Author Topic: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক  (Read 1601 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিল

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি

১৯৬৬ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত ২২০০ ক (২১) মোতাবেক স্বাক্ষরদান, অনুসমর্থন ও যোগদানের জন্য গৃহীত ও উম্মুক্ত৷

চুক্তির ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯৭৬ সালের ২৩ শে মার্চ থেকে কার্যকর৷

 ভূমিকা:

 

এই চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ যেহেতু স্বীকার করে যে, জাতিসংঘের সনদে ঘোষিত নীতি মোতাবেক পৃথিবীতে স্বাধীনতা, ন্যায়পরতা এবং শান্তির ভিত্তি হচ্ছে সকল মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা ও অবিচ্ছেদ্য সমঅধিকারের স্বীকৃতি, যেহেতু স্বীকৃত যে, মানব হৃদয়ের স্বাভাবিক মহত্ত্ব থেকে এই সকল অধিকারের উত্পত্তি ঘটেছে,

 

যেহেতু স্বীকার করে যে,

মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী মানুষ সত্যিকারভাবে অভাব এবং ভয়-ভীতি থেকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে, যদি সে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা নাগরিক  এবং রাজনৈতিক অধিকারসমূহ উপভোগ করতে পারে,

 

যেহেতু মনে করে যে,

জাতিসংঘের আওতাধীন রাষ্ট্রসমূহের দায়িত্ব রয়েছে মানবাধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহ প্রতিষ্ঠা এবং উহার প্রতি সার্বজনীন সম্মান প্রদর্শন,

 

যেহেতু মনে করে যে,

প্রতিটি ব্যক্তির কর্তব্য রয়েছে অন্যের প্রতি এবং নিজ সমাজের প্রতি আলোচ্য চুক্তিতে বর্ণিত অধিকারসমূহের প্রতিষ্ঠা এবং সংরক্ষণের জন্য, সেহেতু, অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ একমত হয়ে নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহ (আলোচ্য চুক্তিতে) সম্বিবেশিত করছে :

 

 

প্রথম পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ-১

১. আত্ননিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে সকল জাতিসমূহের৷ এ অধিকার বলে তারা স্বাধীনভাবে ঠিক করবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান এবং মুক্তভাবে চালিয়ে যাবে তাদের স্বকীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন৷

২. সকল জাতিসমূহই তাদের স্ব-স্ব প্রয়োজনে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ববহার করতে পারবে৷ পারস্পরিক স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত কোন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েও তাদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷ কোন কারণেই কোন জাতিকে তার নিজস্বভাবে বাঁচার এই উপায় উদ্ভাবন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷

৩. চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ অছি রাষ্ট্রসহ আত্ননিয়ন্ত্রণের এই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী এই অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে৷

 

২য় পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ-২

১. জাতি, বর্ন, ভাষা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য মতাদর্শ, ধনী, গরীব ও জণ্মসূত্র  নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির অধিকারসমূহ যা আলোচ্য চুক্তিতে বর্ণিত হয়েছে তার প্রতি অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাষ্ট্র প্রদর্শন এবং নিশ্চিত করবে৷

২. প্রতিটি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র যারা এখনও তাদের দেশে আইনগত এবং অন্যান্য পদক্ষেপ দ্বারা উক্ত অধিকারসমূহ প্রদান করেনি তারা আলোচ্য চুক্তির গঠনতান্ত্রিক পদ্ধতি এবং শর্তানুযায়ী সেই সব  আইনগত ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে উক্ত অধিকারসমূহ কার্যকর হয়৷

৩. আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে চায় যে,

(ক) যদি কোন ব্যক্তির চুক্তিতে বর্ণিত অধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহ লংঘিত হয় তবে উহার প্রয়োজনীয় প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে, যদিও উক্ত লংঘন সরকারি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির দ্বারাও সংগঠিত হয়;

(খ) যদি কোন ব্যক্তি এই ধরনের প্রতিকারে দাবি করে তবে তার উক্ত দাবির যথার্থতা প্রশাসনিক বিচার বিভাগীয় বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরূপিত হবে এবং তার বিচার বিভাগীয় প্রতিকার পাবার সম্ভাবনা নিশ্চত করতে হবে;

(গ) প্রতিকারের ব্যবস্থা অনুমোদিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ উহা কার্যকর করে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে৷
 

অনুচ্ছেদ - ৩

চুক্তিতে বর্ণিত নাগরিক ও রাজনৈতিক সকল অধিকারসমূহ উপভোগ নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ নিশ্চয়তা বিধান করবে৷
 

অনুচ্ছেদ - ৪

১. জরুরী অবস্থার সময়ে যখন জাতির জীবন হুমকির সম্মুখীন হয় এবং উহা যখন জাতির অস্তিত্বের জন্য সরকারিভাবে জারি করা হয় তখন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ চুক্তির পরিপন্থি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, তবে উক্ত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক হতে পারবে না এবং জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম অথবা জণ্মসূত্রের পার্থক্য করে উহা প্রয়োগ করা যাবে না৷

২. এই শর্তে মোতাবেক ধারা ৬, ৭, ৮ (অনুচ্ছেদ ১ এবং ২) ১১, ১৫, ১৬ এবং ১৮ এর ক্ষতিকারক কিছু তৈরি করা যাবে না৷

৩. আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী কোন রাষ্ট্র যদি উপরোক্ত ধারার ক্ষতিকারক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবে তা শীঘ্র জাতিসংঘের মহাসচিবের মাধ্যমে চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহকে অবহিত করতে হবে, উহা গ্রহণের কারণসমূহ জানাতে হবে, উক্ত ক্ষতিকর পদক্ষেপ তুলে নেয়ার তারিখও মহাসচিবের মাধ্যমে সকল রাষ্ট্রসমূহকে আবার জানিয়ে দিতে হবে৷
 

অনুচ্ছেদ - ৫

১. আলোচ্য চুক্তির কিছুই এমনভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না যার ফলে কোন রাষ্ট্র, দল অথবা ব্যক্তি তাদের কোন কাজ দ্বারা এই চুক্তির কোন অধিকার বিনষ্ট করে৷

২. কোন দেশের আইন, প্রথা বা রীতি-নীতির কোন অধিকার, যে কোন মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি বাধা বা অপবাদ বলে বলবত্‍ থাকে, তবে তা আলোচ্য চুক্তিতে গ্রহণীয় হবে না৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
তৃতীয় পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ  - ৬

১. প্রতিটি ব্যক্তিরই বাঁচার সহজাত অধিকার রয়েছে৷ তাই এই অধিকারকে আইন দ্বারা সংরক্ষণ করতে পারে৷ কাউকেই এই অধিকার থেকে খামখেয়ালীভাবে বঞ্চিত করা যাবে না৷

২. যে সকল দেশে মৃতু্য দন্ডাদেশ রহিত করা হয়নি সেখানে উক্ত দন্ডাদেশ আরোপ করা যাবে শুধুমাত্র কঠিন অপরাধের ক্ষেত্রে এবং তা হবে অপরাধ করা সময়কালের সেই দেশের বলবত্‍ আইন অনুসারে৷ উক্ত দন্ডাদেশ আলোচ্য চুক্তির শর্তে এবং জেনোসাইডের প্রতিরোধ এবং চুক্তির পরিপন্থী হতে পারবে না৷

৩. জীবনের বঞ্চনা যখন জেনোসাইডের অপরাধ সংগঠিত করায়, তখন বুঝতে হবে এই ধারার কোন কিছু কোন রাষ্ট্রকে ক্ষমতা দেয় না জেনোসাইডের প্রতিরোধ এবং শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে ক্ষতিকারক কিছু গ্রহণ করতে৷

৪. মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তির অধিকার রয়েছে দন্ডাদেশ থেকে ক্ষমা অথবা লঘু দন্ডাদেশ সকল ক্ষেত্রেই অনুমোদন করা যেতে পারে৷

 

৫. ১৮ বছরের নিচের বয়সী ব্যক্তি কর্তৃক সংগঠিত অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যু দন্ডাদেশ দেয়া যাবে না এবং গর্ভবতী মেয়েদের প্রতিও মৃত্যু দন্ডাদেশ দেয়া যাবে না এবং গর্ভবতী মেয়েদের প্রতিও মৃত্যু দন্ডাদেশ কার্যকরী করা যাবে না৷

 

৬. আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী কোন রাষ্ট্রকে এই ধারার কোন কিছুই মৃতু্য দন্ডাদেশ রহিত করতে বাধা বা বিলম্বের সৃষ্টি করবে না৷

 

অনুচ্ছেদ - ৭

কেউ পীড়ন, নির্মম, আমানবিক অথবা অপমানজনক আচরণ কিংবা শাস্তির শিকার হবে না৷ বিশেষ করে, কারও মুক্ত মতামত ছাড়া তার ওপর স্বাস্থ্যগত অথবা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যাবে না৷

 

অনুচ্ছেদ  - ৮

১. কাউকে দাস বানানো যাবে না৷ বিভিন্ন ধরনের দাস প্রথা এবং দাস ব্যবসা নিষিদ্দ ঘোষণা করতে হবে৷

২. কৃতদাসত্বে কাউকে রাখা যাবে না৷

৩. (ক) বাধ্যতামূলক অথবা চাপিয়ে দেয়া শ্রম কাউকে দিয়ে সম্পাদন করা যাবে না;

   (খ) যথাযথ আদালত কর্তৃক অপরাধের জন্য শাস্তি স্বরুপ কঠিন শ্রম অথবা যে সকল দেশে অপরাধের জন্য কঠিন শ্রমের দন্ডাদেশ দেয়া হয়, অনুচ্ছেদ ৩ (ক) ঐ সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না;

   (গ) "চাপিয়ে দেয়া অথবা বাধ্যতামূলক শ্রম" - কথাটি নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না;

    (i) সেই সকল শ্রম বা কাজ, যা অনুচ্ছেদ (খ) এ উল্লেখ নাই কিন্তু উহা স্বাভাবিকভাবেই সেই ব্যক্তির করার দরকার হয়, যাকে আদালত কর্তৃক আইনানুগভাবে আটক থেকে মুক্তি পাবার জন্য শর্ত মোতাবেক করতে হয়;

    (ii) সামরিক ধরনের কোন কাজ অথবা দেশের আইনের প্রয়োজনে যে কোন জাতীয় কাজ;

    (iii) জরুরী অথবা দুর্যোগের সময়ে জাতির যখন হুমকির সম্মুখীন তখনকার যে কোন কাজ;

    (iv) স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে যে কাজ বা শ্রম৷
 

অনুচ্ছেদ  - ৯

১. সবারই ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে৷ কাউকে খামখেয়ালীভাবে সাময়িক আটক বা কারাগারে আটক করা যাবে না৷ আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ক্ষেত্র বা নিয়ম-নীতি ছাড়া কাউকে তার এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷

২. আটক করার সময় আটক ব্যক্তিকে আটকের কারণসমূহ অবহিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে যদি তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তবে তাও অতিসত্বর তাকে জানাতে হবে৷

৩. ফৌজদারি অভিযোগ যদি কাউকে সাময়িক আটক বা কারগারে আটক রাখা হয়, তবে তাকে তাড়াতাড়ি একজন বিচারকের অথবা আইন দ্বারা ক্ষমতা প্রাপ্ত ঐ ধরনের কর্মকর্তার নিকট হাজির করতে হবে৷ এবং যু্ক্তিযুক্ত সময়ের ভেতর তার বিচার অথবা মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ সাধারণ নিয়ম এমন হবে না যে, বিচারধীন ব্যক্তির বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক করে রাখতে হবে বরং বিচার সংক্রান্ত তদন্ত বা বিচারকালীন সময়ে তাকে পাওয়া যাবে এর নিশ্চয়তা পেলে তাকে মুক্তি দেয়া যাবে৷

৪. সামরিক আটক বা কারাগারে আটক দ্বারা যদি কোন ব্যক্তির স্বাধীনতা বিনষ্ট হয় তবে তিনি আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন এবং আদালত বিলম্ব না করে তার আটকের বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এবং যদি আটক বৈধ না হয় তবে মুক্তি দিতে পারবে৷

৫. যদি কেউ আইন বিরুদ্ধে সামরিক আটক বা কারাগারে আটক দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে তার ক্ষতিপূরণ পাবার আইনগত অধিকার রয়েছে৷
 

অনুচ্ছেদ -১০

১. স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে এবং মানুষ হিসেবে তার সহজাত মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা করতে হবে৷

২. (ক) ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে দন্ডাদেশ প্রাপ্ত অপরাধীদের থেকে পৃথক রাখতে হবে এবং দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে মর্যাদা অনুসারে তাদের সাথে ভিন্ন আচরণ করতে হবে৷

(খ) বয়স্কদের থেকে অভিযুক্ত তরুণদেরকে ভিন্ন করে রাখতে হবে এবং বিচার নিস্পত্তির জন্য তাদেরকে যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি বিচারকের সামনে হাজির করতে হবে৷

৩. দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তির চারিত্রিক সংশোধনীর জন্য তাদের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে এবং তাদের চারিত্রিক উন্নতির এবং সমাজে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তরুণ অপরাধীদের বয়স্কদের থেকে পৃথক রাখতে হবে এবং তাদের বয়স এবং মর্যাদা অনুসারে আচরণ করতে হবে৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১১

কেবলমাত্র চুক্তিবদ্ধ কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার জন্য কাউকে কারাগারে আটক করা যাবে না৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১২

১. প্রত্যেকেই আইনগতভাবে তার দেশের ভেতর স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে এবং দেশের যে কোন স্থান বসবাসের জন্য পছন্দ করার স্বাধীনতা রয়েছে৷

২. প্রত্যেকেরই তার নিজ দেশসহ অন্য যে কোন দেশ ত্যাগ করার স্বাধীনতা রয়েছে৷

৩. জাতীয় নিরাপত্তা জনজীবনে শান্তি, জনস্বাস্থ্য অথবা নৈতিকতা অথবা অন্যের অধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহ সংরক্ষণের জন্য আইন ছাড়া এবং আলোচ্য চুক্তিতে বর্ণিত অধিকারসমূহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আইন ছাড়া উপরোল্লিখিত অধিকারসমূহের ওপর কোন বাধা সৃষ্টি করা যাবে না৷

৪. কাউকেই তার নিজ দেশের্ প্রবেশের অধিকার থেকে খামখেয়ালী বঞ্চিত করা যাবে না৷
 

অনুচ্ছেদ - ১৩

আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী  কোন রাষ্ট্র আইনগতভাবে বসবাসকারী কোন বিদেশীকে বহিস্কার করতে পারবে আইনানুগ নির্দেশ বলে এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি ক্ষতিকারক কারণসমূহ ছাড়া উক্ত বহিস্কারের অন্যান্য কারণসমূহ থাকলে রাষ্ট্রকে উহা পেশ করতে হবে৷ তবে যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তি বিদেশীর উক্ত বহিস্কারের পুর্নবিবেচনা করতে পারবে৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৪

১. আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের নিকট সকল ব্যক্তিই সমান৷ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা প্রত্যেক ব্যক্তি খোলাখুলি এবং পক্ষপাতহীন শুনানী পাবার অধিকারী৷ সংবাদপত্রসমূহের সব ধরনের অথবা আংশিক শুনানী থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে এজন্যে যে, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা জনজীবনে শান্তি এবং নৈতিকতা রক্ষার্থে তারা কাজ করে অথবা শুনানী গ্রহণ করা যাবে না৷ সেক্ষেত্রে যখন সংবাদপত্রের প্রচার দ্বারা বিচার প্রভাবিত হতে পারে ফৌজাদারি মামলা অথবা আইনের আওতাধীন অন্যান্য মামলা রায় দেয়ার পর তা প্রকাশ করতে হবে সে সব ক্ষেত্র ছাড়া যেখানে তরুণদের স্বার্থ বিনষ্ট হয় অথবা বিবাহ সংক্রান্ত বিবাদ অথবা ছেলেমেয়েদের অভিভাবকত্বের বিবাদ জণ্ম দেয়৷

২. আইন মোতাবেক অপরাধী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি নির্দোষ বলে বিবেচিত হবার অধিকার আছে৷

৩. ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি বিচার পাবার জন্য পরিপূর্ণ সমতার ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত নূ্যনতম সুবিধাগুলো পাবে-

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ভাষ্য বুঝে সেই ভাষায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কারণ এবং প্রকৃতি তাকে শীঘ্র জানাতে হবে;

(খ) আত্নপক্ষ সমর্থনের প্রস্তুতির জন্য এবং নিজস্ব পছন্দনীয় উকিলের সাথে যোগাযোগের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ দিতে হবে;

(গ) অতিরিক্ত বিলম্ব না করে বিচারকার্য সম্পাদন;

(ঘ) অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে তার বিচার করতে হবে এবং আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অথবা তার পছন্দানুসারে আইনের সাহায্য নেয়ার সুযোগ দিতে হবে৷ যদি তার পক্ষ সমর্থনে আইনজীবী না থাকে, তাকে তা' জানাতে হবে এবং আইনের সাহায্য নিতে তার সংগতি না থাকলে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার ব্যবস্থা করতে হবে;

(ঙ) অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা করা এবং তার পক্ষের সাক্ষীর হাজিরা এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করা;

(চ) আদালতে ব্যবহৃত ভাষা যদি সে না বুঝে অথবা না বলতে পারে তবে তাকে দোভাষীর সাহায্য দেয়া ;

(ছ) অপরাধ স্বীকার করতে তাকে বাধ্য করা অথবা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণে বাধ্য করা যাবে না৷

(৪) তরুণ অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তাদের বয়স এবং তাদের ইচ্ছানুসারে পুর্নবাসনের কথা চিন্তা করা৷

(৫) অপরাধে দন্ডিত প্রত্যেক ব্যক্তিই আইন মোতাবেক তার দন্ডাদেশ উর্ধ্বতন আদালত দ্বারা পুনর্বিবেচনার অধিকার রাখে

(৬) ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে দন্ডাদেশ দেয়া হল কিন্তু পরে এমন একটা নতুন সত্য উদঘাটন হল যার প্রেক্ষিতে আইন মোতাবেক তার দন্ডাদেশ রদ করা হল অথবা তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল-এরূপক্ষেত্রে দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি শাস্তি ভোগ করে থাকে, তবে আইন অনুসারে সে ক্ষতিপূরণ পাবে, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত অজানা সত্যটি দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি আংশিক বা পুরোপুরিভাবে গোপন রেখেছে৷

(৭) কোনো দেশের ফৌজদারি আইন মোতাবেক কোন অপরাধের জন্য যদি কোন ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে দন্ডাদেশ বা খালাস দেয়া হয় তবে উক্ত অপরাধের জন্য তাকে পুনরায় বিচার করা বা শাস্তি দেয়া যাবে না৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৫

১. কোন ব্যক্তি এমন ধরনের কাজ করল বা বর্জন করল যা' জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না, সে ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে ফৌজদারি অপরাধের দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না৷ অপরাধ সংগঠিতকালে নির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধের জন্য যে শাস্তির বিধান ছিল, কাউকে তার অধিক শাস্তি দেয়া যাবে না৷ নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি দেয়া হলে কিন্তু শাস্তি ভোগকালে উক্ত অপরাধের বেলায় আইন লঘু শাস্তি ভোগ করে থাকে, তবে আইন অনুসারে সে ক্ষতিপূরণ পাবে, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত অজানা সত্যটি দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি আংশিক বা পুরোপুরিভাবে গোপন রেখেছে৷

২. কোন ব্যক্তি এমন ধরনের কাজ করে বসল বা বর্জন করল যা  চুক্তিবদ্ধ জাতিসমূহ কর্তৃক স্বীকৃত ফৌজদারি অপরাধের আওতাভূক্ত এবং সেজন্য তাকে বিচার অথবা শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে, সেক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই উহার প্রতি বাধা সৃষ্টি করবে না৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৬

আইনের দৃষ্টিতে সবারই সর্বত্র মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাবার অধিকার রয়েছে৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৭

১. কাউকে তার নিজ, পারিবারিক, আবাসিক বা চিঠিপত্র আদান-প্রদান বিষয়ে খামখেয়ালী অথবা আইন বিরুদ্ধভাবে হস্তক্ষেপ বা তার সম্মান এবং মর্যাদার প্রতি আইন বিরুদ্ধ আক্রমণ করা যাবে না৷

২. এই ধরনের হস্তক্ষেপ এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার অধিকার সবার রয়েছে৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৮

১. ধর্ম, বিবেক এবং চিন্তার স্বাধীনতা সবার রয়েছে৷ এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ব্যক্তির যে কোন ধর্ম বা বিশ্বাস থাকা বা অবলম্বন করা, উক্ত ধর্ম বা বিশ্বাস ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যের সাথে, গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে পালন, অনুশীলন বা শিক্ষা দেয়ার স্বাধীনতা৷

২. কারও উপর বল প্রয়োগ বা নিপীড়ন চালানো যাবে না যাতে তার ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা বিনষ্ট হয়৷

৩. জনগণের নিরাপত্তা, শান্তি, স্বাস্থ্য, নৈতিকতা অথবা অন্যের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহ সংরক্ষণের যা প্রয়োজন এবং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সে সব আইন ছাড়া অন্য কিছু ব্যক্তির ধর্ম বা বিশ্বাস পালনের বাধা হতে পারবে না৷

৪. নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী পিতামাতা এবং আইন সংগত অভিভাবকগণ যাতে তাদের ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারেন আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ সেই অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করছে৷
 

অনুচ্ছেদ  - ১৯

১. হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজের মতামত পোষণের অধিকার সকলের রয়েছে৷

২. সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে৷ সব ধরনের মতামত এবং সংবাদ গ্রহণ এবং প্রকাশ করার স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্তক্ত৷ উক্ত মতামত এবং সংবাদ গ্রহণ এবং প্রকাশ মৌখিক, লিখিত, ছাপানো সাহিত্যের আঙ্গিকে বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে হতে পারে৷

৩. এই ধারার ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধিকার পালনে ব্যক্তির বিশেষ কর্তব্য ও দায়িত্ব রয়েছে৷ এক্ষেত্রে তার কিছু বাধাও রয়েছে যা আইনগত এবং নিন্মে বর্ণিত ক্ষেত্রে প্রয়োজন-

(ক) অন্যের অধিকার এবং সুনামের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য;

(খ) জাতীয় নিরাপত্তা বা জনজীবনে শান্তি অথবা জসস্বাস্থ্য এবং নৈতিকতা সংরক্ষণের জন্য৷

 

অনুচ্ছেদ - ২০

যুদ্ধের জন্য সব ধরনের প্রচার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করতে হবে৷

সব ধরনের ওকালতি যা জাতীয়, গোত্রীয় এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টির মাধ্যমে শক্রতা, প্রভেদ এবং হানাহানি বয়ে আনে তা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করতে হবে৷

 

অনুচ্ছেদ - ২১

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকারকে স্বীকার করতে হবে৷ এই অধিকার পালনে কোন বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না, শুধুমাত্র সেই সব বাঁধা ছাড়া যা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, জনজীবনে শান্তি, জনস্বাস্থ্য বা নৈতিকতা বা অন্যের অধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয়৷
 

অনুচ্ছেদ - ২২

১. নিজের অধিকার রক্ষার্থে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন এবং যোগদানের অধিকারসহ অন্যের সাথে মেশার অধিকার সবার রয়েছে৷

২. এই অধিকার পালনে কোন বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না কেবলমাত্র সেই সব বাঁধা ছাড়া যা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা, জনজীবনে শান্তি, জনস্বাস্থ্য বা নৈতিকতা বা অন্যের
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
চতুর্থ পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ - ২৮

১. মানবাধিকার কমিটি গঠন করতে হবে৷ উহার সদস্য সংখ্যা থাকবে ১৮ জন এবং নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে উহার কার্যপ্রণালী পালিত হবে৷

২. কমিটি আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহের সেই সব নাগরিকদের নিয়ে গঠিত হবে যাঁরা অত্যন্ত্ নৈতিকতা সম্পন্ন এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে স্বীকৃত যোগ্যতার অধিকারী৷ বিশেষ করে আইনের অভিজ্ঞতার সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷

৩. কমিটির সদস্যগণ ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং তাঁদের ব্যক্তিগত যোগ্যতায় কাজ করবেন৷
 

অনুচ্ছেদ - ২৯

১. নম্বর ধারায় বর্ণিত যোগ্যতার অধিকারী ব্যক্তিদের নিয়ে তালিকার মধ্য থেকে গোপন ব্যালটের দ্বারা কমিটির সদস্যগণ নির্বাচিত হবেন এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিই উক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে৷

২. চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক রাষ্ট্র দু'ব্যক্তির বেশী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না এবং ঐ দু'ব্যক্তিকে মনোনয়নদানকারী রাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে৷

৩. ব্যক্তি পুনঃ মনোনয়ন পাবার যোগ্য৷
 

অনুচ্ছেদ - ৩০

১. আলোচ্য চুক্তি কার্যকর হবার তারিখ থেকে ছ'মাসের ভেতর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে৷

২. ৩৪ নম্বর ধারা মোতাবেক ঘোষিত শূণ্য পদের জন্য নির্বাচন ছাড়া মহাসচিব কমপক্ষে চার মাস আগে কমিটির যে কোন নির্বাচনের তারিখ অবহিত করবেন এবং চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রকে তিন মাসের মধ্যে উক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণার্থে তাদের সদস্যকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য লিখিতভাবে জানাবেন৷

৩. এইরুপে মনোনীত ব্যক্তিদের একটি তালিকা বর্ণমালাক্রমে মহাসচিব তৈরি করবেন এবং যারা মনোনয়ন দিয়েছে তাদের জানাবেন৷ প্রত্যেক নির্বাচনের তারিখের একমাস আগে মহাসচিব উক্ত তালিকা আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহের নিকট পেশ করবেন৷

৪. জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে মহাসচিব কর্তৃক ডাকা সভায় আলোচ্য চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ তাদের কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে৷ দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের উপস্থিতি উক্ত সভায় থাকতে হবে এবং মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে তিনিই নির্বাচিত হবেন যিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট এবং উপস্থিত অংশগ্রহণ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবর্গের ভোটের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করবেন৷
 

অনুচ্ছেদ - ৩১

১. একই রাষ্ট্রের একজনের বেশী নাগরিক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না৷

২. ভৌগলিক দিক থেকে প্রত্যেক অঞ্চল থেকে কমিটিতে সম-সংখ্যক সদস্য আসতে পারে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতা এবং আইন পদ্ধতির সম প্রতিনিধিত্ব কমিটিতে যাতে ঘটে কমিটির নির্বাচনে তা বিবেচনায় আসতে হবে৷
 

অনুচ্ছেদ - ৩২

১. কমিটির সদস্যগণ চার বছর সময়কালের জন্য নির্বাচিত হবেন৷ তাঁরা যদি পুনঃমনোনয়ন পান তবে পুনঃনির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ প্রথম নির্বাচনের পর ন'জন সদস্যের সময়কাল দু'বছর অন্তে শেষ হবে৷ প্রথম নির্বাচনের সাথে সাথেই উক্ত ন'জন সদস্য কে কে হবেন তা ৩০ ধারার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সভায় সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হবে৷

২. কমিটির নির্দিষ্ট আয়ুস্কাল শেষ হবার পর নির্বাচনসমূহ আলোচ্য চুক্তিতে বর্ণিত আগের ধারাসমুহ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে৷
 

অনুচ্ছেদ - ৩৩

১. অন্যান্য সদস্যগণ যদি একমত হন যে, কমিটির কোন সদস্য তার কাজে সচরাচর অনুপস্থিতিই শুধু নয় বরং তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন না সেক্ষেত্রে কমিটির সভাপতি মহাসচিবকে উহা জানাবেন এবং মহাসচিব উক্ত সদস্য পদ শূন্য বলে ঘোষণা করবেন৷

২. কমিটির কোন সদস্যের মৃত্যু হলে অথবা পদত্যাগের ঘটনা ঘটলে কমিটির সভাপতি উহা মহাসচিবকে ততক্ষণাত্‍ জানাবেন এবং মহাসচিব উক্ত সদস্যের মৃত্যু অথবা পদত্যাগের তারিখ থেকে তার সদস্য শূণ্য বলে ঘোষণা করবেন৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৪

১. যদি ৩৩ ধারা অনুযায়ী কোন সদস্যের আসন শূন্য বলে ঘোষণা করা হয় এবং অনুরূপ ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যে উক্ত সদস্যের কার্যকাল সমাপ্ত না হয়, তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বর্তমান চুক্তির প্রত্যেহ রাষ্ট্রপক্ষকে উহা জ্ঞাত করবেন; তখন রাষ্ট্রপক্ষসমূহ উক্ত শূন্য আসন পুরণের জন্য দুই মাসের মধ্যে ২৯ ধারা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল করবে ৷

২. জাতিসংঘের মহাসচিব অনুরূপভাবে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম বর্ণানুক্রমে তালিকাভুক্ত করবেন এবং বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষসমূহের নিকট উক্ত তালিকা পেশ করবেন ৷ অতঃপর বর্তমান চুক্তির এই প্রাসঙ্গিক বিধানাবলী অনুসারে শূণ্য আসন পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷

৩. ৩৩ ধারা অনুযায়ী ঘোষিত শূন্য আসনে নির্বাচিত কোন সদস্য, এ ধারার বিধানাবলীর অধীনে যে সদস্যের আসন শূন্য ঘোষিত হয়েছে সে সদস্যের কার্যকালের অবশিষ্টাংশ অবধি কমিটির সদস্য থাকবেন ৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৫

কমিটির সদস্যগণ, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে জাতিসংঘের তহবিল থেকে সাধারণ পরিষদ যেরূপ স্থির করবে সেরূপ নিয়ম ও শর্তের অধীনে পারিতোষিক পারবেন৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৬

কমিটি যাতে বর্তমান চুক্তির অধীনে এর কার্যাবলী কার্যকরীভাবে সম্পাদন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের মহাসচিব প্রয়োজনীয় কর্মচারী ও সুবিধাদী প্রদানের ব্যবস্থা করবেন৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৭

১. জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘের সদর দফতরে কমিটির প্রথম বৈঠক আহবান করবেন৷

২. প্রথম বৈঠকের পর কমিটি এর কার্য প্রণালী বিধিতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন সময় বৈঠকে মিলিত হবে৷

৩. কমিটির সাধারণত জাতিসংঘের সদর দফতরে অথবা জাতিসংঘের জেনেভাস্থ কার্যালয়ে বৈঠকে বসবে৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৮

কমিটির প্রত্যেহ সদস্য নিজ নিজ দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে প্রকাশ্য কমিটিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন যে, তিনি নিরপেক্ষভাবে এবং বিবেকচালিত হয়ে তাঁর কার্যাবলী সম্পাদন করবেন৷
 

অনুচ্ছেদ -৩৯

১. কমিটি দুই বত্ সরের জন্য এর কর্মকর্তাদের নির্বাচন করবে ৷ তাঁরা পুনঃনির্বাচিত হতে পারবেন৷

২. কমিটি এর নিজস্ব কার্য প্রনালী বিধি প্রনয়ণ করবে ৷ কিন্তু এসব বিধিতে অন্যান্যের মধ্যে ব্যবস্থা থাকবে যে-

ক) বারজন সদস্য নিয়ে কোরাম গঠিত হয়;

খ) উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমিটির সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে৷
 

অনুচ্ছেদ -৪০

১. রাষ্ট্রপক্ষসমূহ অঙ্গীকার করছে যে, চুক্তিতে স্বীকৃত অধিকারসমূহ কার্যকরী করার জন্য এদের গৃহীত ব্যবস্থাবলী এবং ঐ অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রদান করবে -

ক) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের জন্য বর্তমান চুক্তি বলবত্‍ হওয়ার এক বছর পর;

খ) অতঃপর কমিটি যখনই সেরূপ অনুরোধ জানাবে ৷

২. সকল রিপোর্ট জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট দাখিল করতে হবে ৷ তিনি সেগুলো বিচার-বিবেচনার জন্য কমিটির নিকট প্রেরণ করবেন ৷ এসব রিপোর্টে বর্তমান চুক্তি বাস্তবায়ন ব্যাহত করছে এমন কোন কারণ ও অসুবিধা থাকলে সে সম্পর্কে উল্লেখ থাকবে ৷

৩. জাতিসংঘের মহাসচিব কমিটির সহিত পরামর্শের পর অনুরূপ রিপোর্টসমূহের প্রতিলিপি কর্তৃত্বের ক্ষেত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর নিকট প্রেরণ করতে পারেন ৷

৪. কমিটি বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষগুলো কর্তৃক পেশকৃত রিপোর্টসমূহে অনুশীলন করবে ৷ কমিটি এর রিপোর্ট এবং যেরূপ উপযুক্ত মনে করবে সেরূপ সাধারণ মন্তব্য রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট প্রেরণ করবে ৷ কমিটি এর অনুরূপ মন্তব্যসমূহ এবং বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টসমূহের প্রতিলিপি অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের নিকটেও প্রেরণ করতে পারে ৷

৫. এ ধারার (৪) অনুচ্ছেদের অধীনে যে সমস্ত মন্তব্য করা হবে বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষসমূহ সেগুলো সম্পর্কে নিজেদের মন্তব্য কমিটির নিকট পেশ করতে পারে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৪১

১. যদি কোন রাষ্ট্রপক্ষ দাবী করে যে, অন্য রাষ্ট্রপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে না, তবে শেষোক্ত রাষ্ট্রপক্ষ যেসব চিঠিপত্র প্রেরণ করবে সেগুলো গ্রহণ ও বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতা যে কমিটির রয়েছে তা স্বীকার করে এ ধারার অধীনে যেকোন রাষ্ট্রপক্ষ যেকোন সময় ঘোষনা দিতে পারে ৷ যে রাষ্ট্রপক্ষ নিজের ক্ষেত্রে কমিটির অনুরূপ ক্ষমতা স্বীকার করে ঘোষণা প্রদান করেছে, কেবল সেই রাষ্ট্র কর্তৃক পেশকৃত অভিযোগ কমিটি কর্তৃক গ্রহণ বা বিবেচনা করা যেতে পারে ৷ অনুরূপ ঘোষণা প্রদান করেনি এমন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট কোন অভিযোগ কমিটি গ্রহণ করবে না ৷ এ ধারার অধীনে প্রাপ্ত চিঠিপত্রসমূহ নিম্নবর্ণিত কার্যপ্রণালী অনুসারে বিবেচনা করা হবে-

