বিড়াল আমাদের অনেকেরই খুব পছন্দের প্রাণী। আমরা অনেকেই খুব শখ করে বিড়াল পুষি। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার পায়ে পায়ে হাঁটে যে বিড়ালটি তা অনাগত নবজাতকের কতটা ক্ষতি করতে পারে? টক্সোপ্লাজমোসিস রোগটির নাম হয়ত অনেকেই শুনে থাকবেন। এটি প্রোটোজোয়া (এককোষী প্রাণী) বাহিত একটি রোগ। পোষা বিড়াল হচ্ছে এই জীবাণুর বাহক এবং মানুষ এই জীবাণুর মধ্যবর্তী বাহক। এ রোগে আক্রান্ত বিড়ালের মলের মাধ্যমে সরাসরি এ রোগটির জীবাণু মানুষের কাছাকাছি আসে এবং সুযোগ বুঝে শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া একজন মহিলা যদি গর্ভকালীন এ রোগের জীবাণু দিয়ে আক্রান্ত হন তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুও এ রোগের আক্রান্ত হতে পারে। এখন দেখা যাক এ কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে? এসব ক্ষেত্রে বাচ্চাটির কিছু কিছু অঙ্গ যেমন মস্তিষ্ক, চোখ, হৃদপিন্ড, যকৃত ও ফুসফুস খুব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি মৃত বাচ্চা বা গর্ভপাতের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। অনেক সময় শিশুটির মধ্যে জন্মের সময় এ রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। চোখ কিংবা মস্তিষ্কের ক্ষতিগুলো কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর প্রকাশ পেতে পারে। এবং শিশুটি মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। ভয়ের কিছু নেই। গর্ভকালীন বিড়াল থেকে দূরে দূরে থাকুন। এভাবে সহজেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ইমরান আজিজ, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, আগস্ট , ২০০৯