বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ, ১৯৭৩
[ রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সালের ৯নং আদেশ ]
------------------------------------------------------------------
যেহেতু জনস্বার্থে বাংলাদেশের নাগরিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের বাংলাদেশ হইতে বহির্গমনের এবং আনুষঙ্গিক ও উহার অদিভূত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করার নিমিত্তে পাসপোর্ট ও ভ্রমণ দলিল ইস্যু করার জন্য বিধান করা জরুরী ।
সেহেতু এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে এবং এতদপক্ষে তাহাকে সক্ষম করে এমন সব ক্ষমতা প্রয়োগক্রমে রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত আদেশ প্রণয়ন করেনঃ
(১) এই আদেশকে বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩ হিসাবে অভিহিত করা যাইবে ।
(২) ইহা সম্পূর্ণ বাংলাদেশ বিস্তৃত এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য ।
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে ।
অনুচ্ছেদ-২ বিষয় বা প্রসঙ্গ প্রতিকূল না থাকিলে এই আদেশে--
(ক) Deperture শব্দটি উহার ব্যায়াকরণিক ভিন্নতা এবং সমপ্রকৃতির অভিব্যক্তিসহ বাংলাদেশ হইতে জল, স্থল বা আকাশপথে বহির্গমন বুঝাইবে;
(খ) সরকার বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে বুঝাইবে;
(গ) পাসপোর্ট বলিতে এই আদেশ অনুসারে ইস্যু করা বা ইস্যুমর্মে গণ্য পাসপোর্টে বুঝাইবে;
(ঘ) পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ বলিতে এই আদেশ অধীনে বিধিমালা দ্বারা পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যু করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কতৃর্পক্ষকে বুঝাইবে;
(ঙ) নির্ধারিত বলিতে এই আদেশবলে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝাইবে;
(চ) 'ভ্রমণ দলিল' বলিতে এই আদেশ বলে ইস্যু করা বা ইস্যু হইয়াছে মর্মে গণ্য হওয়া কোনো ভ্রমণ দলিল বুঝাইবে;
অনুচ্ছেদ-৩ বৈধ পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই বাংলাদেশ ত্যাগ বা ত্যাগ করিতে চেষ্টা করিবে না ।
অনুচ্ছেদ-৪ (১) পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ দলিলের শ্রেণী যে শর্তাধীনে এবং যে ফরমে এবং যে মেয়াদের জন্য পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যু বা নবায়ন করা হইবে তাহা যেভাবে নির্ধারণ করা হয় সেইভাবে হইবে ।
(২) অত্র আদেশ অনুসারে ইস্যু করা পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল সর্বদা সরকারি সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে ।
অনুচ্ছেদ-৫ (১) দরখাস্তে উল্লেখিত দেশ বা দেশগুলি ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যুর জন্য যেইরূপ নির্ধারিত সেইরূপ ফরমে এবং বিবরণ ও ফিসহ (যদি থাকে) পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে ।
(২) আবেদন পাওয়ার পর পাসপোর্ট কতৃর্ক যেইরূপ প্রয়োজন বিবেচনা করেন সেইরূপ তদন্ত (যদি করেন) করিয়া এই আদেশ সাপেক্ষে লিখিত আদেশ দিয়া পাসপার্ট বা ক্ষেত্রবিশেষে ভ্রমণ দলিল ইস্যু করিবেন বা পাসপোর্ট অথবা ভ্রমণ দলিল ইস্যু করার প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করিবেন ।
অনুচ্ছেদ-৬ এই আদেশের বিধান সাপেক্ষে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ--
(১) নিম্নলিখিত যেকোনো একটি বা একাধিক কারণে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যুর প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করিবেনঃ
(ক) আবেদনকারী বাংলাদেশর নাগরিক নয়;
(খ) আবেদনকারী বাংলাদেশ দালাল আদেশ ৭২ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল রাঃ প্রঃ আঃ ৮/৭২)-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হইয়াছিল;
(গ) আবেদনকারী আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে অব্যবহিত পূর্বের পাঁচ বত্সরের মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশের যেকোনো আদালত কর্তৃক নৈতিক অসচ্ছরিত্রতা জনিত অপরাধের জন্য অন্ততঃ দুই বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছে;
(ঘ) যে আবেদনকারী মুদ্রা, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র চোরাচালান, মহিলা এবং দাসের ব্যবসা অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা অথবা বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রা, ব্যবসা বাণিজ্যে জড়িত আছে মর্মে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা হয় বা জড়িত থাকার দরুন দোষী সাব্যস্ত হয়;
(ঙ) যে আবেদনকারী বাংলাদেশের কোনো ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন কোনো কার্যধারা উপস্থিত এড়াইতেছে বা এড়াইবার সম্ভাবনা আছে অথবা এইরূপ কোনো আদালত হইতে বাংলাদেশের বাহির যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হইয়াছে;
(চ) যে আবেদনকারী তাহার অনভিপ্রেত কার্যকলাপের দরুন পূর্বে বিদেশ হইতে বিতাড়িত হইয়াছে;
(ছ) যে আবেদনকারী স্বদেশে পুনবার্সিত হইয়াছে এবং ঐরূপ পুনর্বাসনের খরচ সে প্রত্যর্পণ করে নাই;
(জ) যে, আবেদনকারী নিঃস্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং তাহার পুনর্বাসন সরকারী তহবিলের উপর বোঝাস্বরূপ হইবে;
(ঝ) যে নাবালকের জন্য আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করিয়া বা বৈধ অভিভাবকের মতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বাহিরে লইয়া যাওয়া হইতেছে মর্মে সন্দেহ করা হয়;
(ঞ) যে আবেদনকারী এইরূপ শারীরিক বা মানসিক ত্রুটিতে ভুগিতেছে যে বৈধ অভিভাবক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সঙ্গে না থাকিলে সে নিজের তত্ত্বাবধান নিজে করিতে পারিবে না; এবং
(ট) (২) নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণে পাসপোর্ট বা বৈধ ভ্রমন দলিল ইস্যু প্রত্যাখ্যান করিবেনঃ
(ক) যে সরকারের মতে আবেদনকারী বাংলাদেশের বাহিরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অখণ্ডতা বা নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর কার্য জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা আছে;
(খ) যে সরকারের মতে আবেদনকারী আইন অধীনে জনস্বার্থ কর্তৃব্য সম্পাদন করিতে বাধ্য ঐরূপ কর্তৃব্য এড়ানোর বা এড়ানোর চেষ্টা করিতেছে মর্মে যুক্তসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা হয়;
(গ) যে সরকারের মতে আবেদনকারী বরাবরে কোনো পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যু করা জনস্বার্থে হইবে না ।
অনুচ্ছেদ-৭ যে শর্তাবলী সাপেক্ষে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যু করা হয় ঐরূপ নির্ধারিত শর্তাবলী ব্যতীত অন্য শর্তাবলী বা উহার পৃষ্ঠাংকন (এনডোরসমেন্ট) পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন এবং ঐ উদ্দেশ্যে লিখিত নোটিশ দিয়া পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলধারীকে নোটিশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ঐ কর্র্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করার জন্য বলিতে পারিবেন ।
(২) পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ কোনো পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল বাজেয়াফত বা বাতিল করিতে বা করাইতে পারিবেন যদি-
(ক) পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলধারী অন্যায়ভাবে উহার দখলে আছে এই মর্মে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ সন্তুষ্ট হইল;
(খ) গুরুত্বর্র্ণ তথ্য গোপন করিয়া পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলটি হাসিল করা হইয়াছে;
(গ) যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অখণ্ডতা নিরাপত্তার স্বার্থে বা জনস্বার্থে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ উহা করা প্রয়োজনে মনে করিলে;
(ঘ) পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার যেকোন সময় পরে উক্ত পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলধারী নৈতিক অসচ্ছরিত্রতাজনিত অপরাধের জন্য বাংলাদেশের কোনো আদালত কতৃর্ক দোষী সাব্যস্থ হয় এবং অন্ততঃ দুই বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় বা বাংলাদেশ দালাল আদেশ ৭২ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল রাঃ প্রঃ অাঃ ৭/৮)-এর অধীনে দোষী সাব্যস্থ হয়;
(ঙ) বাংলাদেশের কোনো আদালত পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলধারীর বাংলাদেশ হইতে বহির্গমন নিষিদ্ধ করিয়া এবং পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ উক্ত পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত বা বাতিল করিতে বা করাইতে আবশ্যত করিয়া আদেশ প্রদান করেন;
(চ) পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হয়;
(ছ) পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলধারী পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল প্রদান করার জন্য (১) দফা অনুসারে প্রদত্ত নোটিশ পালনে ব্যর্থ হয় ।
(৩) পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলের মালিকের আবেদনে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ উহা বাতিল করেত পারেন ।
(৪) যেক্ষেত্রে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ ৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল ইস্যুর প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করিয়া বা পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলে পৃষ্ঠাকনতব্য দেশের সংখ্যা সীমিত করিয়া বা পৃষ্ঠাংকন বাতিল বা পরিবর্তন করিয়া বা (১) দফা অনুসারে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলের শর্ত পরিবর্তন করিয়া বা অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল বাজেয়াফত বা বাতিল করিয়া আদেশ প্রদান করে সেক্ষেত্রে এইরূপ আদেশ প্রদানের কারণ সংক্ষিপ্ত আকারে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাহিলে তাহাকে উক্ত আদেশের একটি নকল প্রদান করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অখণ্ডতা বা নিরাপত্তার স্বার্থে বা জনস্বার্থে পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ এইরূপ নকল প্রত্যাখান করিতে পারিবেন ।
অনুচ্ছেদ-৮ (১) এই আদেশ বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীনে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলের মালিককে কোনো আদালত দোষী সাব্যস্থ করিলে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলও বাতিল করিতে পারিবেন । তবে শর্ত এই যে, আপিলে দোষী সাব্যস্থের আদেশ রদ হইলে পাসপোর্ট বাতিলের আদেশও বাতিল গণ্য হইবে ।
(২) আপিল বা রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগকালে সুপ্রীম কোর্টও (১) দফা অনুসারে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন ।
অনুচ্ছেদ-৯ এই আদেশবলে কোনো পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল বাতিল করা হইলে এবং উহা ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত না করা হইয়া থাকিলে উহার মালিক যে কতৃর্পক্ষ দ্বারা তাহা বাতিল করা হইয়াছে সেই কতৃর্পক্ষ বা বাতিলের আদেশে যে কতৃর্পক্ষের কথা উল্লেখ করা হইয়াছে সেই কতৃর্পক্ষের নিকট অনতিবিলম্বে উহা সমর্পণ করিবেন ।
অনুচ্ছেদ-১০
(১) ৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা বা ৭ অনুচ্ছেদের (১) এবং (২) দফার অধীনে প্রদত্ত পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষের আদেশে ক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত সময় এবং নির্ধারিত মতে অতঃপর আপিল কতৃর্পক্ষ হিসাবে উল্লেখিত কতৃর্ক্ষের নিকট উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন । তবে শর্ত এই যে, সরকার কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল চলিবে না ।
(২) বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গের বিপরীত কোনো কিছু না থাকিলে এ আদেশে-
(ক) ''বহির্গমন'' (departure) বলিতে জলপথ, স্থলপথ বা বিমানপথে বাংলাদেশ হইতে বহির্গমন বুঝাইবে ।
(খ) ''পাসপোর্ট'' (Passport) বলিতে এই আদেশবলে প্রদত্ত অথবা প্রদত্তবলে বিবেচিত পাসপোর্ট বুঝাইবে ।
(গ) ''পাসপোর্ট কতৃর্পক্ষ'' (Passport authority) বলিতে এই আদেশ অনুসারে প্রণীত নিয়মাধীন পাসপোর্ট বা ভ্রমণের দলিল প্রদান করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্র্র্তা বা কতৃর্পক্ষকে বুঝাইবে ।
(৩) বৈধ পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল না থাকিলে কেহ বাংলাদেশ হইতে বহির্গমন করিতে বা বহির্গমনের চেষ্টা করিতে পারিবে না ।
(৪) (২) এই আদেশ অনুসারে প্রদত্ত পাসপোর্ট বা ভ্রমণ-দলিল সর্বদা একটি সরকারী সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে ।
অনুচ্ছেদ-১১ যে ব্যক্তি-
(ক) ৩ ধারার বিধান লংঘন করিবে, অথবা
(খ) এই আদেশ অনুসারে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিল সংগ্রহ করিবার জন্য জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা তথ্যদান করিবে অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় গোপন করিবে অথবা আইনসম্মত ক্ষমতা ব্যতীত পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলে লিখিত কিছু পরিবর্তন করিবে বা করিবার চেষ্টা করিবে বা অন্যের দ্বারা পরিবর্তন করাইবে; অথবা
(গ) নির্ধারিত কতৃর্পক্ষ তাহার পাসপোর্ট বা ভ্রমণ-দলিল (এই আদেশ অনুসারে প্রদত্ত হউক বা না হউক) দেখিতে চাহিলে দেখাইত ব্যর্থ হইবে; অথবা
(ঘ) জ্ঞাতসারে অন্য কাহারও পাসপোর্ট বা ভ্রমণ-দলিল ব্যবহার করিলে; অথবা
(ঙ) জ্ঞাতসারে নিজের পাসপোর্ট বা ভ্রমণ-দলিল অন্য কাহাকেও ব্যবহার করিতে দিবে;
সে ব্যক্তি ছয় মাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে ।
(২) কেহ (১) অনুচ্ছেদের দণ্ডনীয় অপরাধ করিবার ব্যাপারে সহায়তা করিলে সে ব্যক্তিও অনুরূপ অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইবে ।
(৩) কেহ পাসপোর্ট বা ভ্রমণ দলিলের কোনো শর্ত বা এই আদেশের কোনো বিধান লংঘন করিলে এবং তজ্জন্য এই আদেশের অন্য কোথাও শাস্তির বিধান না থাকিলে সে ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ।
অনুচ্ছেদ-১২ (১) সরকারের সাধারণ বা বিশেষ আদেশবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত শুল্ক বিভিগীয় কোনো অফিসার অথবা বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কোনো সহকারী ইন্সপেক্টর বা তাহার ঊর্দ্ধতন মর্যাদার কোনো অফিসার বা পুলিশ বাহিনীর কোনো অফিসার কোনো স্থানে তল্লাশি করে কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট ভ্রমণ দলিল আটক করিতে পারিবে, অথবা সেই ব্যক্তি ১১ ধারা অনুসারে কোনো অপরাধ করিয়াছে বলিয়া যুক্তসঙ্গত সন্দেহ থাকিলে বিনা-পরোয়ানায় সে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবে ।
(২) এই ধারা অনুসারে তল্লাশি, আটক ও গ্রেফতার করিবার ব্যাপারে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কাযর্যবিধির সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ যতদূর সম্ভব প্রযোজ্য হইবে ।