ক) অন্য কোন রাষ্ট্রপক্ষ চুক্তির বিধানাবলী কার্যকরী করছে না বলে মনে হলে, যে কোন রাষ্ট্রপক্ষের লিখিত পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি ঐ রাষ্ট্রপক্ষের গোচরিভূত করতে পারে ৷ অনুরূপ পত্র প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে গ্রাহক রাষ্ট্র উক্ত বিষয়টি পরিষ্কার করে একটি লিখিত ব্যাখ্যা অভিযোগ প্রেরণকারী রাষ্ট্রকে প্রদান করবে ৷ এই ব্যাখ্যা বা বিবৃতির মধ্যে যে পরিমাণ সম্ভব এবং প্রাসঙ্গিক সেই পরিমাণে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী এবং গৃহীত অথবা বিবেচনাধীন অথবা লভ্য সকল প্রতিকার ব্যবস্থার উল্লেখ থাকবে ৷

খ) গ্রাহকরাষ্ট্র কর্তৃক প্রথমপত্র প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষদ্বয়ের সন্তোষ অনুযায়ী যদি বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়, তবে রাষ্ট্রদ্বয়ের যে কোন একটি কমিটি এবং অপর রাষ্ট্রটির প্রতি নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি কমিটির নিকট পেশ করতে পারবে ৷

গ) সাধারণভাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক আইনের নীতি অনুযায়ী সকল লভ্য অভ্যন্তরীণ প্রতিকার ব্যবস্থার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেগুলো নিঃশেষিত হয়েছে সে সম্পর্ক নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল কমিটি এর নিকট পেশকৃত বিষয়টি বিবেচনা করবে ৷ সেখানে এসব প্রতিকার ব্যবস্থার প্রয়োগ অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘায়িত করা হবে সেখানে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না৷

ঘ) এ ধারার অধীনে চিঠিপত্রসমূহ পরীক্ষা করার সময় কমিটি নিভৃত বৈঠকে মিলিত হবে ৷

ঙ) উপ অনুচ্ছেদ (গ) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, বর্তমান চুক্তিতে স্বীকৃত মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাসমূহের প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে যাতে বিষয়টির সমাধান হয় সে উদ্দেশ্যে কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি এর শুভ সংযোগ প্রসার করবে ৷

চ) কমিটির নিকট উপস্থাপিত কোন বিষয় সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করার জন্য তা উপ অনুচ্ছেদ (খ) এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর আহবান জানাতে পার ৷

ছ) কমিটি কর্তৃক বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করার সময় উপ অনুচ্ছেদ (খ) এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর কমিটিতে প্রতিনিধি প্রেরণ করার এবং মৌখিক অথবা লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করার অধিকার থাকবে ৷

জ) উপ অনুচ্ছেদ (খ) এর অধীনে নোটিশ প্রাপ্তির পর বার মাসের মধ্যে কমিটি একটি রিপোর্ট দাখিল করবে-

অ. যদি উপ অনুচ্ছেদ (ঙ) এর শর্ত মোতাবেক কোন সমাধান হয়ে থাকে তবে কমিটি এর রিপোর্ট, ঘটনাবলী এবং উপনীত সমাধানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে;

আর যদি উপ অনুচ্ছেদ (ঙ) এর শর্ত অনুসারে কোন সমাধানে উপনীত হওয়া না যায় তবে কমিটি এর রিপোর্ট কেবল ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে; এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতিগুলো কর্তৃক উপস্থাপিত লিখিত এবং মৌখিক যুক্তিগুলোর লিপি রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত থাকবে ৷

প্রতিটি ক্ষেত্রে রিপোর্ট রাষ্ট্রগুলোর নিটক পেরণ করতে হবে ৷

২. চুক্তির দশটি রাষ্ট্রপক্ষ যখন এ ধারার (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঘোষণা প্রদাণ করবে তখন এ ধারার বিধানাবলী বলবত্‍ হবে ৷ রাষ্ট্রপক্ষগুলো অনুরূপ ঘোষণা জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট জমা দিবে ৷ মহাসচিব সেগুলোর প্রতিলিপি অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের নিটক প্রেরণ করবেন ৷ মহাসচিবের নিকট প্রদত্ত নোটিশের মাধ্যমে যেকোন সময় কোন ঘোষণা প্রত্যাহার করা যেতে পারে ৷ তবে অনুরূপ প্রত্যাহারের কারণে এ ধারার অধীনে ইতোপূর্বে প্রেরিত চিঠিপত্রের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ের বিচার-বিবেচনা ব্যাহত হবে না ৷ মহাসচিব কর্তৃক কোন রাষ্ট্রপক্ষের নিটক থেকে ঘোষণা প্রত্যাহারের নোটিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের নিটক থেকে আর কোন চিঠিপত্র গ্রহণ করা হবে না, যদি না ঐ রাষ্ট্রপক্ষ নতুনভাবে ঘোষণা প্রদাণ করে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৪২

১. ক) ৪১ ধারা অনুযায়ী কমিটির নিকট উপস্থাপিত কোন বিষয় যদি রাষ্ট্রপক্ষগুলোর সন্তোষ অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হয়, তবে কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্টপক্ষগুলোর পূর্ব সম্মতিক্রমে একটি অস্থায়ী আপোষ কমিশন (যা অতঃপর কেবল কমিশন বলে উল্লেখিত) নিয়োগ করতে পারে ৷ বর্তমান চুক্তির প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে যাতে বিষয়টির বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয় সে উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট কমিশনের শুভ সংযোগ লভ্য করতে হবে ৷

খ) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট গ্রহণযোগ্য পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে ৷ সংশ্লিষ্ট রাষ্টপক্ষগুলো যদি তিন মাসের মধ্যে পূর্ণ কমিশন কিংবা এর আংশিক গঠন সম্পর্কে একমত হতে না পারে, তবে কমিশনের যে কয়জন সদস্য সম্পর্কে মতৈক্য হচ্ছে না, তাঁরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমিটি কর্তৃক এর সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন ৷

২. কমিশনের সদস্যগণ ব্যক্তিগত মর্যাদার কাজ করবেন ৷ তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর অথবা যে রাষ্ট্র বর্তমান চুক্তির পক্ষ নয় সে রাষ্ট্রের কিংবা যে রাষ্ট্রপক্ষ ৪১ ধারার অধীনে ঘোষণা প্রদাণ করেনি সে রাষ্ট্রের নাগরিক হবেন না ৷

৩. কমিশন এর সভাপতি নির্বাচন এবং নিজস্ব কার্যপ্রণ
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
পঞ্চম পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ -৪৬

চুক্তির কোন কিছুরই এমন ব্যাখ্যা প্রদাণ করা যাবে না যা চুক্তিভুক্ত বিষয়সমূহ সম্পর্কে জাতিসংঘ সনদের এবং কোন বিশেষায়িত সংস্থার সংবিধানের ঐসব বিধানকে কোনরূপ ক্ষুন্ন করতে পারে, যেসব বিধানে যথাক্রমে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ এবং বিশেষায়িত সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব নির্ধারিত রয়েছে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৪৭

চুক্তির কোন কিছুরই এমন ব্যাখ্যা প্রদান করা যাবে না, যা সকল জনগোষ্ঠির নিজ নিজ প্রাকৃতির সম্পদ ও সংস্থানের উপভোগ এবং সেগুলো পূর্ণমাত্রায় ও অবাধে ব্যবহার করার অধিকার ক্ষুন্ন করতে পারে ৷
 

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ -৪৮

১. এ চুক্তি জাতিসংঘের অথবা এর বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর যেকোন সদস্য, আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধান যেকোন রাষ্ট্রপক্ষ এবং বর্তমান চুক্তির পক্ষ হওয়ার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক আমন্ত্রিত অন্য যে কোন রাষ্ট্রের স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ৷

২. চুক্তিটি অনুসমর্থণ সাপেক্ষ  অনুসমর্থনপত্রসমূহ জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট জমা দিতে হবে ৷

৩. এ ধারার (১) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত যেকোন রাষ্ট্রের যোগদানের জন্য বর্তমান চুক্তি উন্মুক্ত থাকবে ৷

৪. জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট যোগদানপত্র জমাদানের মাধ্যমে এ চুক্তিতে যোগদান কার্যকরী হবে ৷

৫. জাতিসংঘের মহাসচিব এ চুক্তিতে স্বাক্ষরদানকারী এবং যোগদানকারী সকল রাষ্ট্রকে প্রত্যেকটি অনুসমর্থনপত্র কিংবা যোগদানপত্র জমাদান সর্ম্পকে অবগত করবেন ৷
 

অনুচ্ছেদ -৪৯

১. জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট পঁয়ত্রিশতম অনুসমর্থনপত্র কিংবা যোগদানপত্র জমাদানের তারিখের তিন মাস পর থেকে বর্তমান চুক্তি বলবত্ হবে ৷

২. পঁয়ত্রিশতম অনুসমর্থনপত্র কিংবা যোগদানপত্র জমাদানের পর যেসব রাষ্ট্র বর্তমান চুক্তি অনুসমর্থন করবে কিংবা এতে যোগদান করবে সেসব রাষ্ট্রের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে নিজ নিজ অনুসমর্থনপত্র কিংবা যোগদানপত্র জমাদানের তারিখের তিন মাস পর থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৫০

বর্তমান চুক্তির বিধানসমূহ কোনরূপ সীমাবদ্ধতা ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সকল অংশে প্রযোজ্য হবে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৫১

১. যে কোন রাষ্ট্রপক্ষ বর্তমান চুক্তি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দিতে পারে এবং সে সংশোধনী প্রস্তাব জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট পেশ করতে পারে ৷ মহাসচিব অনুরূপ যেকোন সংশোধনী প্রস্তাব বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষসমূহের নিকট প্রেরণ করবেন এবং সঙ্গে এরা উক্ত প্রস্তাব বিবেচনা ও সেই সম্পর্কে ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপক্ষসমূহের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষপাতি কিনা তা তাঁকে জ্ঞাত করার জন্য রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ জানাবেন ৷ যদি রাষ্ট্রপক্ষসমূহের অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সম্মেলনের অনুকূলে মত প্রকাশ করে, তবে মহাসচিব জাতিসংঘের কর্তৃত্বাধীনে একটি সম্মেলন আহবান করবেন ৷ সম্মেলনে উপস্থিত ও ভোটদানকারী রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহীত হলে তা অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পেশ করতে হবে ৷

২. সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে এবং বর্তমান চুক্তির রাষ্ট্রপক্ষসমূহের দুই-তৃতীয়াংশ কর্তৃক নিজ নিজ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী গৃহীত হলে সংশোধনীটি বলবত্ হবে ৷

৩. যখন সংশোধনীটি বলবত্ হবে তখন তা যেসব রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে সেসব রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক হবে; অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষ তখনো বর্তমান চুক্তির বিধানাবলী এবং এরা পূর্ববর্তী কোন সংশোধনী গ্রহণ করে থাকলে তার প্রতি বাধ্য থাকবে ৷
 

অনুচ্ছেদ -৫২

৪৮ ধারার (৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে অবগত করা হোক বা না হোক, জাতিসংঘের মহাসচিব ঐ ধারার (১) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সকল রাষ্ট্রকে নিম্নাক্ত বিষয়সমূহ সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত করবেন-

ক) ৪৮ ধারার অধীনে স্বাক্ষরদান, অনুসমর্থন এবং যোগদান;

খ) ৪৯ ধারার অধীনে বর্তমান চুক্তি বলবত্ হওয়ার তারিখ এবং ৫১ ধারা অনুযায়ী কোন সংশোধনী বলবত্‍ হওয়ার তারিখ৷
 

অনুচ্ছেদ -৫৩

১. বর্তমান চুক্তির চীনা, ইংরেজী, ফরাসি, রুশ এবং স্পেনীয় ভাষায় পাঠ সমভাবে প্রমাণসিদ্ধ এবং উহা জাতিসংঘের সেরেস্তায় গচ্ছিত রাখতে হবে ৷

২. জাতিসংঘের মহাসচিব ৪৮ ধারায় উল্লিখিত সকল রাষ্ট্রের নিকট বর্তমান চুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি প্রেরণ করবেন ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection