ভাল হাড়ের জন্য চাই প্রচুর ভিটামিন-কে, আর এরকম প্রচুর ভিটামিন-কে পাবেন সবুজ শাকসবজিতে। হার্ভার্ড-এর একদল বিজ্ঞানী দেখেন যে, হিফ জয়েন্ট ভাঙনে যে প্রচুর ভিটামিন-কে-এর প্রয়োজন তা আপনি অর্ধকাপ গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে পাচ্ছেন। তারা গবেষণায় ৭৩,০০০ মহিলাকে ভিটামিন-কে দিয়ে এরকম একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এসব মহিলার প্রত্যেককে ১০৯ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে দেন প্রতিদিন (যা কিনা সহজেই গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়) এবং ১০ বছরের অধিক এই গবেষণায় লক্ষ্য করেন যে, শতকরা ৩০ ভাগেরও কম মহিলা হিপের ভাঙনে আক্রান্ত হন। মূলত ভিটামিন-কে এই কাজটি নিজে নিজে করতে পারে না। এই ভিটামিন অস্টিওক্যালসিন নামক এক ধরনের অস্থিপ্রোটিনকে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটানোর মাধ্যমে হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এবং হাড়কে শক্ত রাখে। যদিও এটা নিশ্চিত যে হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি অত্যাবশ্যক কিন্তু ভিটামিন-কে-এর অভাবে অস্টিওক্যালসিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না অস্থির উপর, ফলে হাড় থাকে খুব দুর্বল। প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খান, যা কিনা ভিটামিন-কে-এর উত্তর উৎস-আর রক্ষা করে হাড়কে সব ধরনের ভাঙন থেকে।
ভিটামিন ডি বিষণ্নতা রোধ করে!
দিনের বেশিরভাগ সময় কি আপনি বিষণ্নতায় ভোগেন? তাহলে ভিটামিন ডি আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। ভিটামিন ডি গ্রহণে মন উৎফুল্ল হয়, কাজে আগ্রহ এবং সতর্কতা বাড়ে। ফিলাডেলফিয়ার এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গবেষণার কাজটি পরিচালনা করেন ড. ব্রেন্ডা বেয়ার্ন। গবেষকরা কলেজ ছাত্রছাত্রীদের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন যে, যারা দৈনিক ৪০০ আইইউ ভিটামিন ডি গ্রহণ করেছে তারা যে কোন কাজে বেশি উদ্যোমী, বেশি প্রাণবন্ত। এ ধরনের গবেষণা এবং তার ফলাফল খুবই কৌতুহলোদ্দীপক সন্দেহ নেই। কেননা বিষণ্নতা সত্যিকার অর্থে ভয়াবহ এক সমস্যা ভিটামিন ডি গ্রহণে যদি বিষণ্নতা কেটে যায় সেটা হবে অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের মতো অবস্থা। কিন্তু ভিটামিন ডি কীভাবে বিষণ্নতাকে পরাজিত করে? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভিটামিন ডি মস্তিষ্কের মেজাজ উত্তোলনকারী রাসায়নিক উপাদান সেরোটোনিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে, ফলে বিষণ্নতা দূর হয়।
আপনার তর্জনীও জানিয়ে দেয় আপনার রিপ্রোডাক্টিভ ক্ষমতা
অনামিকার তুলনায় তর্জনী যতো বড় হবে আপনি ততবেশি উর্বর-জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল ইন্ইংল্যান্ড-এর বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের উপর গবেষণা করে দেখেন যে সেক্স অর্গান এবং হাত পায়ের আঙ্গুল গঠন প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করে একই জিন। তো তারা দেখেছেন যে, আঙ্গুলের গঠন যাদের তুলনামূলক লম্বা তারা ছোট আঙ্গুলের অধিকারীদের তুলনায় বেশি উর্বর। গবেষকরা আরো দেখেন যে লম্বা তর্জনী মানেই রক্তে স্ত্রী হরমোনের মাত্রাও বেশি থাকে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, অক্টোবর ২৬, ২০০৯