, সে এই অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে ও প্রকাশ্যে বিশ বত্‍সর যাবত ভোগ করিয়াছে, বিবাদী প্রমাণ করিয়া থকে যে, ঐ বিশ বত্‍সরের মধ্যে বাদী একবার এই অধিকার ভোগের জন্য তাহার অনুমতি প্রার্থণা  করিয়াছিল। মামলাটি খারিজ হইয়া যাইবে।

 

ধারা-২৭। পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাবী উত্তরাধিকারীর পক্ষে সময়ের অব্যাহতি (Exclusion in favour of reversioner of servient tenement) :

যেইক্ষেত্রে কোনো জমি বা পানির সুখাধিকার কোনো জীবনস্বত্ব বা তিন বত্‍সরের অধিককালের মঞ্জুরকৃত স্বত্ববলে প্রাপ্ত হইয়াছে, বা ভোগ করা গিয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত স্বত্ব বাতিল হইবার পরবর্তী তিন বত্‍সরের মধ্যে যদি স্বত্ব লাভের অধিকারী ব্যক্তি অনুরূপ জমি বা পানি সম্পর্কে উক্তরূপ দাবির বিরোধিতা করে, তবে বিশ বত্‍সর গণনা করিবার সময় উপরোক্ত জীবনস্বত্ব বা মঞ্জুরী বহাল থাকাকালে সুখাধিকার যতদিন ভোগ করা গিয়াছে, বিশ বত্‍সর হইতে সেই সময় বাদ দিয়া গণনা করিতে হইবে ।

 

উদাহরণ :

ক-একটা মামলা দায়ের করিয়া খ-এর জমির উপর তাহার পথ চলার অধিকার ঘোষণা প্রার্থণা  করে। ক প্রমাণ করিয়া থকে যে, সে পঁচিশ বত্‍সর যাবত এই অধিকার ভোগ করিয়াছে । খ দেখায় যে, উক্ত পঁচিশ বত্‍সরের মধ্যে দশ বত্‍সর উক্ত জমির উপর গ-নাম্নী এক হিন্দু বিধবার জীবনস্বত্ব বিদ্যমান ছিল এবং গ-এর মৃত্যুর পর খ উক্ত জমিতে স্বত্বলাভ করিয়া থাকে এবং গ-এর মৃত্যুর পর দুই বত্‍সরের মধ্যে খ ক-এর দাবির বিরোধিতা করিয়াছে । এই ক্ষেত্রে মামলাটি খারিজ হইয়া যাইবে । কারণ এই ধারার বিধানাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে ক মাত্র পনরো বত্‍সর অধিকার ভোগ করিয়াছে বলিয়া প্রমাণ করিয়াছে ।

 

ধারা-২৮। সম্পত্তির অধিকার বিলুপ্তি (Extinguishment of right to property) :

কোনো সম্পত্তি দখল প্রাপ্তির জন্য মামলা দায়ের করিবার ব্যাপারে এই আইনে যেই মেয়াদ নির্ধারিত  করিয়া দেওয়া হইয়াছে, তাহা উত্তীর্ণ হইবার পর সেই সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার বিলুপ্ত হইয়া যাইবে ।

বিরুদ্ধ-দখলের মাধ্যমে একটা সম্পত্তি বৈধ স্বত্ব অর্জিত হইতে পারে। বিরুদ্ধ উপাদানগুলি হইলো :

(১) বাদীর বৈধ স্বত্ব ও অধিকারের উপর ‘বিরুদ্ধ-দখল’   প্রতিষ্ঠিত হইতে হইবে ।

(২) বাদীর সম্পত্তিটি অবশ্যই বিবাদীর দখলে থাকিতে হইবে ।

(৩) জবর-দখলজনিত কারণে বেদখল সংঘটিত হইতে হইবে । বেআইনীভাবে দখল বা জবর-দখল সংঘটিত না হইলে, ‘বিরুদ্ধ দখল’   প্রতিষ্ঠিত হইবে না ।

(৪) বিবাদীর জবর-দখল অবশ্য বাদীর প্রতিকূলে হইতে হইবে।

(৫) জবর-দখল হইবার সময় হইতে বারো বত্‍সরের মধ্যে বাদীকে অবশ্যই দখল পুনরুদ্ধার করিবার  জন্য মামলা রুজু করিতে হইবে ।

(৬) বেদখল হইবার সময় হইতে বরো বত্‍সরের মধ্যে ঐ সম্পত্তিতে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা না করিলে বিবাদীর অনুকূলে স্বত্ব অর্জিত হইবে ।

(৭) বিবাদীকে জবর-দখল পূর্বক সম্পত্তিটি দখলে রাখিবার চেষ্টায় লিপ্ত থাকিতে হইবে ।

(৮) সম্পত্তির দখল নিরবচ্ছিন্ন, প্রকাশ্যে এবং প্রকৃত মালিকসহ অন্যান্য সকলের বিরুদ্ধে অভিহিত করা হইয়া থাকে ।

(৯) ‘বিরুদ্ধ দখল’   অবশ্যই প্রকৃত মালিকের জ্ঞাতসারে থাকিতে হইবে ।

(১০) বাদীর স্বত্ব অস্বীকারে জবর-দখলকারীকে নিজের দাবিতে জমিতে দখল থাকিতে হইবে ।

(১১) আইনসম্মতভাবে প্রথম হইতে বৈধ-দখল আরম্ভ হইলে, পরে কোনো অবস্থাতেই বিরুদ্ধ দখলের দাবি উত্থাপন করা যাইবে না।

(১২) বিরুদ্ধ-দখলের কারণে, বিবাদীর স্বত্বের উদ্ভব হইবে এবং বাদীর স্বত্ব নিঃশেষ হইবে।

তামাদি আইনের দখল উদ্ধারের জন্য তামাদির মেয়াদ প্রথম তফসিলে নির্ধারিত  রহিয়াছে । এই নির্ধারিত  সময় পার হইয়া গেলে ঐ সম্পত্তির উপর দাবীকারীর স্বত্ব লোপ পায়।

কোনো ব্যক্তি যদি অন্যের সম্পত্তি প্রকাশ্যভাবে মালিকের গোচরে ১২ বত্‍সরের উর্ধ্বকাল দখল করিয়া থাকে, তবে সেইক্ষেত্রে জবরদখলকারীর স্বত্ব পাকা হয় এবং আসল মালিকের স্বত্ব নষ্ট হয়।

Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: দখল সংক্রান্ত আইন
« Reply #4 on: January 24, 2012, 07:30:03 AM »
পঞ্চম অধ্যায়

PART-V

সংরক্ষণ ও বাতিল

SAVINGS AND REPEALS

 

ধারা-২৯। সংরক্ষণ (Savings) :

(১) এই আইনের কোনো বিধান ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের (১৮৭২ সালের ৯নং আইনে) ২৫ ধারাকে প্রভাবিত করিবে না।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো বিশেষ আইনে কোনো মামলা, আপিল বা দরখাস্তের জন্য এই আইনের প্রথম তফসিলে নির্ধারিত  মেয়াদ অপেক্ষা ভিন্নতর মেয়াদের বিধান রহিয়াছে, সেইক্ষেত্রে এই আইনের ৩ ধারার বিধানসমূহ এইরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত ভিন্নতর মেয়াদ এই আইনের বিধান অনুসারে কোনো মামলা, আপিলে বা দরখাস্তের তামাদির মেয়াদ গণনার উদ্দেশ্যে-

(ক) এই আইনের ৪ ধারা, ৯ হইতে ১৮ ধারা ও ২২ ধারার বিধানসমূহ সেই পরিমাণে প্রযোজ্য হইবে, যেই পরিমাণ উহা উক্ত বিশেষ আইনের ষ্পষ্ট বহির্ভূত নহে; এবং

(খ) এই আইনের অবশিষ্ট বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না।

(৩) এই আইনের কোনো বিধান বিবাহ-বিচ্ছেদ আইন (১৮৬৯ সালের ৪ নং আইন) অনুসারে আনীত মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

(৪) যেই সকল এলাকায় ১৮৮২ সালের সুখাধিকার আইনের আওতা আপাতত সম্প্রসারিত করা হইবে, সেই সকল এলাকা হইতে উদ্ভূত মামলার ক্ষেত্রে আইনের ২৬ ও ২৭ ধারা এবং ২ ধারায় বর্ণিত  ‘সুখাধিকার’   এবং সংজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না

Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection