Author Topic: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি  (Read 9582 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
কল-কারখানা আইন, ১৯৬৫
(The Factories Act. 1965)
[১৯৬৫ সালে ৪নং আইন]

[১৯৩৪ সালের কারখানা আইন (১৯৩৪ সালের ২৫নং আইন) বাতিল করে কিছু সংশোধনীসহ আবারো প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন]

প্রথম অধ্যায়
প্রাথমিক বিষয়াদি

ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা ও আরম্ভ :

এই আইন কল-কারখানা আইন, ১৯৬৫, নামে অভিহিত হইবে।

সমগ্র বাংলাদেশ এই আইনের আওতাভুক্ত।

ইহা অবিলম্বে বলবত হইবে।

ধারা-২। সংজ্ঞাসমূহ :

বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গের সহিত সঙ্গতিহীন না হইলে এই আইনে-

(ক) ‘কিশোর-কিশোরী’ বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যাহার বয়স ষোল বত্সর পূর্ণ হইয়াছে, কিন্তু আঠারো বত্সর হয় নাই।

(খ) ‘সাবালক’ বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যাহার বয়স আঠারো বত্সর পূর্ণ হইয়াছে।

(গ) ‘শিশু’ বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যাহার বয়স ষোল বত্সর পূর্ণ হয় নাই।

(ঘ) ‘দিন’ বলিতে মধ্যরাত্রি হইতে শুরু করিয়া চব্বিশ ঘন্টা সময় বুঝাইবে।

(ঙ) ‘বিষ্ফোরক দ্রব্য’ বলিতে বিষ্ফোরক দ্রব্য প্রস্তুত করার উপাদানও বুঝাইবে।

(চ) ‘কল-কারখানা’ বলিতে সীমানাসহ এমন একটি ভবন বুঝাইবে, যেখানে দশ বা ততোধিক শ্রমিক কাজ করিতেছে বা পূর্ববর্তী বারো মাসের মধ্যে কোনো দিন কাজ করিতেছিল এবং যেখানে বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে বা তাহা ব্যতীত কোনো উত্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হইতেছে; কিন্তু ইহা দ্বারা ১৯২৩ সালের খনি আইনের (১৯২৩ সালের ৪নং আইন) আওতাধীন কোনো খনি বুঝাইবে না।

কোনো ভবন একটি কারখানা হইতে হইলে সেখানে অবিরামভাবে শ্রমিকগণ কাজ করিতে থাকিবে, এইরূপ হওয়ার প্রয়োজন নাই। কেবলমাত্র যদি পূর্ববর্তী বারো মাসের মধ্যে কোনো একদিন সেখানে দশজন শ্রমিক  কার্যে  র্র্নিযুক্ত হইয়া থাকে, তাহাই যথেষ্ট, তত্পর যদি শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাসপ্রাপ্তও হইয়া থাকে, তথাপি ঐদিন  হইতে পরবর্তী বারো মাস  পর্যন্ত সেই ভবনটি কারখানা বলিয়া গণ্য হইবে।

(ছ) ‘যন্ত্রপাতি’ বলিতে প্রধান চালিকা যন্ত্র, সঞ্চালনকারী যন্ত্র এবং বিদ্যুত্ উত্পাদন, রূপান্তর, সঞ্চালন ও প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য কলকব্জাকেও বোঝায়।

(জ) ‘উত্পাদন প্রক্রিয়া’ বলিতে বোঝায়-

(১)  কোনো বস্তু ব্যবহার, বিক্রয়, পরিবহন, অর্পন, প্রদর্শন বা বিহিত ব্যবস্থা করার জন্য উহার প্রস্তুত, রূপান্তর, মেরামত, অঙ্গ-সজ্জা করা,  উহাতে রং করা, ধৌত করা, শেষ স্পর্শ দেওয়া বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহারোপযোগী করার প্রক্রিয়া, অথবা

(২)     তৈল, গ্যাস, পানি, নর্দমার ময়লা বা অন্য কোনো তরল পদার্থ বা ময়লা পাম্প করার প্রক্রিয়া; অথবা

(৩)     বিদ্যুত্ কিংবা গ্যাস উত্পাদন, রূপান্তর  বা সঞ্চালন করিবার প্রক্রিয়া, অথবা

(৪)     জাহাজ বা নৌযান নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, নির্মাণ কার্যের শেষ স্পর্শ দান বা ভাঙ্গিয়া ফেলার প্রক্রিয়া; অথবা

(৫) মুদ্রণ যন্ত্র, লিথোগ্রাফি, ফটোগ্রাফার দ্বারা বা অনুরূপ কোনো উপায়ে কিছু ছাপাইবার অথবা স্বতন্ত্র ব্যবসা হিসাবে বা মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বা অন্য কোনো ব্যবসার আনুষাঙ্গিক কার্য হিসাবে পুস্তক বাঁধাই করার প্রক্রিয়া।

(ঝ) কারখানা প্রসঙ্গে দখলকারী বলিতে এমন ব্যক্তিকে  বোঝায়, কারখানার কাজ-কর্মের উপর যাহার চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ আছে।

তবে শর্ত এই যে, যেই ক্ষেত্রে কারখানা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ম্যানেজিং এজেন্টের উপর ন্যস্ত থাকে, সেই ক্ষেত্রে ম্যানেজিং  এজেন্ট সেই কারখানার দখলকারী বলিয়া গণ্য হইবে।

(ঞ) ‘নির্ধারিত’ বলিতে এই আইন অনুসারে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝাইবে।

(ট)  ‘প্রধান চালিকা যন্ত্র’ বলিতে কোনো ইঞ্জিন, মোটর অথবা বিদ্যুত্ উত্পাদন  বা সরবরাহকারী অন্য কোনো কলকব্জা বুঝাইবে।

(ঠ) ‘রীলে’ বলিতে যে ক্ষেত্রে একই ধরনের কাজ দিনের বিভিন্ন সময় দুই বা ততোধিক দলবদ্ধ শ্রমিক কর্তৃক সম্পন্ন হয়, তাহার প্রত্যেক সময় বুঝাইবে।

(ড) ‘শিফ্ট’ বলিতে যে ক্ষেত্রে একই ধরনের কাজ দিনের বিভিন্ন সময় দুই বা ততোধিক দলবদ্ধ শ্রমিক কর্তৃক সম্পন্ন হয়, তাহার প্রত্যেক সময় বুঝাইবে।

(ঢ) ‘সঞ্চালন যন্ত্র’ বলিতে কোনো শ্যাফ্ট হুইল, ড্রাম-পুলী, পুলী-ব্যবস্থা, কাপলিং ক্লাচ, ড্রাইভিং বেল্ট বা অন্য যেই কলকব্জার সাহায্যে প্রধান চালিকার গতি অন্য কোনো যন্ত্রে সঞ্চারিত বা গৃহীত হয়, তাহা বুঝাইবে।

(ণ) ‘সপ্তাহ’ বলিতে নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক ছুটির দিনের পূর্ববর্তী মধ্যরাত্রি হইতে আরম্ভ করিয়া সাত দিন সময় বুঝাইবে।

(ত) ‘শ্রমিক’ বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যেই ব্যক্তি বেতনসহ বা বিনা বেতনে কোনো উত্পাদন প্রক্রিয়ার কাজে, অথবা উত্পাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি বা ভবন পরিষ্কার কাজে, অথবা উত্পাদন প্রক্রিয়ার সহিত সংশ্লিষ্ট বা উত্পাদন প্রক্রিয়ার আনুষঙ্গিক কাজে সরাসরিভাবে বা এজেন্সীর মাধ্যমে নিযুক্ত হয়; কিন্তু যেই কক্ষে বা স্থানে কোনো উত্পাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় না, সেখানে সম্পূর্ণরূপে কেরাণীর পদে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে বুঝাইবে না।

 (থ) ‘তরুণ ব্যক্তি’ বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যেই ব্যক্তি একজন শিশু বা নব যুবক বা যুবতী।

 (দ) ‘শক্তি’ বলিতে এইরূপ বৈদ্যুতিক শক্তি বা অন্যবিধ শক্তি বুঝাইবে, যাহা যান্ত্রিক উপায়ে সঞ্চালিত হয় এবং যাহা মানবিক বা পাশবিক শ্রমের দ্বারা উত্পন্ন  হয় নাই।

(ধ)  ‘মজুরী’ বলিতে ১ঌ৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনে (১ঌ৩৬ সালের ৪ নং আইন) বর্র্ণিত মজুরী বুঝাইবে।

ধারা-৩। কতিপয় স্থানে এই আইনের বিধানসমূহ প্রয়োগের ক্ষমতা :

(১)   সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দ্বারা সরকার ঘোষণা করিতে পারেন যে, যেই স্থানে বিদ্যুত শক্তি ব্যবহার করিয়া বা তাহা না করিয়া উত্‌পাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হইতেছে বা সাধারণত হইয়া থাকে, এবং সেইখানে পাঁচজন  বা ততোধিক শ্রমিক কাজ করিতেছে বা পূর্ববর্তী বারো মাসের মধ্যে কোনো দিন কাজ করিয়াছে, সেই স্থানে এই আইনের বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।

(২)   উপধারা (১) অনুসারে কোনো বিজ্ঞপ্তি একটি স্থান সম্পর্কে বা অনুরূপ শ্রেণীর কোন স্থানসমূহ সম্পর্কে অথবা সাধারণভাবে অনুরূপ সকল স্থান সম্পর্কে প্রচার করা যাইতে পারে।

২ ধারার (চ)  অনুচ্ছেদে যাহাই থাকুক না কেন, যেই স্থানে এই আইনের সকল বা কোনো কোনো বিধান (১) উপধারার ঘোষণা অনুসারে বর্তমানে প্রযোজ্য, সেই স্থান কেবল এই আইনের বিধান প্রয়োগ সাপেক্ষে কারখানা বলিয়া বিবেচিত হইবে, অন্যথায় নয়।

ধারা-৪। বিভিন্ন বিভাগকে স্বতন্ত্র কারখানা বলিয়া ঘোষণা করার ক্ষমতা :

সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্দেশ দিতে পারেন যে, নির্দিষ্ট কোনো কারখানার বিভিন্ন বিভাগ বা শাখাসমূহ এই আইনের সকল বা কোনো কোনো উদ্দেশ্যে এক কারখানা বলিয়া বিবেচিত হইবে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #1 on: January 20, 2012, 08:43:02 AM »
ধারা-৫। অব্যাহতি দানের ক্ষমতা :

সরকারী গেজেটে বিজ্ঞিপ্তি প্রচার করিয়া সরকার কোনো কারখানাকে বা কোনো শ্রেণী বা বিবরণভুক্ত কারখানাসমূহকে এই আইনের সকল বা কোনো বিধানের আওতা হইতে জনস্বার্থের খাতিরে উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত সময়ের জন্য অব্যহতি দিতে পারিবেন।

তবে, শর্ত এই যে, একযোগে ছয় মাসের অধিক সময়ের জন্য অনুরূপ অব্যাহতি দান করা যাইবে না।

ধারা-৬। কাজ আরম্ভের পূর্বে ইন্সপেক্টরকে নোটিশ দান:

(১)  কোনো দখলকারী কোনো ভবনকে কারখানা হিসাবে ব্যবহার করিতে চাহিলে, তদ্রুপ ব্যবহার আরম্ভ করিবার কমপক্ষে পনেরো দিন পূর্বে চীফ ইন্সপেক্টার নিকট নিম্নলিখিত বিবরণ সম্বলিত একটি লিখিত নোটিশ পাঠাইতে হইবে-

(ক) কারখানার নাম ও অবস্থান;

(খ) দখলকারীর নাম ও ঠিকানা;

(গ) কারখানা সম্পর্কিত চিঠিপত্র প্রেরণের ঠিকানা;

(ঘ) উত্পাদন প্রক্রিয়ার ধরন-

(১)  এই আইন বলবত হইবার তারিখে যেই সকল কারখানা বিদ্যমান ছিল, সেইগুলির ক্ষেত্রে বিগত বারো মাসের উত্পাদন প্রক্রিয়ার ধরন;

       (২)  সকল কারখানার ক্ষেত্রে আগামী বারো মাসের উত্পাদন প্রক্রিয়ার ধরন;

(ঙ) কারখানায় ব্যবহার্য শক্তির পরিমাণ ও ধরন;

(চ) এই আইনের উদ্দেশ্যে কারখানার ম্যানেজারের নাম;

(ছ) কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের সম্ভাব্য  সংখ্যা;

(জ) এই আইন বলবত হওয়ার তারিখে যেই সকল কারখানা বিদ্যমান ছিল, সেইগুলির ক্ষেত্রে বিগত বারো মাসে নিযুক্ত শ্রমিরদের দৈনিক গড়পড়তা সংখ্যা; এবং

(ঝ) অন্যান্য  যেই সকল বিবরণ চাওয়া হইতে পারে।

(২) কোনো কারখানা যখন প্রথম এই আইনের আওতাভুক্ত হইবে, তখন সেই সকল কারখানার দখলকারীগণ এই আইন বলবত হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে (১) উপধারায় উল্লিখিত বিবরণ সম্বলিত লিখিত নোটিশ চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট প্রেরণ করিবে।

(৩) যেই সকল কারখানায় বত্সরে একশত আশি কার্যদিবসের কম সময় উত্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেই সকল কারখানায় পুনরায় কাজ আরম্ভ হইবার পূর্বে উহার দখলকারী কাজ আরম্ভ হইবার পূর্ববর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে (১) উপধারায় উল্লিখিত বিবরণ সম্বলিত একটি লিখিত নোটিস চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট প্রেরণ করিবে।

(৪) অন্য ব্যক্তি কারখানার ম্যানেজার নিযুক্ত হইলে, দখলকারী নূতন ম্যানেজার কার্যভার গ্রহণ করিবার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে এই পরিবর্তন সম্পর্কে একটি লিখিত নোটিস চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট প্রেরণ করিবে।

(৫) যেই সময় কারখানার ম্যানেজার পদে কেহই নিযুক্ত থাকে না, অথবা ম্যানেজার পদে নিযুক্ত ব্যক্তি যেই সময় কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে না, সেই সময় যেই ব্যক্তি ম্যানেজার হিসাবে কাজ চালায়, সেই ব্যক্তি এবং যেই ক্ষেত্রে কেহই তদ্রুপ কাজ চালায় না, সেই ক্ষেত্রে দখলকারী স্বয়ং এই  আইনের উদ্দেশ্যে ম্যানেজার বলিয়া গণ্য হইবেন।

ধারা-৭। মৌসুমী কারখানা :

যেই কারখানায় বত্সরে সাধারণত অনধিক একশত আশি কার্যদিবস উত্পাদন প্রক্রিয়া চালু থাকে এবং নির্দিষ্ট মওসুম ব্যতীত যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের অনিশ্চয়তা হেতু উত্পাদন চালু রাখা সম্ভব নহে, সরকারি  গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া সরকার সেইরূপ কারখানাকে এই আইনের উদ্দেশ্যে মওসুমী কারখানা বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবেন।

ধারা-৮। পরিকল্পনা অনুমোদন এবং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনের ফী :

(১)  সরকার -

(ক) কোনো কারখানা বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানা নির্মাণ বা সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে চীফ ইন্সপেক্টরের লিখিত পূর্ব অনুমতি গ্রহণ প্রয়োজন বলিয়া নির্দেশ দিতে পারিবেন;

(খ) কোনো কারখানা বা বিশেষ শ্রেণীর জন্য রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স গ্রহণ প্রয়োজন বলিয়া নির্দেশ দিতে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সের বা উহার নবায়নের ফী নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

(২) উপধারা (১)-এর বিধান মোতাবেক পরিকল্পনা ও বিশদ বিবরণসহ অনুমোদনের জন্য কোনো আবেদন চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট  প্রেরিত হইলে এবং উহা প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে আবেদনকারীর নিকট চীফ ইন্সপেক্টরের আদেশ না পৌঁছাইলে ধরিয়া লইতে হইবে যে, তিনি উক্ত আবেদন অনুমোদন করিয়াছেন।

(৩) কারখানা নির্মাণের বা সম্প্রসারণের আবেদন, অথবা রেজিস্ট্রেশনের বা লাইসেন্সের জন্য প্রাপ্ত দরখাস্ত যদি চীফ ইন্সপেক্টর প্রত্যাখ্যান  করেন, তবে উহার ষাট দিনের মধ্যে আবেদনকারী সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।

 

দ্বিতীয় অধ্যায়
চীফ ইন্সপেক্টর,
ইন্সপেক্টরবৃন্দ, সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন

ধারা-৯। চীফ ইন্সপেক্টর ও ইন্সপেক্টরগণ :

(১) সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া যে কোনো ব্যক্তিকে চীফ ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করিতে পারেন এবং নিযুক্ত ব্যক্তি এই আইন অনুসারে চীফ ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা ব্যবহার ছাড়াও সারা দেশে ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা প্রয়োগসহ উপধারা (১)-এর অধীনে নিযুক্ত ইন্সপেক্টরের উপর তদারক ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত এই যে, চীফ ইন্সপেক্টর তাঁহার অধীনস্থ যে কোনো অফিসার বা অফিসারগণকে তত্কর্তৃক নির্দিষ্ট এলাকায় তাঁহার  যাবতীয় ক্ষমতা বা যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দিতে পারিবেন।

(২) সরকার গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যোগ্য বলিয়া বিবেচিত যে কোনো ব্যক্তিকে এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করিয়া তাঁহাদের প্রত্যেকের ক্ষমতাভুক্ত এলাকা নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবেন।

(৩) সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এই আইনের  যাবতীয় বা যে কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যে কোনো সরকারি  অফিসারকে ইন্সপেক্টর নিযুক্ত করিয়া তাঁহার ক্ষমতাভুক্ত এলাকা নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবেন।

(৪)  প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনার তাঁহার নিজ জেলার জন্য ইন্সপেক্টর হইবেন।

(৫)  যাহারা কোনো কারখানার সহিত বা কারখানার উত্পাদন প্রক্রিয়া বা ব্যবাসায়, অথবা উহার সংশ্লিষ্ট কোনো প্যাটেন্ট বা যন্ত্রপাতির সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট, অথবা উহাতে যাহাদের  স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে, তাঁহারা ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না, অথবা নিযুক্ত হইয়া থাকিলে উক্ত  পদে আর বহাল থাকিবেন না।

(৬) কোনো এলাকায়  একাধিক ইন্সপেক্টর থাকিলে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তাঁহাদের প্রত্যেকের ক্ষমতা ভাগ করিয়া দিতে পারেন, এবং কোন ইন্সপেক্টরের নিকট নির্ধারিত নোটিশ পাঠাইতে হইবে, তাহাও উক্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করিতে পারিবেন।

(৭)  চীফ ইন্সপেক্টর এবং প্রত্যেক ইন্সপেক্টর ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ২১ ধারার অর্থ অনুসারে সরকারি কর্মচারি বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উপধারা (৩) অনুসারে নিযুক্ত ইন্সপেক্টরগণ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশিত কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ হইবেন।

(৮)  চীফ ইন্সপেক্টর এবং প্রত্যেক ইন্সপেক্টর ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ২১ ধারার অর্থ অনুসারে সরকারি কর্মচারি বলিয়া গণ্য হইবেন এবং সরকার যেভাবে নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন, তাঁহারা প্রত্যেকে সেইরূপ কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ হইবেন।

Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #2 on: January 20, 2012, 08:43:33 AM »
ধারা-১০। ইন্সপেক্টারদের ক্ষমতা :

(১)  এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একজন ইন্সপেক্টর তাঁহার ক্ষমতাভুক্ত এলাকায়-

     (ক) বাংলাদেশ সরকারের বা কোনো মিউনিসিপ্যালিটির বা স্থানীয় সংস্থার চাকরিতে নিযুক্ত যে কোনো কর্মচারির (তিনি যাহাদের যোগ্য বিবেচনা করিবেন) সহায়তায় ৩ ধারা অনুসারে কারখানা হিসাবে ব্যবহৃত, অথবা কারখানা হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারে, এইরূপ যে কোনো স্থানে প্রবেশ, পরিদর্শন ও পরীক্ষা করিতে পারিবেন;

     (খ) এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য রক্ষিত যে কোনো রেজিস্টার, সার্টিফিকেট, নোটিশ বা দলিল  বা দলিল তলব ও পরীক্ষা করিতে এবং প্রয়োজনমতো উহার নকল লইতে পারিবেন;

 (গ) কোনো কারখানা এবং কারখানায় নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যরক্ষা সম্পর্কে এই আইনের এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধান ঠিক মতো মানিয়া চলা যাইতেছে কিনা, তাহা নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনমতো তদন্ত ও পরীক্ষা করিতে পারিবেন;

      (ঘ) কারখানার প্রকৃত দখলকারী সম্পর্কে তথাকার যেই কোনো ব্যক্তি প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন;

           (ঙ) এই আইনের সংশ্লিষ্ট যেই কোনো ব্যাপারে কারখানার প্রত্যেক ব্যক্তিকে, অথবা যে কেহ সেই কারখানায় অন্ততঃ  দুই মাস কাজ করিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ থাকিলে, তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

   তবে শর্ত এই যে, কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে হইবে না বা এমন কোনো সাক্ষ্য দিতে হইবে না, যদ্দারা সে নিজে কোনো অপরাধে জড়িত হইতে পারে; এবং

           (চ) যাহাদিগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে, তাহাদের প্রত্যেকের লিপিবদ্ধ প্রশ্নোত্তরে প্রত্যয়নস্বরূপ স্বাক্ষর লওয়া হইবে।

      (২)  এই আইন অনুসারে এবং সংশ্লিষ্ট কারখানা সংক্রান্ত  বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য কারখানা প্রবেশ, পরিদর্শন, পরীক্ষা ও তদন্ত করা এবং দ্রব্যের নমুনা সংগ্রহ প্রভৃতি বিষয়ে প্রত্যেক কারখানায় দখলকারী তাঁহার এজেন্ট বা কর্মচারিগণ ইন্সপেক্টরদের প্রয়োজনীয় সকল রকমের সুযোগ-সুবিধা দান করিবেন;

      (৩)  এই অনুসারে দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য ইন্সপেক্টর নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে প্রয়োজনবোধে যে কোনো কারখানার যে কোনো রেকর্ডপত্র, রেজিস্টার বা অন্য দলিল আটক করিতে পারিবেন।

 

ধারা-১১। সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন :

(১)  এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার নিজ পছন্দমতো যে কোনো যোগ্য রেজিস্টার্ড চিকিত্সককে সার্টিফিকেটদানকারী সার্জন পদে নিয়োগ করিয়া তাঁহাদের স্ব স্ব আওতাভুক্ত স্থানীয় এলাকার সীমা, অথবা কারখানা বা কারখানার শ্রেণীর নাম নির্দেশ করিয়া দিতে পারিবেন।

(২)  কোনো ব্যক্তি  কোনো কারখানার দখলকারী হইলে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো কারখানার সহিত তাহার স্বার্থ জড়িত থাকিলে, অথবা উক্ত কারখানার কোনো প্যাটেন্ট  বা যন্ত্রপাতির সহিত তাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হইয়া থাকিলে, তাঁহাকে সার্টিফিকেট দানকারী  সার্জন পদে নিয়োগ করা যাইবে না অথবা  পূর্বে নিযুক্ত হইয়া থাকিলে, তিনি আর বহাল থাকিতে পারিবেন না।

(৩)  সার্টিফিকেট দানকারী সার্জনগণ নিম্নোক্ত বিষয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করিবেন-

(ক) এই আদেশ অনুসারে তরুণ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট দান;

      (খ) কারখানার নির্ধারিত  বিপদজনক ধরনের পেশা বা কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা;

      (গ) কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানায়  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তদারক কার্য, যেইখানে-

        (১) বিশেষ ধরনের উত্পাদন প্রক্রিয়ার দরুন বা অন্য কারণে শ্রমিকগণ অসুস্থ হইয়াছে বা অসুস্থা হইতে পারে বলিয়া বিশ্বাস করার সঙ্গত কারণ রহিয়াছে;

     (২) উত্পাদন পদ্ধতির পরিবর্তন, অথবা উত্পাদনে বিশেষ ধরনের পরিবর্তনের ফলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উপর কিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা রহিয়াছে; এবং

      (৩) কোনো কাজে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিগণ নিযুক্ত থাকিলে বা নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে এবং যদি উক্ত নিযুক্তির ফলে তাহাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

তৃতীয় অধ্যায়
স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা

ধারা-১২। পরিচ্ছন্নতা :

(১) প্রত্যেক কারখানা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে এবং অপরিষ্কার নর্দমা বা ময়লা জমার জন্য আবহাওয়া দূষিত হওয়ার কারণ হইতে মুক্ত রাখিতে হইবে, এবং বিশেষত-

     (ক) শ্রমিকদের কাজ করিবার কামরা ও সিঁড়ি  এবং যাতায়াতের পথ ও প্রাঙ্গণ হইতে প্রত্যহ ময়লা ও আবর্জনা ঝাড়ু দিয়া বা অন্য কোনো যথাযথ উপায়ে অপসারণ  করিয়া পরিষ্কার রাখিতে হইবে;

     (খ) শ্রমিকদের কাজ করিবার কামরা প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন করিয়া পানি দিয়া, অথবা প্রয়োজনবোধে জীবাণুনাশক ঔষধ সহযোগে ধৌত করিয়া অথবা অন্য কোনো কার্যকর পন্থায় পরিষ্কার করিতে হইবে;

      (গ) পণ্য উত্পাদনের প্রক্রিয়াগত কারণে ঘরের মেঝে ভিজিয়া গেলে পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে;

      (ঘ) অভ্যন্তরীণ সকল দেওয়াল, পার্র্র্টিশন, সিলিং বা ছাদ এবং দেওয়ালের উপরিভাগ এবং চলাচলের প্যাসেজ ও সিঁড়ি

        (১) রং বা বার্র্র্নিশ করা থাকিলে  প্রতি পাঁচ বত্সর অন্তর একবার পুনঃরং বা পুনঃবার্ণিশ করিতে হইবে;

        (২) রং বা বার্ণিশ করা থাকিলে এবং উহার উপরিভাগে চুন-বালি এখানে-সেখানে খসিয়া পড়ার মতো হইলে  প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত একবার পরিষ্কার ও মেরামত করিতে হইবে;

        (৩) অন্যান্য ক্ষেত্রে  চৌদ্দ মাসে অন্তত একবার চুনকাম বা বার্র্র্নিশ করিতে হইবে; এবং

          (ঙ) উপরে বর্ণিত (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে কার্য সম্পাদনের তারিখ নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতে হইবে।

          (চ)  কোনো কারখানায় সম্পাদিত কাজের প্রকৃতির জন্য যদি সেইখানে (১) উপধারা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভবপর না হয়, তাহা হইলে সেই ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশ জারি করিয়া সেই কারখানাকে উক্ত উপধারার আওতা হইতে রেহাই দান এবং কারখানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প পন্থার নির্দেশ দিতে পারিবেন।

 

ধারা-১৩। ব্যবহারবর্জিত দ্রব্য ও তরল পদার্থ অপসারণ :

(১)  কারখানায় পণ্য উত্পাদনের সময় বর্র্জিত দ্রব্য ও পদার্থ অপসারণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(২)  সরকার উপধারা (১) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করিয়া দিতে, অথবা উক্ত উপধারা প্রতিপালন করা সম্পর্কে কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণের পন্থা নির্দেশ দিতে পারিবেন।

ধারা-১৪। বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা :

(১)  প্রত্যেক কারখানায় প্রতিটি কাজের ঘরে নিম্নোক্ত বিষয়ে কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকিতে হইবে-

(ক) পরিষ্কার বাতাস প্রবেশের উপযোগী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা; এবং

(খ) শ্রমিকদের শরীর সুস্থ থাকার উপযোগী এবং স্বাস্থ্যহানির কারণ দূরীকরণের উপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থা, এবং বিশেষত-

(১)  কাজের ঘরের ছাদ ও দেওয়াল এমনভাবে এবং এমন মাল-মসলা দ্বারা নির্মিত হইতে হইবে, যেন সকল সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে;

(২)  যেইখানে কারখানার বিশেষ কাজের ফলশ্রুতিতে তাপ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাইতে পারে, সেইখানে এমন কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে, যাহাতে কাজের ঘর হইতে গরম বাতাস বাহির হইয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপযোগী স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজমান থাকে।

(৩)  যে কোনো কারখানার জন্য বা কোনো বিশেষ শ্রেণীর কারখানা বা উহার কোনো অংশের জন্য সরকার পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থার ও উপযুক্ত তাপমাত্রার মান নির্ধারণ করিয়া এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারেন যে, উক্ত কারখানার কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একটি তাপমান যন্ত্র সংস্থাপন করিতে হইবে।

(৪)  সরকার যদি মনে করেন যে, কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীভুক্ত কারখানায় চুনকাম করিয়া, স্প্রে করিয়া বা বিচ্ছিন্ন করিয়া বর্হিদেওয়ালে বা জানালা বা ছাদে পর্দা দিয়া বা ছাদ উঁচু করিয়া বা ডবল ছাদ নির্মাণ করিয়া বর্ধিত তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কারখানায় উপরোক্ত ব্যবস্থা বা অন্য কোনো কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #3 on: January 20, 2012, 08:44:00 AM »
ধারা-১৫। ধূলা-বালি ও ধোঁয়া :

(১)  কোনো কারখানায় বিশেষ ধরনের পণ্য উত্পাদন পদ্ধতির কারণে যদি ধূলা-ময়লা জমা হইয়া বা ধুম্র উদ্গীরণের ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, উহা শ্রমিকদের পক্ষে ক্ষতিকর হইতে পারে, তবে উক্ত ধূলা-ময়লা জমা হওয়ার বা শুধু উদগীরণের সুষ্ঠু প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(২)  কোনো কারখানায় উণ্মুক্ত স্থানে ধোঁয়া নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না থাকিলে, ঘরের মধ্যে ইঞ্জিন চালনা হইবে না এবং ধোঁয়া জমিয়া কাজের ঘরে কার্যরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হইতে না পারে, তজ্জন্য সুষ্ঠু ও কার্যকর প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া ঘরের মধ্যে উক্ত ইঞ্জিন চালানো যাইবে না।

ধারা-১৬। কৃত্রিম আদ্রতা :

(১)     যেই সমস্ত কারখানায় বাতাসে কৃত্রিম আদ্রতা সৃষ্টি হয়,  সেইগুলির বেলায় সরকার নিম্নরূপ বিধিমালা প্রবর্তন করিতে পারিবেন-

(ক)     আদ্রতার মান নির্ধারণ করিয়া;

(খ)   বাতাসে কৃত্রিম আর্দ্রতা সৃষ্টির মাত্রা হ্রাসের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া নির্ধারণ করিয়া;

(গ)   সৃষ্ট আদ্রতা পরিমাপ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দান করিয়া; এবং

(ঘ)   কাজের ঘরগুলিতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা এবং বাতাস ঠাণ্ডা রাখিবার উপযুক্ত ব্যবস্থা নির্ধারণ করিয়া।

(২)   কোনো কারখানার বাতাসে কৃত্রিম আদ্রতা বৃদ্ধি পাইলে, সেইখানে ব্যবহারের জন্য সরকারি  সরবরাহ ব্যবস্থা হইতে, অথবা অন্য কোনোভাবে বিশুদ্ধ খাবার পানি গ্রহণ করিতে হইবে, অথবা ব্যবহার্য পানি উত্তমরূপে বিশুদ্ধ করিয়া লইতে হইবে।

(৩)      ইন্সপেক্টর যদি দেখিতে পান যে, কোনো কারখানায় কৃত্রিম  আদ্রতা সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত পানি উপধারা (২) -এ বর্ণিত বিধান মোতাবেক উত্তমরূপে বিশুদ্ধ করা হইতেছে না, তাহা  হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্যানেজারকে লিখিত নোটিশ জারি করিয়া নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে  উক্ত উপধারা মোতাবেক যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবেন।

ধারা-১৭। অতিরিক্ত ভীড় :

(১)  কোনো কারখানার কোনো কাজের ঘরে যেন এত ভীড় না হয়, যাহা কারখানায় নিযুক্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হইতে পারে।

(২)  উপধারা (১)-এ বর্ণিত বিধান সাধারণভাবে লংঘন না করিয়া প্রতিটি কাজের ঘরে কার্যে নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে-

(ক)  এই আইন বলবত হওয়ার তারিখে বিদ্যমান কারখানায় অন্ততপক্ষে তিন শত পঞ্চাশ বর্গফুট স্থান থাকিতে হইবে; এবং

(খ)  এই আইন বলবত হওয়ার পরে নির্র্র্মিত কারখানার বেলায় অন্ততপক্ষে পাঁচ শত বর্গফুট স্থান থাকিতে হইবে;

(৩)  চীফ ইন্সপেক্টর লিখিত নির্দেশ জারি করিলে সংশ্লিষ্ট কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে সর্বাধিক কতজন করিয়া  শ্রমিককে কাজে নিয়োগ করা হইবে, তত্সংক্রান্ত নোটিশ প্রতিটি কাজের ঘরে লটকাইয়া রাখিতে হইবে।

(৪) চীফ ইন্সপেক্টর যদি মনে করেন যে, কোনো কারখানার কাজের ঘরগুলি এমনভাবে নির্মিত হইয়াছে যে, সেইখানে এই ধারার বিধান কার্যকর না করিলেও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন থাকিবে, তবে সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে তিনি লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া নিজ বিবেচনায় উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে উক্ত কারখানাকে এই ধারার বাধ্যবাধকতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

ধারা-১৮। আলোর ব্যবস্থা :

(১) প্রত্যেক কারখানার প্রতি অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করে বা চলাচল করে, প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম বা উভয় প্রকারের পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(২) প্রত্যেক কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে ১৪ ধারার উপধারা (৩) অনুসারে আলো প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত জানালার কাঁচ বা ছাদ সংলগ্ন কাঁচের গবাক্ষসমূহ ভিতর ও বাহির উভয় দিকেই পরিষ্কার করিয়া রাখিতে হইবে।

(৩) নিম্নোক্ত অবস্থাসমূহ প্রতিরোধের জন্য প্রত্যেক কারখানায় যতদূর সম্ভব কার্যকর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে-

(ক) প্রত্যক্ষ আলোকচ্ছটা বা মসৃণ মেঝেতে প্রতিফলিত আলোকচ্ছটা; এবং

(খ) ঘণীভূত ছায়া, যাহা  চোখের জন্য ক্ষতিকর, অথবা দুর্ঘটনার কারণ হইতে পারে।

(৪) সকল কারখানায় বা কোনো বিশেষ শ্রেণীর কারখানায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা সংক্রান্ত মান সরকার নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবেন।

ধারা-১৯। খাবার পানি :

(১)  প্রত্যেক কারখানায় শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য যথোপযুক্ত স্থানে সর্বক্ষণ বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(২)  খাবার পানি রাখিবার জায়গায় অধিকাংশ শ্রমিকের বোধগম্য ভাষায় ‘খাবার পানি’ কথাটি লিখিয়া রাখিতে হইবে এবং চীফ ইন্সপেক্টরের লিখিত অনুমতি ছাড়া উক্ত স্থানে ২০ ফুটের মধ্যে কোনো ধৌতাগার, প্রস্রাবখানা বা পায়খানা থাকিতে পারিবে না।

(৩) সাধারণত আড়াই শতাধিক শ্রমিক কর্মে নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রত্যেক কারখানায় গরমের মওশুমে খাবার পানি ঠাণ্ডা রাখিবার এবং শ্রমিকদের মধ্যে উহা সরবরাহের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(৪) সকল কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীভু্ক্ত কারখানাসমূহে এই ধারার বিধানসমূহ কার্যকরীকরণ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #4 on: January 20, 2012, 08:44:25 AM »
ধারা-২০। পায়খানা ও প্রসাবখানা :

(১)   প্রত্যেক কারখানায়-

(ক)  কার্যরত শ্রমিকগণ সহজে ব্যবহার করিতে পারে, এমন সুবিধাজনক স্থানে নির্ধারিত ধরনের পায়খানা ও প্রস্রাবখানার                পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সর্বক্ষণের জন্য থাকিতে হইবে;

(খ)  পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের জন্য পৃথক প্রস্রাবখানাসমূহে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা  থাকিতে  হইবে;

(গ)  উপরোক্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং চীফ ইন্সপেক্টর লিখিতভাবে রেহাইমূলক আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো পায়খানা ও প্রস্রাবখানা শ্রমিকদের কাজের ঘরের সংলগ্ন হইবে না;

(ঘ) উপরোক্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহ যথোপযুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে এবং সেখানে জীবাণুনাশক ঔষধ ব্যবহার করিতে হইবে;

(ঙ) উপরোক্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহের অভ্যন্তরীণ দেওয়াল ও মেঝে উপরে  ৩ ফুট পর্যন্ত  পাকা মসৃণ গাঁথুনিযুক্ত হইতে হইবে।

(চ)   প্রত্যেক কারখানার পুরুষ ও মহিলা শ্রকিদের সংখ্যার অনুপাতে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার সংখ্যা এবং কারখানায়

স্বাস্থ্যসম্মত  পরিচ্ছন্নতার বিধান সম্পর্কে সরকার নিয়মাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-২১। পিকদানি :

(১)  প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং  উহা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে।

(২)  সরকার যে কোনো কারখানায় পিকদানির ধরন ও সংখ্যা নির্ধারণ এবং উহা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অবস্থায় সংরক্ষণ সম্পর্কে নিয়মাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

(৩)  কোনো ব্যক্তি কোনো কারখানায় রক্ষিত পিকদানি ছাড়া অন্য কোথাও  থুথু ফেলিবে না। এই নির্দেশ এবং ইহা লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার অভ্যন্তরে উপযুক্ত স্থানে লটকাইয়া রাখিত হইবে।

(৪)  কোনো ব্যক্তি উপধারা (৩)-এর বিধান লংঘন করিয়া ফেলিলে সে অনধিক দুই টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দণ্ডীত হইবে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #5 on: January 20, 2012, 08:44:57 AM »
চতুর্থ অধ্যায়

বিধিমালা

ধারা-২২। অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্কতা :

(১) প্রত্যেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হইতে নিরাপদে বহির্গমনের জন্য নির্ধারিত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(২) ইন্সপেক্টর যদি দেখিতে পান যে, কোনো কারখানায় উপধারা (১) অনুসারে নিরাপদ বহির্গমনের ব্যবস্থা গৃহীত হয় নাই, তাহা হইলে তিনি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে তাঁহার নির্দেশিত পন্থায় উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্যানেজারকে লিখিত নির্দেশ দান করিতে পারিবেন।

(৩) কোনো কারখানার কোনো ঘরের মধ্যে কোনো লোক উপস্থিত থাকা পর্যন্ত উক্ত ঘর হইতে বাহির হওয়ার দরজা তালাবদ্ধ বা অন্যভাবে  শক্ত করিয়া আটকাইয়া রাখা যাইবে না; দরজা এমনভাবে আটকাইতে হইবে,  যাহাতে ভিতর হইতে উহা সহজে খোলা যায় এবং ঐ সব দরজা স্লাইডিং ধরনের না হইলে সেইগুলি যাহাতে বাহিরের দিকে খোলা যায়, সেইভাবে নির্মাণ করিতে হইবে, অথবা দুইটি কামরার মধ্যবর্তী কোনো দরজা বহির্গমন পথের  নিকটবর্তী হইলে ভিতরে কাজ চলার সময় উহা তালাবদ্ধ বা শক্ত করিয়া আটকাইয়া রাখা যাইবে না।

(৪) প্রত্যেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় বাহির হইয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নির্র্র্মিত প্রতিটি জানালায়, দরজায় বা অন্য কোনো বহির্গমন পথে অধিকাংশ শ্রমিকের বোধগম্য ভাষায় এবং বড় বড় লাল অক্ষরে বা অন্য কোনো বোধগম্য সংকেত  লটকাইয়া রাখিতে হইবে।

(৫) প্রত্যেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে শ্রমিকগণকে  হুঁশিয়ারী সংকেত দানের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(৬) প্রত্যেক কারখানার প্রতি কামরায় অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকদের বাহির হইয়া যাওয়ার জন্য উপযুক্ত বহির্গমন পথের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(৭) কোনো কারখানায় যেইখানে নিচতলা ছাড়া অন্যত্র সাধারণত দশ বা ততোধিক সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে, অথবা যেইখানে বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত বা জমা করিয়া রাখা হয়, সেইখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটিলে আত্মরক্ষার বা পলায়নের ব্যবস্থা সম্পর্কে শ্রমিকদের অবহিত করিতে হইবে এবং অনুরূপ দুর্ঘটনার সময় আত্মরক্ষা সংক্রান্ত নিয়মিত প্রশিক্ষণ দানের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(৮) সকল কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীভুক্ত কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় আত্মরক্ষার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং কি ধরনের ও কতটা পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম থাকা দরকার, তাহা নির্ধারণ করিয়া সরকার নিয়মাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-২৩। যন্ত্রপাতি ঘিরিয়া রাখা :

(১) প্রত্যেক কারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে প্রত্যেক যন্ত্রপাতির নিম্নোক্ত অংশসমূহ  যথোপযুক্ত উপায়ে ঘিরিয়া রাখিতে হইবে।

(ক) মূখ্য চালিকা যন্ত্রের প্রতিটি চলমান অংশ এবং মূখ্য চালক যন্ত্রের সহিত সংযুক্ত প্রতিটি ঘূর্ণায়মান চাকা;

(খ) প্রতিটি চলচক্রের ও টারবাইনের উপর ও নিচের মুখ;

(গ) যন্ত্রের মুখ-অতিক্রমকারী প্রতিটি স্টক-বারের সংশ্লিষ্ট অংশ;

(ঘ) নিরাপত্তা বেড়ায় ঘেরা থাকা অবস্থায় অনুরূপ নিরাপদ ব্যবস্থাধীনে নির্মিত বা সংস্থাপিত না হইয়া থাকিলে-

 (i) ইলেকট্রিক জেনারেটর, মটর বা রোটারি কনভার্টরের প্রতিটি অংশ;

 (ii) ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতির প্রত্যেক অংশ; এবং

 (iii) যে কোনো যন্ত্রপাতির প্রতিটি বিপদজনক অংশ।

তবে শর্ত এই যে, কোনো যন্ত্রের কোনো অংশ উপরোল্লিখিত বিধি মোতাবেক নিরাপদ অবস্থায় রহিয়াছে কিনা, অথবা নিরাপদ ব্যবস্থাধীনে  সংস্থাপিত হইয়াছে কিনা, তাহা নির্ণয় করার সময় সংশ্লিষ্ট যন্ত্র সঠিকভাবে চালু আছে কিনা, তাহা বিবেচনা করা হইবে না; ২৪ ধারা মোতাবেক যন্ত্রটি চালু করা হইয়াছে কিনা,  তাহার ভিত্তিতেই উক্ত তদন্ত কার্য পরিচালিত হইবে।

(২) যন্ত্রপাতি ঘিরিয়া রাখা সম্পর্কে এই আইনের অন্য কোনো বিধানের ব্যাঘাত না ঘটাইয়া প্রতিটি সংলগ্ন  স্ক্রু, রোন্ট এবং ঘূর্ণায়মান চাকার প্রতিটি চাবি বা পিনিয়ন, শ্রমিক যাহার সংস্রবে আসিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, এমন প্রতিটি জিনিস নিরাপত্তমূলক ঘেরার মধ্যে রাখিতে হইবে।

(৩) শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখার শর্ত সাপেক্ষে সরকার যে কোনো বিশেষ যন্ত্র বা উহার অংশকে এই ধারার আওতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

(৪) কোনো বিশেষ  ধরনের যন্ত্র বা উহার কোনো অংশ সম্পর্কে সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিয়া প্রয়োজনীয়  সতর্কতামূলক ব্যবস্থা  গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবেন।

ধারা-২৪। চলমান যন্ত্রের উপরে বা নিকটে কাজ করা :

(১) কোনো কারখানায় কোনো যন্ত্র চালু থাকা অবস্থায় ২৩ ধারা অনুসারে উক্ত যন্ত্র পরীক্ষা করিবার প্রয়োজন হইলে, অথবা উক্ত পরীক্ষা কার্যের ফলশ্রুতিতে  কোনো মাউন্টিং বা বেল্টের শিপিং চালনা করিবার দরকার হইলে, কিংবা যন্ত্রটি চালু অবস্থায় অন্য কোনো এ্যাডজাস্টিং অপারেশনের প্রয়োজন হইলে, উক্ত পরীক্ষা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ শ্রমিক দ্বারা করাইতে হইবে এবং তাহার নাম উক্ত উদ্দেশ্যে রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত থাকিতে হইবে এবং উক্ত কাজে রত থাকাকালে ৬ ইঞ্চির কম চওড়া না হইলে কোনো চলমান চক্রের সহিত সংযুক্ত বেল্ট উক্ত শ্রমিক হাত দিয়া চালাইবে না।

(২) কোনো যন্ত্রের কোনো অংশ চলমান থাকা অবস্থায় কোনো মহিলা বা শিশু শ্রমিককে উক্ত অংশে তৈল লাগানো, পরিষ্কার করা বা বিন্যস্ত করিবার কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না এবং যন্ত্র চলিতে থাকা অবস্থায় উহার চলমান অংশ স্থির অংশের মাঝে দুইটি চলমান অংশের মাঝখানে কোনো কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

(৩) সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট কারখানার বা বিশেষ শ্রেণীভুক্ত কারখানার যন্ত্র চলিতে থাকা অবস্থায় উহার নির্দিষ্ট কোনো অংশ পরিষ্কার করা, তৈল লাগানো বা বিন্যস্ত করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।

ধারা-২৫। বিপদজনক যন্ত্রের কাজে তরুণ ব্যক্তিদের নিয়োগ :

(১) যন্ত্র সংক্রান্ত বিপদাপদ এবং উহা হইতে সতর্কতা অবলম্বন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো তরুণ শ্রমিককে কোনো যন্ত্রে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না; এবং

(ক) যন্ত্রের কাজ সম্পর্কে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত; অথবা

(খ) সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের কাজ সম্পর্কে  পুরোপুরি জ্ঞান  ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কাজ না করিলে; তাহাকে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

 (২) সরকার বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করিয়া যেইসব যন্ত্রকে বিপদজনক প্রকৃতির বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন এবং উপরোক্ত বিধান পালন না করিলে সেইগুলিতে তরুণদের কাজ করা নিষিদ্ধ করিবেন, সেইসব যন্ত্রের ক্ষেত্রে  এই ধারাটি প্রযোজ্য।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #6 on: January 20, 2012, 08:45:47 AM »
ধারা-২৬। তড়িত্প্রবাহ বিচ্ছিন্ন করার কৌশল এবং স্ট্রাইকিং গিয়ার:

(১) প্রত্যেক কারখানায়-

(ক) আটকানো ও বিযুক্ত যন্ত্রাংশের চালক-বেন্ট পরিচালনার জন্য সুষ্ঠু স্ট্রাইকিং গিয়ার বা অন্য কোনো কৌশলের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং উহা এমনভাবে রক্ষিত  হইতে হইবে, যাহাতে চলমান বেল্ট প্রথম পুলিতে আটকাইয়া না যায়;

(খ) চালক-বেল্ট যখন ব্যবহৃত হইতে থাকিবে না, তখন উহাকে চলমান যন্ত্রাংশের উপর স্থাপন করিয়া রাখা যাইবে না।

(২) যন্ত্র চলিতে থাকা অবস্থায় জরুরী কারণে তড়িত্প্রবাহ বিচ্ছিন্ন করার উপযোগী সুষ্ঠু কৌশলগত ব্যবস্থা প্রত্যেক কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে থাকিতে হইবে।

(৩) এই আইন বলবত্ হওয়ার পূর্বে যেই সমস্ত কারখানা চালু হইয়াছে, তাহাদের ক্ষেত্রে কেবল যেইসব কাজের ঘরে যন্ত্র চালনায় বিজলী ব্যবহৃত হয়, সেইসব ঘরে উপধারা (২)-এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।

ধারা-২৭। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি :

কাজ উপলক্ষে কোনো শ্রমিকের চলাচল করার বা অন্য কোনো লোকের হাঁটিয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে, কোনো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের পার্শ্ববর্তী চলাচল পথ ১৮ ইঞ্চির বেশি প্রশস্ত না হইলে, উক্ত যন্ত্র চালনা করা যাইবে না।

তবে শর্ত এই যে, এই আইন বলবত হওয়ার পূর্বে স্থাপিত যন্ত্রসমূহকে চীফ ইন্সপেক্টর কর্তৃক আরোপিত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রাখার শর্ত সাপেক্ষে উক্ত বিধানে প্রয়োগ হইতে রেহাই দেওয়া যাইতে পারে।

ধারা-২৮।  নূতন যন্ত্রপাতি বাক্স-বন্দীকরণ :

এই আইন বলবত  হওয়ার পর যে কোনো কারখানায় স্থাপিত ও বিদ্যুত্ চালিত সমস্ত যন্ত্রে-

(ক) প্রতিটি সংযোজিত স্ক্রু, বেল্ট বা চাবি, অথবা প্রতিটি ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশ. চাকা বা পিনিয়ন এমনভাবে গ্রোথিত বা বাক্সে আবদ্ধ করিয়া রাখিতে হইবে, যাহাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটিতে না পারে; এবং

(খ) সম্পূর্ণ নিরাপদ দূরত্বে সংস্থাপিত না হইলে প্রতিটি যন্ত্রমুখ বা যন্ত্রের দাঁত নিরাপত্তা বাক্সে সুরক্ষিত রাখিতে হইবে।

(২) উপধারা (১)-এর বিধান মোতাবেক সরক্ষিত নয়, এইরূপ কোনো বিদ্যুত্ চালিত যন্ত্র  কোনো ব্যক্তি কোনো কারখানায় বিক্রয় করিলে বা ভাড়া হিসাবে দিলে, সে তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা পাঁচ শত টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(৩) কোনো বিশেষ ধরনের বা বিশেষ শ্রেণীর যন্ত্রের বিশেষ বিশেষ বিপদজনক অংশের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ  সম্পর্কে সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-২৯। তুলা-ধুন যন্ত্রের নিকট মহিলা ও শিশু শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধকরণ :

 কোনো কারখানায় যেই অংশে তুলা-ধুনার যন্ত্র চালু আছে, তাহার কাছে কোনো মহিলা বা শিশু শ্রমিককে তুলা গাঁইটবদ্ধ করার কাজে নিযুক্ত করা যাইবে না।

তবে শর্ত এই যে, উক্ত তুলা-ধুনার যন্ত্রের অন্তমুর্খ যদি বহির্মুখ হইতে আলাদা কোনো ঘরের মধ্যে  থাকে এবং উভয় গৃহের মধ্যবর্তী ব্যবধান যদি উক্ত ঘরের উচ্চতার সমান বা ইন্সপেক্টর কর্তৃক নির্ধারিত পরিসরের সমান হয়, তাহা হইলে মহিলা ও শিশু আলোচ্য স্থানে পার্টিশনের পাশে কাজ করিতে পারিবে।

ধারা-৩০।  ক্রেন ও অন্যান্য উত্তোলক যন্ত্র :

 

(১) যেই কোনো কারখানার ‘হয়েস্ট’ ও ‘লিফ্ট’ ছাড়া অন্য সকল প্রকার ক্রেন ও অন্যান্য উত্তোলক যন্ত্রের বেলায় নিম্নোক্ত  বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে-

(ক) ওয়ার্কিং গিয়ারসহ উহার প্রতিটি সংলগ্ন বা চলমান অংশ দড়ি বা শিকল এবং ধারক বা সংস্থাপক যন্ত্রাংশ-

প্রয়োজনীয় শক্তিসম্পন্ন  এবং উপযুক্ত মাল-মসলা দ্বারা উত্তমরূপে নির্মিত হইতে হইবে;

যথোপযুক্তরূপে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে;

প্রতি বারো মাসে অন্তত একবার করিয়া দক্ষ কারিগর দ্বারা পরীক্ষা করাইতে এবং উক্ত পরীক্ষা কার্যের ফলাফল লিখিত রাখার উদ্দেশ্যে একটি রেজিস্টার রাখিতে হইবে;

   (খ) নিরাপদ ভার বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত বোঝা চাপানো যাইবে না এবং বহন ক্ষমতা বিজ্ঞপ্তি আকারে লিখিয়া যন্ত্রের উপর লটকাইয়া রাখিতে হইবে এবং

   (গ)  ক্রেন চালু রহিয়াছে, এমন জায়গায় কোনো ব্যক্তি কর্মরত থাকিলে, উক্ত স্থানের ২০ ফুটের মধ্যে যাহাতে কোনো ক্রেন উপস্থিত হইতে না পারে, এইরূপ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

   (২)  কোনো উত্তোলক যন্ত্র বা বিশেষ শ্রেণীভুক্ত উত্তোলক যন্ত্র সম্পর্কে সরকার নিম্নোক্ত রূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন-

   (ক) এই ধারায় বর্ণিত বিধানের অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে; অথবা

   (খ)  সরকারের বিবেচনায় যেখানে প্রয়োজন নাই, সেইরূপ ক্ষেত্রকে এই ধারার সমুদয় বা আংশিক বিধান হইতে রেহাই প্রদান।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #7 on: January 20, 2012, 08:47:41 AM »
ধারা-৩৬। অতিরিক্ত ভারী মাল বহন :

(১) কোনো কারখানায় শ্রমিকের দৈহিক ক্ষতি হইতে পারে, এইরূপ অতিরিক্ত ওজনের মালামাল বহন বা চালনার কাজ করানো যাইবে না।

(২) কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানায় নিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলা এবং অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালক বা শিশু শ্রমিকরা কতটা পরিমাণ ওজনের মালামাল বহন, উত্তোলন বা চালনা করিতে পারিবে, তাহার সর্বোচ্চ সীমা নির্দেশ করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-৩৭।  চোখের নিরাপত্তা বিধান :

কোনো কারখানায় বিশেষ প্রকৃতির উত্পাদনী প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে নিম্নোক্ত রূপ ক্ষতির আশংকা থাকিলে, ঐসব কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের বা উক্ত কার্যস্থলের সন্নিকটে অবস্থানরত অন্যান্য শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর পর্দা বা আন্ধি চশমার ব্যবস্থা করার জন্য সরকার নির্দেশ দিতে পারিবেন-

(ক) উত্পাদন প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে দ্রব্যের কণা বা টুকরা ছিটকাইয়া চোখের ক্ষতির আশংকা, বা

(খ) অতিরিক্ত আলোকচ্ছটা বা তাপের ফলে চোখে ক্ষতির আশংকা।

 

ধারা-৩৮। ক্রটিপূর্ণ যন্ত্রাংশের তথ্য তলব করা বা স্থায়িত্ব পরীক্ষা :

ইন্সপেক্টর যদি মনে করেন যে, কোনো কারখানার কোনো দালান বা উহার অংশবিশেষ বা উহার কোনো প্রবেশ পথের অংশ বা কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ  এমন ক্রুটিপূর্ণ হইয়া পড়িয়াছে বা ক্রটিপূর্ণভাবে নির্মিত হইয়াছে যে, যাহা মানব জীবনের জন্য বিপদজনক, তাহা হইলে তিনি উক্ত  কারখানার ম্যানেজারের উপর লিখিত আদেশ জারি করিয়া নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিম্নোক্ত তথ্যাদি পেশ করার নির্দেশ দিতে পারিবেন-

(ক) সংশ্লিষ্ট দালান, প্রবেশ পথ, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা, তাহা নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে উহাদের ড্রইং স্পেসিফিকেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য; বা

(খ)  উহাদের শক্তি বা মান নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে  উপযুক্ত পরীক্ষা চালানো এবং পরীক্ষার ফলাফল ইন্সপেক্টরকে জ্ঞাত করানো।

ধারা-৩ঌ। দালান ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা :

(১)  ইন্সেপক্টরের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো কারখানার কোনো দালান বা উহার অংশবিশেষ বা প্রবেশ পথ বা প্রবেশ পথের অংশ এবং কোনো যন্ত্র সরঞ্জাম এমন ক্রটিপূর্ণ অবস্থায় রহিয়াছে যে, উহা মানব জীবনের জন্য বিপদজনক, তাহা হইলে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যেই ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক বলিয়া তিনি মনে  করেন, সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়া ইন্সপেক্টর সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্যানেজারের উপর লিখিত আদে জারি করিতে পারিবেন।

(২)  ইন্সপেক্টরের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো দালান বা দালানের অংশ, অথবা চলাচল পথের বা যন্ত্রপাতির কোনো অংশ ব্যবহার করা বিপদজনক, তাহা হইলে ঐ সমস্ত অংশ উপযুক্তরূপে মেরামত বা পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত উহার ব্যবহার নিষিদ্ধ করিয়া ইন্সপেক্টর সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্যানেজারের উপর লিখিত আদেশ জারি করিতে পারিবেন।

ধারা-৪০। এই অধ্যায়ের পরিপূরক বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা :

     নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন-

(১) কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীভুক্ত কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজন হইলে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ বা কৌশল অবলম্বন; এবং

(২) সংশ্লিষ্ট দালান বা দালানের অংশ বিশেষের ক্ষমতা সম্পর্কে নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত অফিসারের স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট পেশ না করা পর্যন্ত উক্ত দালানে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যুত্চালিত যন্ত্রে দ্রব্য উত্পাদনের কাজ বন্ধ রাখা।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #8 on: January 20, 2012, 08:48:26 AM »
ধারা-৪১। বিপদজনক ধোঁয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা :

(১)  সুড়ঙ্গ পথে বা অনুরূপ কোনো চ্যানেলে নির্গমনের বিকল্প ব্যবস্থা  বা উপযুক্ত ম্যানহোল সংযোজিত না থাকিলে কোনো কারখানার যেই সমস্ত চেম্বার, ট্যাংক, ভ্যাট, পিট, পাইপ, ফ্লু বা অনরূপ স্থাপনা হইতে বিপদজনক ধুম্র নির্গত হয়, সেই খানে কোনো লোককে প্রবেশ করিতে দেওয়া যাইবে না।

(২) চব্বিশ ভোল্টের অতিরিক্ত ভোল্টেজযুক্ত কোনো বহনযোগ্য বিজলী বাতি কোনো কারখানার উপধারা (১)-এ উল্লিখিত স্থানসমূহে ব্যবহার করা যাইবে না। ইহা ছাড়াও করাখানার যেইসব স্থানে পুঞ্জীভূত গ্যাস দাহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন বলিয়া  মনে হইবে, সেই খানেও অগ্নিরোধক বেষ্টনী দ্বারা অবরুদ্ধ না হইলে কোনো ল্যাম্প বা আলো ব্যবহার করা যাইবে না।

(৩) পুঞ্জীভূত ধুম্ররাশি অপসারণ না করা পর্যন্ত তত্সহ  নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উপধারা (১)-এ উল্লিখিত কারখানার কোনো অংশে কোনো লোককে প্রবেশ করিতে দেওয়া যাইবে না-

(ক) কারখানার সংশ্লিষ্ট এলাকা বিপদজনক ধুম্ররাশি হইতে মুক্ত রহিয়াছে বলিয়া নিজে পরীক্ষা করিয়া উক্ত স্থানে কোনো মানুষের প্রবেশ বিপদজনক নহে, এই মর্মে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট; অথবা

   (খ)  প্রবেশকারী শ্রমিক শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম পরিধান করিলে এবং উহার বেল্টের সহিত সংযুক্ত দড়ির বহির্মুখ বিপদজনক স্থানের বাহিরে দণ্ডায়মান অপর এক ব্যক্তির হাতে ধরা থাকিলে।

(৪) উপরোল্লিখিত বিপদজনক এলাকা সম্বলিত প্রতিটি কারখানায় উপযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস সরঞ্জাম, ডিভাইডিং সরঞ্জাম এবং দড়ি সর্বক্ষণের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে এবং উহা  ব্যবহারের উপযোগী কিনা, সেই সম্পর্কে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির নিকট হইতে মেয়াদী পরীক্ষা কার্যের পর নিয়মিত সার্টিফিকেট লইতে হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট  কারখানায় কর্মরত ব্যক্তিদের অধিকাংশকে ঐ সমস্ত সাজ-সরঞ্জামের  সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কেও অবলুপ্ত শ্বাস-প্রশ্বাস পুনঃসঞ্চালনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দান করিতে হইবে।

(৫) বায়ু চলাচলের দ্বারা ঠাণ্ডা করা, অথবা অন্যভাবে বিপদমুক্ত না করা পর্যন্ত কাজের জন্য বা কোনো পরীক্ষা কার্য সম্পাদনের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো কারখানার  কোনো বয়লার ফারনেস, বয়লার, ফ্লু, চেম্বার, ট্যান্ক, ভ্যাট, পাইপ বা অন্য কোনো বিপদজনক স্থানে প্রবেশ করিতে দেওয়া যাইবে না।

(৬) উপধারা (১)- এ বর্ণিত সুড়ঙ্গমুখের সর্বাধিক  পরিধি নির্ধারণ করিয়া এবং প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ সাপেক্ষে যে কোনো কারখানাকে বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানাকে এই ধারার যে কোনো বিধির আওতা হইতে রেহাই দিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-৪২। বিস্ফোরক বা দাহ্য ধোঁয়া, গ্যাস ইত্যাদি :

(১) কোনো কারখানায় কোনো বিশেষ ধরনের দ্রব্য উত্পাদনের কারণে সৃষ্ট ধূলা, গ্যাস বাষ্প যদি এমন মাত্রার বা এমন প্রকৃতির হয় যে, আগুনের ষ্পর্শে উহাতে বিস্ফোরণ ঘটিতে পারে, তাহা হইলে উক্ত বিস্ফোরণ পরিহারের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে-

(ক) উত্পাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট যন্ত্র বা কলকব্জা কার্যকর ভাবে ঘেরা দিয়া রাখা;

(খ) উত্ক্ষপ্ত ধূলা, গ্যাস, ধোঁয়া বা বায়ু অপসারণ বা পুঞ্জীভূত হওয়ার প্রতিরোধক ব্যবস্থা;

(গ) আগুন জ্বলিয়া উঠার যাবতীয় উপায় বন্ধ করা বা কার্যকরভাবে ঘেরা দেওয়া।

(২) কোনো কারখানায় কোনো বিশেষ ধরনের দ্রব্য উত্পাদনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, যাহাতে উপধারা (১)-এ বর্ণিত বিস্ফোরণের আশংকা রহিয়াছে, যদি উক্ত বিস্ফোরণের ধকল সামলাইবার মতো মজবুত করিয়া নির্মিত না হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া সীমিত করার উদ্দেশ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(৩) কোনো কারখানায় কোনো যন্ত্র বা কলকব্জা স্বাভাবিক বায়ুচাপের অতিরিক্ত চাপ সম্বলিত কোনো বিস্ফোরক গ্যাস বাষ্প ধারণ করিতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া উহার মুখ খোলা যাইবে না-

(ক) উহাতে সংযুক্ত কোনো পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পূর্বে অভ্যন্তরস্থ গ্যাস বা বাষ্পের চাপমাত্রা হ্রাস করিয়া স্বাভাবিক বায়ুচাপের সমপর্যায়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ;

(খ) পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পূর্বে অভ্যন্তরস্থ গ্যাস বা বাষ্পের চাপমাত্রা হ্রাস করিয়া স্বাভাবিক বায়ুচাপের সমপর্যায়ে আনার  জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ;

(গ) পাইপের মুখ আলগা হইয়া গেলে উহা দৃঢ়ভাবে না আটকানো পর্যন্ত উহাতে কোনো দাহ্য বা বিস্ফোরক গ্যাস বা বাষ্পের    প্রবেশ নিরোধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

    তবে শর্ত এই যে, খোলা জায়গায় প্রতিষ্ঠিত যন্ত্র বা কলকব্জার বেলায় এই উপধারার বিধান প্রযোজ্য নহে।

(৪)  কোনো কলকব্জা, ট্যান্ক বা নৌযানে যদি কোনো দাহ্য বা বিস্ফোরক পদার্থ ভর্তি থাকে, তাহা হইলে উক্ত পদার্থসমূহের দহন বা বিস্ফোরণ ক্ষমতা বিনষ্টের উপযোগী করিয়া উহাকে শীতল না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট যন্ত্র বা কলকব্জা কোনো, কারখানায় ওয়েল্ডিং, ব্রেজিং, শোল্ডারিং বা শাটিং-এর কাজে ব্যবহার করা যাইবে না।

(৫) প্রয়োজন মনে করিলে সরকার যথাবিহিত শর্ত আরোপ সাপেক্ষে কোনো কারখানা বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানাকে এই ধারার বিধান হইতে রেহাই দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

 

পঞ্চম অধ্যায়

কল্যাণমূলক ব্যবস্থা

ধারা-৪৩। ধৌতকরণের সুযোগ :

(১) প্রত্যেক কারখানায় -

(ক) তথাকার শ্রমিকদের ধৌতকরণ এবং গোসল করার পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত সুযোগের ও তাহা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে;

(খ) পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য পৃথক ও পর্যাপ্ত পর্দা দেওয়া ধৌতাগারের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে; এবং

(গ) ধৌতাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে এবং সেখানে সহজে যাওয়া আসার ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(২) যে কোনো কারখানায় বা যে কোনো শ্রেণীর  কারখানায় বা উত্পাদন প্রক্রিয়ার বেলায় সরকার সুষ্ঠু ধৌতকরণ সুবিধার মান নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

ধারা-৪৪। প্রাথমিক চিকিত্সার সরঞ্জামাদি :

(১)  প্রত্যেক কারখানায় নির্দিষ্ট সরঞ্জামাদিসহ প্রাথমিক চিকিত্সার বাক্স সহজগম্য স্থানে কাজ চলার সময়ে মওজুদ রাখিতে হইবে এবং উক্ত প্রাথমিক চিকিত্সার বাক্সের সংখ্যা কারখানায় নিযুক্ত প্রতি দেড় শত শ্রমিকের জন্য অন্যূন একটি করিয়া হইতে হইবে।

(২)  উপধারা (১)-এ বর্ণিত বাক্সে নির্ধারিত সরঞ্জামাদি ছাড়া অন্য কিছু রাখা  যাইবে না এবং প্রাথমিক চিকিত্সার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে উহা রাখিত হইবে এবং কারখানার কাজ চলার সময় সর্বক্ষণের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে সেখানে উপস্থিত থাকিতে হইবে।

(৩)  কারখানায় প্রতিটি কাজের ঘরে প্রাথমিক চিকি৭সার বাক্সে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম লিখিয়া নোটিশের আকারে লটকাইয়া রাখিতে হইবে এবং সহজে সনাক্ত করার উপযোগী একটি ব্যাজ ঐ ব্যক্তির পরিধানে থাকিতে হইবে।

(৪) পাঁচ শত বা ততোধিক সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রত্যেক কারখানায় নির্দিষ্ট চিকিত্সা সরঞ্জামাদিসহ      নির্ধারিত আকারের একটি এম্বুলেন্স কক্ষ বা ডিসপেন্সারী নির্ধারিত সরঞ্জামাদিসহ নির্ধারিত চিকিত্সক ও নার্সিং স্টাফের তত্ত্বাবধানে থাকিতে হইবে।

ধারা-৪৫। ক্যান্টিন :

(১) সাধারণত আড়াই শতাধিক শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ কারখানায় শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য একটি উপযুক্ত ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

(২) পূর্বোল্লিখিত ক্ষমতার ব্যতিক্রম না ঘটাইয়া উপরোক্ত বিধিমালায় নিম্নোক্ত ব্যবস্থার নির্দেশ থাকিতে পারে-

(ক) ক্যান্টিন চালু করার সর্বশেষ তারিখ;

(খ) ক্যান্টিনের নির্মাণ, স্থান সংকুলান, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের মান;

(গ) পরিবেশনের জন্য খাদ্যদ্রব্যসমূহ এবং উহার মূল্যঃ

(ঘ) ক্যান্টিনের জন্য একটি পরিচালনা কমিটি গঠন এবং উহাতে  শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব; এবং

(ঙ) নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে অনুচ্ছেদ (গ)- এ বর্ণিত বিষয়ে বিধিমালা প্রণয়নের জন্য চীফ ইন্সপেক্টরকে ক্ষমতা প্রদান।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #9 on: January 20, 2012, 08:49:36 AM »
ধারা-৪৬। আশ্রয়স্থল ইত্যাদি :

(১) সাধারণত এক শতাধিক শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য একটি উপযুক্ত আশ্রয় বা বিশ্রাম কক্ষ এবং খাবার পানির ব্যবস্থাসহ একটি ভোজন কক্ষ থাকিতে হইবে, যাহাতে শ্রমিকগণ তাহাদের সঙ্গে অানীত খাবার সেখানে বসিয়া খাইতে পারে।

তবে শর্ত  এই যে, ভোজন কক্ষের ব্যবস্থা করা হইলে কোনো শ্রমিক আর কাজের ঘরের মধ্যে বসিয়া খাইবে না।

(২) উপধারা (১) অনুসারে প্রতিষ্ঠিত আশ্রয়, বিশ্রাম কক্ষ বা ভোজন কক্ষ পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা সম্বলিত হইতে হইবে এবং উহাকে ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় রাখিতে হইবে।

(৩) সরকার-

(ক) এই ধারা অনুসারে আশ্রয়, বিশ্রাম ও ভোজন কক্ষের নির্মাণ, স্থান সংকুলান, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের মান নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন;

(খ) নির্দিষ্ট কার্য সমাধা করার জন্য যাহাদিগকে খোলা জায়গায় কাজ করিতে হয়, তাহাদের জন্য নির্মিত আশ্রয় কক্ষের ধরন নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন;

   (গ) গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কোনো কারখানা বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানাকে এই ধারার বিধান পালন বিষয় হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

ধারা-৪৭। শিশুদের জন্য কক্ষ :

(১) সাধারণত পঞ্চাশ জনের বেশি মহিলা শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রতিটি কারখানায় সংশ্লিষ্ট মহিলা শ্রমিকদের অনধিক ছয় বত্সর বয়স্ক সন্তানদের ব্যবহারের জন্য যথোপযুক্ত শিশু কক্ষ বা কক্ষসমূহ থাকিতে হইবে।

(২) অনুরূপ কক্ষসমূহে থাকার পর্যাপ্ত স্থান এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং উহা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়া রাখিতে হইবে এবং উহা শিশু পালন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের তত্ত্বাবধানে রাখিতে হইবে।

(৩)   সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন-

(ক) এই ধারা অনুসারে যেইসব কক্ষের ব্যবস্থা রাখিতে হইবে, উহার নির্মাণ, স্থান সংকুলান, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের মান এবং অবস্থান নির্ধারণ করিয়া;

(খ) এই ধারার আওতাভুক্ত কারখানায় নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকদের সন্তান-সন্ততিদের পোশাক পরিবর্তন  ও ধৌতকরণের সুবিধাসহ তাহাদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা সংক্রান্ত ব্যবস্থার নির্দেশ;

(গ) অনুরূপ শিশুদের জন্য কারখানায় বিনামূল্যে দুগ্ধ বা অন্য কোনো খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা;

(ঘ)   মহিলা শ্রমিকগণকে নির্দিষ্ট বিরতিসহ তাহাদের শিশুদিগকে  খাওয়াইবার সুবিধা দান।

ধারা-৪৮। ওয়েলফেয়ার অফিসার :

(১) পাঁচশত বা ততোধিক সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রতিটি কারখানায় মালিক নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়েলফেয়ার অফিসার নিয়োগ করিবেন।

(২) সরকার উপধারা (১) অনুসারে নিযুক্ত অফিসারদের দায়িত্ব, যোগ্যতা এবং চাকরির শর্ত নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

ধারা-৪ঌ। এই অধ্যায়ের পরিপূরক বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা :

সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারেন-

(ক) শ্রমিক কল্যাণের বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োগ সাপেক্ষে কোনো কারখানাকে এই অধ্যায়ের কোনো বিধান পালন হইতে রেহাই দান; এবং

   (খ) কোনো কারখানায় শ্রম কল্যাণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দান।

 

ষষ্ঠ অধ্যায়

প্রাপ্তবয়স্কদের কাজের ঘন্টা

ধারা-৫০। সাপ্তাহিক ঘন্টা :

(১) কোনো কারখানায় কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কাজ করিতে বলা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

(২) ৫৮ ধারায় বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে একজন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক দিনে ৯ ঘন্টার বেশি বা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি  কাজ করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত এই যে, প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকের কাজের মোট ঘন্টার পরিমাণ সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার বেশি হইবে না বা এক বছরে প্রতি সপ্তাহের গড় ৫৬ ঘন্টার বেশী হইবে না।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #10 on: January 20, 2012, 08:50:45 AM »
ধারা-৫১। সাপ্তাহিক ছুটি :

(১) কোনো কারখানায় কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে অবস্থানুসারে রবিবার বা শুক্রবার কাজ করিতে বলা হইবে না বা দেওয়া যাইবে না, যদি না-

(ক) অবস্থানুসারে শুক্রবার বা রবিবারের পূর্ববর্তী তিন দিনের কোনো একদিন সে ছুটি ভোগ করিয়া থাকে বা ছুটি ভোগ করে; এবং

(খ) কারখানার ম্যানেজার উক্ত রবিবার বা শুক্রবারের পূর্বে অথবা, বিকল্প  ছুটির দিনের পূর্বে, যেইটা আগে হইবে,-

(i) রবিবার বা শুক্রবার উক্ত শ্রমিককে কাজ করাইবার প্রয়োজনীয়তা এবং উহার পরিবর্তে কোন দিন তাহাকে ছুটি দেওয়া হইতেছে, তাহা উল্লেখপূর্বক ইন্সপেক্টরের নিকট নোটিশ পাঠাইয়া থাকেন; এবং

(ii) উপরোক্ত মর্মে একটি নোটিশ কারখানায় লটকাইয়া রাখেন।

তবে শর্ত এই যে, বিকল্প  ছুটির দিন যেন এমনভাবে নির্ধারণ করা না হয়, যাহাতে একজন শ্রমিককে পূর্ণ একদিনের ছুটি ভোগ ছাড়াই একটানা দশ দিনের বেশি কাজ করিতে হয়।

(২) ইন্সপেক্টরের নিকট নোটিশ প্রেরণের দ্বারা উপধারা (১) অনুসারে প্রদত্ত নোটিশ এবং আলোচ্য  শুক্রবার বা রবিবার, অথবা উহার বিকল্প ছুটির দিনের অনূর্ধ্ব একদিন পূর্বে কারখানায় লটকানো নোটিশ বাতিল করা যাইতে পারে।

(৩) উপধারা (১) অনুসারে কোনো শ্রমিক কোনো রবিবার বা শুক্রবার কাজ করিয়া উহার পূর্ববর্তী তিন দিনের কোনো একদিন ছুটি ভোগ করিয়া থাকিলে তাহার সাপ্তাহিক কাজের ঘন্টা হিসাব  করার সময় উক্ত রবিবার বা শুক্রবারকে পূর্ববর্তী সপ্তাহের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।

(৪) ৭নং বিধি অনুসারে যেইসব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ শ্রমিক শুধু বয়লার বা প্রধান চালিকা যন্ত্রের কাজে নিযুক্ত রহিয়াছে, তাহাদের বেলায় এই ধারার বিধানসমূহ নিম্নোক্ত শর্তাধীনে প্রযোজ্য হইবে না-

(ক) কারখানার ম্যানেজার কাজের প্রকৃতি অনুসারে অনুরূপ সমস্ত শ্রমিককে বিভিন্ন গ্রুপে শ্রেণীভুক্ত করিবেন;

(খ) উপরোক্তরূপে বিভিন্ন গ্রুপে শ্রেণীভুক্ত  শ্রমিকদের তালিকা ১০ঌ ধারার উপধারা (২) মোতাবেক কারখানায় লটকাইয়া রাখিতে হইবে;

(গ) অনুরূপ শ্রমিকদের হাজিরা খাতা ১নং  ফরমে রক্ষিত হইবে এবং উহাতে প্রতিটি শ্রমিকের কাজ শুরু হওয়ার সময় উল্লেখপূর্বক যখন কাজ শেষ হইবে, তখনই কাজ শেষ করিবার সময় টুকিয়া রাখিতে হইবে; এবং

    (ঘ) পূর্ণ একদিনের অবকাশ ভোগের সুযোগ না দিয়া অনুরূপ শ্রমিককে একটানা ১৪ দিনের বেশি কাজ করানো যাইবে না।

ধারা-৫২। ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি :

(১) এই আইন অনুসারে কোনো বিধিমালা প্রণয়নের দ্বারা কোনো কারখানাকে বা উহার শ্রমিকগণকে ৫১ ধারার আওতা হইতে রেহাই দানের ফলে কোনো শ্রমিক উক্ত ধারার উপধারা (১) মোতাবেক প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি হইতে বঞ্চিত হইলে যথাশীঘ্র সম্ভব তাহাকে বঞ্চিত ছুটির সমসংখ্যক ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।

(২) সরকার উপধারা (১) মোতাবেক ক্ষতিপূরণমূলক ছুটির পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত এই যে, সংশ্লিষ্ট কারখানা মৌসুমী ধরনের হইলে চলতি মওসুম শেষ হওয়ার পূর্বেই শ্রমিককে ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।

(৩) অবস্থানুসারে যাহা সুবিধাজনক হয়, সেই ভাবে সকল শ্রমিককে একযোগে, অথবা পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।

(৪) পূর্ববর্তী উপবিধিসমূহে যাহাই বিহিত থাকুক না কেন, কোনো মওসুমী কারখানায় অব্যাহত উত্পাদনী ব্যবস্থা চালু থাকিলে চীফ ইন্সপেক্টরের অনুমোদন সাপেক্ষে একজন শ্রমিককে চলতি মওসুম সমাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পনেরো দিনের মধ্যে  উপধারা (১) অনুসারে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে, এবং ঐ মওসুমে কর্মচ্যুত হওয়ার পূর্বেই তাহাকে ক্ষতিপূরণমূক ছুটি বাবদ পাওনা বেতন  পরিশোধ করিতে হইবে।

ধারা-৫৩। দৈনিক ঘন্টা :

কোনো কারখানায় কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে দৈনিক নয় ঘন্টার বেশি কাজ করিতে বলা বা করিতে দেওয়া যাইবে না।

তবে শর্ত এই যে, ৫০, ৫৪, ৫৫ এবং ৫৮ ধারার বিধান সাপেক্ষে কোনো কারখানায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক  দৈনিক নয় ঘন্টার বেশি কাজ করিতে পারে, কিন্তু দশ ঘন্টার অতিরিক্ত পারিবে না।

ধারা-৫৪। বিশ্রাম বা অাহারের জন্য বিরতি:

নিম্নবর্ণিত  অবস্থায় কোনো কারখানার কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কাজ করিতে বাধ্য নন-

(ক) বিশ্রাম বা আহারের জন্য কোনো একদিনে অন্তত এক ঘন্টা মঞ্জুর করা না হইলে সেইদিন ছয়ঘন্টার অতিরিক্ত;

(খ) বিশ্রাম বা আহারের জন্য কোনো একদিনে অন্তত আধা ঘন্টা বিরতি মঞ্জুর করা না হইলে সেইদিনে পাঁচঘন্টার অতিরিক্ত;

(গ) বিশ্রাম বা আহারের জন্য (ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক অনুরূপ দুইটি বিরতি মঞ্জুর করা না হইলে সেইদিনে সাড়ে অাটঘন্টার অতিরিক্ত।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #11 on: January 20, 2012, 08:52:16 AM »
ধারা-৫৫। কাজের সময়ের ব্যাপ্তি :

     চীফ ইন্সপেক্টরের অনুমতি ব্যতীত এবং তত্কর্তৃক সাধারণভাবে, অথবা কোনো বিশেষ কারখানার জন্য নির্দেশিত শর্ত সাপেক্ষ ছাড়া কোনো কারখানায় একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকের কাজের সময় এমনভাবে নির্ধারিত হইতে হইবে, যাহাতে উহা ৫৪ ধারা অনুসারে বিশ্রাম ও আহারের জন্য বিরতিসহ একদিনে সাড়ে দশ ঘন্টার অতিরিক্ত না হয় এবং কারখানাটি মওসুমী ধরনের বলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, সেইক্ষেত্রে একদিনে সাড়ে এগারো ঘন্টার অতিরিক্ত না হয়।

ধারা-৫৬। নৈশ শিফ্ট :

কোনো কারখানায় একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিক যদি এমন কোনো শিফ্টে কাজ করে, যাহাতে মধ্যরাত্রি অতিক্রান্ত হয়, তাহা হইলে-

(ক) ৫১ ধারার উদ্দেশ্যে পুরো একদিনের ছুটির অর্থ হইবে তাহার শিফ্ট শেষ হওয়ার সময় হইতে একাধিক্রমে চব্বিশ ঘন্টা; এবং

(খ)  পরবর্তী দিনটি তাহার শিফ্ট শেষ হওয়ার সময় হইতে তাহার জন্য চব্বিশ ঘন্টা বলিয়া গণ্য হইবে এবং মধ্যরাত্রির পর যত ঘন্টা সে কাজ করিয়াছে, তাহা পূর্ববর্তী দিনের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া ধরিতে হইবে।

ধারা-৫৭। শিফ্টের প্রাবরণ নিষিদ্ধকরণ :

(১) কোনো কারখানায় শ্রমিকদের কাজের শিফ্ট এমনভাবে নির্ধারণ করা যাইবে না, যাহাতে একাধিক শিফ্টের শ্রমিক একই সময় একই ধরনের কাজের নিযুক্ত হয়।

(২) সরকার ইচ্ছা করিলে বিধিমালা প্রণয়ন করিয়া প্রয়োজনীয়  শর্ত আরোপ সাপেক্ষে যে কোনো কারখানাকে বা যে কোনো শ্রেণীভুক্ত কারখানাকে উপধারা (১)-এর প্রয়োগ হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

ধারা-৫৮। অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য অতিরিক্ত ভাতা :

(১)  কোনো কারখানায় কোনো শ্রমিক একদিনে নয় ঘন্টার বেশি বা সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টার বেশি কাজ করিলে, সাধারণত যেই হারে সে বেতন পাইয়া থাকে, তাহার দ্বিগুণ হারে অতিরিক্ত সময়ের কাজের জন্য ভাতা পাইবে।

তবে শর্ত এই যে, এই ধারা অনুসারে অতিরিক্ত সময় কাজ করা বাবদ পাওনা হিসাব করার সময় বোনাস বা বোনাসের পরিবর্তে অন্য কিছু অতিরিক্ত পাইয়া থাকিলে, তাহা হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

(২)  যেই সকল কারখানায় ঠিকা হিসাবে শ্রমিকদের মজুরী দেওয়া হয়, সেই সব ক্ষেত্রে মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই ধারার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকার ঐসব শ্রমিকের গড় আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া তাহাদের দৈনিক মজুরীর হার নির্ধারণ করিয়া দিতে  পারিবেন এবং উক্ত উপায়ে নির্ধারিত হার  ঐসব শ্রমিকের মজুরীর সাধারণ হার বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রতি কারখানায় যে রেজিস্টার রাখিতে হইবে, তাহার ধরন সরকার নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

ধারা-৫৯। দ্বৈত চাকরির উপর বাধা নিষেধ :

 কোনো প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিক নির্ধারিত শর্তাধীনে চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট হইতে লিখিত অনুমতি না লইয়া একই দিনে দুইটি কারখানায় কাজ করিতে পারিবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

ধারা-৬০। প্রাপ্তবয়স্কদের কাজের মেয়াদের নোটিস ও উহার প্রস্তুতি :

(১) প্রত্যেক কারখানায় ১০ঌ ধারার উপধারা (২) অনুসারে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিককে কত সময় কাজ করিতে হইবে, তাহা ষ্পষ্ট করিয়া উল্লেখপূর্বক লিখিত নোটিশ টাঙ্গাইয়া রাখিতে হইবে।

(২) নোটিশে শ্রমিকের কাজের যে সময় উল্লেখ থাকিবে, তাহা পূর্বেই নির্দিষ্ট করিয়া দিতে হইবে এবং উহা এমন হইতে হইবে, যাহাতে কাজের সময় কোনো শ্রমিক ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪ এবং ৫৫ ধারার কোনো বিধান লংঘন করিয়া কাজ না করে।

(৩) যেখানে সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকের একই সময় কাজ করিতে হয়, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্যানেজার উক্ত কাজের সময় নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।

(৪) কোনোখানে সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকের একই সময় কাজ করার প্রয়োজন না হইলে উক্ত কারখানার ম্যানেজার কাজের প্রকৃতি অনুসারে তাহাদিগকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করিয়া প্রতি গ্রুপের শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখ করিবেন।

(৫) শিফ্ট পদ্ধতিতে কাজ করা প্রয়োজন না হইলে কারখানার ম্যানেজার প্রত্যেক গ্রুপের কাজের সময় নির্ধারণ করিয়া দিবেন।

(৬) কোনোখানে কোনো গ্রুপের শিফ্ট পদ্ধতিতে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এবং উহা পূর্বনির্ধারিত পবির্তনশীল শিফ্ট ব্যবস্থার নিয়মের অধীন না হইলে, কারখানার ম্যানেজার প্রতি গ্রুপের কাজের শিফ্ট নির্ধারণ করিয়া দিবেন।

(৭) কোনোখানে কোনো গ্রুপের শিফ্ট পদ্ধতিতে কাজ করার প্রয়োজনীয়ত দেখা দিলে এবং উহা পূর্বনির্ধারিত পরিবর্তনশীল শিফ্ট ব্যবস্থার নিয়ম অনুসারে হইলে, কারখানার ম্যানেজার শিফ্ট পরিবর্তনের পদ্ধতি উল্লেখসহ সমস্ত শিফটের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রস্তুত করিয়া দিবেন।

(৮) এই আইন বলবত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে নোটিশের দুইটি কপি ইন্সপেক্টরের নিকট পাঠাইতে হইবে, অথবা এই আইন বলবত হওয়ার পরে কোনো কারখানা প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিলে কাজ শুরু হওয়ার একদিন পূর্বে উহা অনুমোদনে জন্য ইন্সপেক্টরের নিকট পাঠাইতে হইবে।

কোনোরূপ রদবদলের প্রয়োজন হইলে তাহার উল্লেখসহ ইন্সপেক্টর নোটিস প্রাপ্তির  পর এক সপ্তাহের মধ্যে উহার একটি কপি ম্যানেজারের নিকট ফেরত পাঠাইবেন; এবং ইন্সপেক্টর কোনরূপ রদবদল করিয়া থাকিলে ম্যানেজার তাহা সাথে সাথে পালন  করিবেন এবং ইন্সপেক্টরের অনুমোদন কারখানার রেকর্ডে সংরক্ষিত  করিবেন।

(৯) কোনো কারখানায় কাজের ব্যবস্থার প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে নোটিশের বিষয়বস্তু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, উহা দুই কপি বিজ্ঞপ্তি আকারে পূর্বাহ্নে ইন্সপেক্টরকে জ্ঞাত করিতে হইবে এবং ইন্সপেক্টরের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো পরিবর্তন কার্যকর করা যাইবে না।

(১০) উহা কি আকারে ও পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে, তাহা নির্ধারণ করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #12 on: January 20, 2012, 08:52:50 AM »
ধারা-৬১। প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকদের রেজিস্টার এবং টিকেট ও কার্ড সরবরাহ :

(১) প্রত্যেক কারখানার ম্যানেজার প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকদের রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবেন এবং ইন্সপেক্টরের পরিদর্শনের জন্য কাজ চলার সময় উহা সর্বক্ষণ মওজুদ রাখিত হইবে এবং উহাতে প্রদর্শিত হইবে -

(ক) কারখানায় নিযুক্ত প্রতিটি প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকের নাম;

(খ) তাহার কাজের প্রকৃতি;

(গ) গ্রুপ থাকিলে কে কোন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত;

(ঘ) কোন গ্রুপ শিফটে কাজ করিলে উহা কোন্ সময়ের শিফ্ট; এবং

(ঙ) নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যাবলী।

তবে শর্ত এই যে, ইন্সপেক্টর যদি অভিমত পোষণ করেন যে, কোনো কারখানায় সমস্ত বা আংশিক শ্রমিকদের জন্য ব্যবহৃত মাস্টার রোল বা রেজিস্টার অত্র ধারার চাহিদা পূরণ করিয়াছে, তাহা হইলে তিনি এই মর্মে লিখিত নির্দেশ দিতে পারিবেন  যে, উক্ত মাস্টার রোল বা রেজিস্টার উক্ত কারখানায় প্রাপ্তবয়স্ক শ্রকিদের রেজিস্টার হিসাবে গণ্য হইতে পারে এবং উহা উক্ত উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা যাইবে।

(২) প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকদের রেজিস্টারের ফরম, উহা সংরক্ষণের পদ্ধতি এবং মেয়াদ নির্ধারণ করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারে।

(৩) প্রত্যেক কারখানার স্বত্বাধিকারী বা ম্যানেজার শ্রমিকগণকে নিম্নোক্ত গতিতে টিকেট বা কার্ড সরবরাহ করিবেন :

(ক) প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিককে নম্বর উল্লেখসহ স্থায়ী ডিপার্টমেন্টাল কার্য সরবরাহ করিতে হইবে;

(খ) প্রত্যেক বদলী শ্রমিককে নম্বর উল্লেখসহ স্থায়ী ডিপার্টমেন্টাল কার্ড সরবরাহ করিতে হইবে এবং সে যতদিন কাজ করিয়াছে, তাহার হিসাব উহাতে লিপিবদ্ধ থাকিতে হইবে; এবং স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হইলে কার্ডটি কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করিবে;

(গ) প্রত্যেক অস্থায়ী শ্রমিককে একটি করিয়া ‘অস্থায়ী কার্ড’ সরবরাহ করিতে হইবে  এবং সে যখন চাকরি ত্যাগ করিয়া যাইবে, অথবা স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হইবে, তখন কার্ডটি কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করিতে হইবে;

(ঘ) প্রত্যেক সাময়িক শ্রমিককে একটি করিয়া সাময়িক কার্ড দিতে হইবে এবং কারখানায় তাহার কাজের দিনগুলি উহাতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে; এবং

(ঙ) প্রত্যেক  শিক্ষানবিসকে একটি করিয়া ‘শিক্ষানবিস কার্ড’ দিতে হইবে এবং স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হইলে, অথবা শিক্ষানবিসী ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলে, সে উহা কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পন করিবে।

(৪) ইন্সপেক্টরের অথবা কারখানার মালিক বা ম্যানেজার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তি পরির্দশনের জন্য চাহিবামাত্র প্রত্যেক শ্রমিক তাহার টিকেট বা কার্ড উপস্থিত করিবে।

ধারা-৬২। কাজের ঘন্টা ৬০ ধারার নোটিশ ও ৬১ ধারা অনুসারে রক্ষিত রেজিস্টার অনুসারে হইবে :

৬০ ধারার (১) উপধারা অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের এবং ৬১ ধারা অনুসারে রক্ষিত রেজিস্টারে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের নামের বিপরীতে যাহা লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে, তাহার অন্যথায় করিয়া কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক দ্বারা কোনো কাজ করানো যাইবে না বা তাহাকে কোনো কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

ধারা-৬৩। বিধিনিষেধ হইতে অব্যহতিদানের জন্য বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা :

(১) কারখানায় কোন্ কোন্ ব্যক্তি তদারকি বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদে, অথবা গোপনীয় ধরনের কাজে নিযুক্ত রহিয়াছে, তাহা নির্দিষ্ট করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন, এবং ৬৫ ধারার উপধারা (১)-এর শর্ত এবং উক্ত উপধারার (খ)  অনুচ্ছেদ ব্যতীত এই অধ্যায়ের কোনো বিধান অনুরূপ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

(২) নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে সরকার নিম্নোক্ত শ্রেণীর প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের অব্যাহতি দিয়া বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন-

(ক) জরুরী মেরামতী কাজে নিযুক্তদের  ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ ধারার বিধান হইতে;

(খ) কারখানার সাধারণ কর্মসূচি অতিক্রম করিয়া কাজ সমাধা করার জরুরী প্রয়োজনে প্রস্তুতিমূলক বা অনুরূপ ধরনের কাজে নিযুক্তদের ৫০,৫৩,৫৪ ও ৫৫ ধারার বিধান হইতে;

(গ) মাঝে মাঝে সম্পাদনের প্রয়োজন হয়, এইরূপ কাজে নিযুক্তদের কর্তব্যরত থাকাকালীন বিরতির সময় যদি ৫৪ ধারায় বর্ণিত বিশ্রামের সময়ের অতিরিক্ত হয়, তবে তাহাদিগকে ৫০,৫৩, ৫৪ ও ৫৫ ধারার বিধান হইতে;

(ঘ) কারিগরি কারণে সারাদিন বিরতিহীনভাবে কাজ করা প্রয়োজন, এই ধরনের কাজে নিযুক্তদের ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ ধারার ধারার বিধান হইতে;

(ঙ) প্রতিদিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য উত্পাদন বা সরবরাহের কাজে নিযুক্তদের ৫১ ধারার বিধান হইতে;

(চ) এমন কোনো উত্পাদনের কাজ, যাহা কেবল নির্দিষ্ট মওসুম ছাড়া করা যায় না, উহাতে নিযুক্তদের ৫১ ধারার বিধান হইতে;

(ছ) প্রকৃতির অনিয়মিত আনুকূল্যের উপর নির্ভরশীল, এই ধরনের উত্পাদনের কাজে নিযুক্তদের ৫১ ও ৫৪ ধারার বিধান হইতে;

(জ) ইঞ্জিন রুম বা বয়লার হাউসে নিযুক্তদের, অথবা পাওয়ার প্ল্যান্ট বা ট্রান্সমিশন যন্ত্রের দেখাশুনার কাজে নিযুক্তদের ৫১ ধারার বিধান হইতে; এবং

(ঝ) সংবাদপত্র ছাপার কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ যান্ত্রিক গোলযোগের দরুন কর্মস্থলে থাকিতে বাধ্য হইলে, তাহাদিগকে ৫০,৫৩ ও ৫৫ ধারার বিধান হইতে।

(৩) অব্যাহতিদানের উদ্দেশ্যে উপধারা (২) অনুসারে প্রণীত বিধিমালায় কোনো পরিণতিমূলক কারণে উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে ৬০ ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি দিয়া বিধিমালা প্রণয়ন করা যাইতে পারে।

(৪) কেবল উপধারা (২)-এর (ক) অনুচ্ছেদ ছাড়া এই ধারা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়নের সময় সরকার অতিরিক্ত সময়সহ নিম্নোক্ত কাজের সীমা লংঘন করিবেন না।

(ক) যে কোনো দিন ১০ ঘন্টার কাজ;

(খ) যে কোনো সপ্তাহে ১২ ঘন্টার অতিরিক্ত সময় কাজ;

(গ) যে কোনো একদিনে বিশ্রাম ও আহারের জন্য বিরতিসহ কাজের ১২ ঘন্টা মেয়াদ।

তবে শর্ত এই যে, শিফ্ট পরিবর্তনের স্বার্থে চীফ ইন্সপেক্টরের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে ৫৩ ধারায় উল্লেখিত দৈনিক কাজের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করা হইতে পারে।

(৫) এই ধারা অনুসারে প্রণীত বিধিমালা অনধিক তিন বত্সর পর্যন্ত বলবত থাকিবে, যাহা উক্ত বিধিমালায় নির্দিষ্ট করা যাইতে পারে।

ধারা-৬৪। অব্যাহতির আদেশদানের ক্ষমতা :

(১) সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কাজের প্রকৃতি সংক্রান্ত বা অন্য কোনো কারণে কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানায় প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকদের কাজের মেয়াদ পূর্বে নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া প্রয়োজন, তাহলে কাজের সময়সীমার উপর নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখার উদ্দেশ্যে আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে সরকার লিখিত আদেশদান করিয়া অনুরূপ শ্রমিকদের বেলায় ৬০ ধারার বিধানসমুহ রদবদল করিতে বা উহার প্রয়োগ রাখিতে পারিবেন।

(২) কোনো কারখানায় বা বিশেষ শ্রেণীর কারখানায় অস্বাভাবিক কাজের চাপ দেখা দিলে, কোনো শর্ত আরোপ সাপেক্ষে সরকার, অথবা চীফ ইন্সপেক্টর সংশ্লিষ্ট কারখানা বা কারখানাসমূহের সমস্ত বা যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিককে ৫০, ৫১, ৫৪ ও ৬০ ধারার সমুদয় বা যে কোনো বিধান হইতে এই কারণে অব্যাহতি দিয়া লিখিত আদেশ জারি করিতে পারেন যে, অস্বাভাবিক কাজের চাপ মোকাবেলা করার জন্য এই  অব্যাহতি প্রয়োজন ছিল।

(৩) সাপ্তাহিক কাজের ঘন্টা সম্পর্কে উপধারা (২) অনুসারে কোনোরূপ অব্যাহতি দিতে হইলে, উহা ৬৩ ধারার উপধারা (৪) অনুসারে উল্লিখিত সর্বোচ্চ সময়সীমা সাপেক্ষে হইতে হইবে।

(৪) উপধারা (২) অনুসারে প্রদত্ত আদেশ কারখানার ম্যানেজারের নিকট প্রেরণের  তারিখ হইতে অনধিক দুই মাস বলবত থাকিবে।

তবে শর্ত এই যে, সরকার যদি মনে করেন  যে, জনস্বার্থের জন্য উক্ত মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন, তাহা হইলে সেই ক্ষেত্রে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের  মাধ্যমে অনুরূপ কোনো আদেশের কার্যকারিতা যে কোনো সময় অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।

ধারা-৬৫। মহিলাদের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ :

(১) কারখানায় নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের বেলায় এই অধ্যায়ের বিধানসমূহের সহিত নিম্নোক্ত অতিরিক্ত বিধি-নিষেধসমূহ আরোপ করা হইলো-

(ক) কোনো মহিলার বেলায় ৫৩ ধারার বিধানসমূহ হইতে অব্যাহতি দেওয়া যাইবে না; এবং

(খ) কোনো কারখানায় কোনো মহিলাকে সকাল ৭টা হইতে রাত ৮টার মধ্যে ছাড়া অন্য কোনো সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না ।

তবে শর্ত এই যে, গেজেট বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকার যে কোনো কারখানার বা কোনো বিশেষ শ্রেণীর কারখানার বেলায় এবং সারা বত্সরের জন্য বা বত্সরের যে কোনো অংশের জন্য (খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সময়সীমার ব্যতিক্রম করিয়া সকাল ৫টা হইতে রাত ৮-৩০ পর্যন্ত সাড়ে দশ ঘন্টা অবধি কাজের সময় নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

(২) কোনো কাঁচামালের ক্ষতি বা পচন নিরোধের জন্য মহিলা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত কাজের সময়সীমার ব্যতিক্রম করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে সরকার নিজ বিবেচনানুসারে আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে মত্স্য সংরক্ষণ বা মত্স্য  টিনজাতকরণ কারখানায় নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকদের উপরোল্লিখিত বিধি-নিষেধের অাওতা হইতে অব্যাহতি দিয়া বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

(৩) উপধারা (২) অনুসারে প্রণীত বিধিমালার কার্যকারিতা অনধিক তিন বত্সর নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বহাল থাকিবে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #13 on: January 20, 2012, 08:54:01 AM »
ধারা-৬৬। শিশুদের নিযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা :

যেইসব শিশুর বয়স চৌদ্দ বত্সর পূর্ণ হয় নাই, তাহাদিগকে কোনো কারখানায় কোনো কাজে নিযুক্ত করা বা কোনো কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

ধারা-৬৭। অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের টোকেন বহন করিতে হইবে :

চৌদ্দ বত্সর বয়স পূর্ণ হইয়াছে, এইরূপ শিশুকে অথবা কোনো নব যুবককে কোনো কারখানার কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না, যদি না-

(ক) ৬৮ ধারা অনুসারে প্রদত্ত তাহার দৈহিক সক্ষমতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট কারখানার ম্যানেজারের নিকট থাকে;

(খ) কাজে নিয়োজিত থাকার সময় অনুরূপ শিশুর বা অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকের সহিত উপরোক্ত সার্টিফিকেটের স্মারক টোকেন থাকে।

ধারা-৬৮। সক্ষমতা সার্টিফিকেট :

(১) কোনো তরুণ ব্যক্তি বা তাহার মাতা-পিতা বা অভিভাবক যদি সার্টিফিকেট দানকারী সার্জনের নিকট সক্ষমতা সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে এবং সক্ষমতা সার্টিফিকেট পাইলে তাহাকে কাজে নিযুক্ত করা হইবে, এই মর্মে কারখানার ম্যানেজার কর্তৃক স্বাক্ষরিত দলিল উক্ত আবেদনপত্রের সহিত পেশ করা হয়, অথবা কাজে নিযুক্ত হইতে ইচ্ছুক তরুণের পক্ষে ম্যানেজার নিজ আবেদন করিলে, সার্টিফিকেট দানকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়া কারখানার কাজে নিযুক্ত করা সম্পর্কে তাহার দৈহিক সক্ষমতা নির্ধারণ করিবেন।

(২) পরীক্ষা করার পর সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন সংশ্লিষ্ট তরুণ ব্যক্তিকে কাজ করার সক্ষমতা সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে বা নবায়ন করিতে পারেন-

(ক) তিনি যদি সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট তরুণ ব্যক্তির বয়স চৌদ্দ বত্সর পূর্ণ হইয়াছে, সে নির্ধারিত দৈহিক ক্ষমতা অর্জন করিয়াছে এবং কাজ করার উপযুক্ত হইয়াছে;

(খ) তিনি যদি সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট তরুণের বয়স ষোল বত্সর পূর্ণ হইয়াছে এবং একটি কারখানায় পুরোপুরি একদিনে কাজ করিতে সক্ষম, তাহা হইলে তিনি তাহাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণ্য করিবেন।

তবে শর্ত এই যে, সংশ্লিষ্ট তরুণ যে কারখানায় বা যে উত্পাদনী সংস্থায় কাজ করিতে চাহে, সেই কারখানা বা উত্পাদনী সংস্থা সম্পর্কে সার্টিফিকেট দানকারী সার্জনের ব্যক্তিগত জ্ঞান না থাকিলে এবং নিজে উক্ত স্থান পরীক্ষা না করিয়া থাকিলে এই উপধারার অধীনে তিনি সক্ষমতা সার্টিফিকেট দিবেন না বা নবায়ন করিবেন না।

(৩)  উপধারা (২) অনুসারে প্রদত্ত বা নবায়নকৃত সক্ষমতা সার্টিফিকেট-

(ক)  প্রদানের বা নবায়নের তারিখ হইতে মাত্র বারো মাস বৈধ থাকিবে;

(খ)  নির্ধারিত বারো মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে সংশ্লিষ্ট  তরুণ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পুনঃপরীক্ষা সাপেক্ষে, অথবা সে যেই কাজে নিযুক্ত হইবে, তাহার প্রকৃতি সম্পর্কে আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে নবায়ন করা যাইতে পারে।

(৪)  সার্টিফিকেটে নির্দিষ্ট কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট তরুণ ব্যক্তি আর সক্ষম নহে বলিয়া প্রতীয়মান হইলে, সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন বা নবায়নকৃত যে কোনো সার্টিফিকেট বাতিল করিতে পারিবেন।

(৫) সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন কোনো আবেদনকারীকে সক্ষমতা সার্টিফিকেট দিতে বা নবায়ন করিতে অসম্মত হইলে,  উক্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে তিনি তাহার অসম্মতির কারণ লিখিতভাবে জানাইবেন।

(৬)  উপধারা (৩)-এর (খ) অনুচ্ছেদের শর্তাধীনে কোনো তরুণ ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হইলে বা নবায়ন করা হইলে, উক্ত শর্তাধীনে ছাড়া তাহাকে কোনো কারখানায় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

(৭)  এই ধারা অনুসারে সার্টিফিকেটের জন্য ফী দিতে হইলে, তাহা কারখানার মালিক দিবেন এবং সংশ্লিষ্ট তরুণ ব্যক্তি বা তাহার মাতা-পিতা বা অভিভাবকের নিকট হইতে উহা আদায় করা যাইবে না।

ধারা-৬৯। তরুণ ব্যক্তিকে প্রদত্ত সক্ষমতা সার্টিফিকেটের কার্যকারিতা :

(১)  ৬ ধারার উপধারা (২)-এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে যে তরুণকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে কোনো কারখানায় কাজ করার জন্য সক্ষমতা সার্টিফিকেট প্রদান করা হইয়াছে, এবং কারখানায় কাজ করার সময় উক্ত সার্টিফিকেটের স্মারক টোকেন যাহার সঙ্গে আছে, ৭০ ধারার উপধারা (১)-এর বিধান সাপেক্ষে তাহাকে ৬ষ্ঠ ও ৮ম অধ্যায়ের সমস্ত উদ্দেশ্যে প্রাপ্তবয়স্ক বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।

(২) কোনো তরুণ ব্যক্তিকে  ৬৮ ধারার উপধারা (২)-এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে কারখানায় কাজ করার জন্য সক্ষমতা সার্টিফিকেটে মঞ্জুর করা না হইলে, তাহার বয়স যাই হউক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্যে তাহাকে শিশু বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।

ধারা-৭০। শিশুদের জন্য কাজের ঘণ্টা :

(১) কোনো শিশুকে বা নব যৌবনপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো কারখানায় কাজ করানো যাইবে না-

(ক) একদিনে পাঁচ ঘন্টার অতিরিক্ত; এবং

(খ) সন্ধ্যা ৭টা হইতে সকাল ৭টা পর্যন্ত।

(২) কারখানায় নিযুক্ত সকল  শিশুর কাজের সময় দুইটি শিফ্টে সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে এবং উহার কোনো শিফ্টের সময়সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশি হইবে না।

(৩) একজন শিশুকে একটি মাত্র রীলেতে কাজ করাইতে হইবে এবং চীফ ইন্সপেক্টরের লিখিত পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে একবারের অতিরিক্ত তাহার রীলে বদলানো যাইবে না।

(৪) শিশু শ্রমিকদের বেলায়ও ৫২  ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে এবং কোনো শিশুর ক্ষেত্রে উক্ত ধারার কোনো  বিধান হইতে অব্যাহতি দেওয়া যাইবে না।

(৫) কোনো শিশু যেই দিন কোনো কারখানায় কাজ করিয়াছে, সেইদিন তাহাকে অন্য কোনো কারখানার কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি
« Reply #14 on: January 20, 2012, 08:55:02 AM »
ধারা-৭১। শিশুদের জন্য কাজের ঘন্টা নোটিশ :

(১) শিশুরা নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রত্যেক কারখানায় ১০ঌ ধারার উপধারা (২)-এ বর্ণিত পদ্ধতি মোতাবেক শিশুদের কাজের সময় সম্বলিত নোটিশ টাঙ্গাইয়া রাখিতে হইবে, এবং শিশুরা কোন্ সময় কাজ করিবে, তাহা উক্ত নোটিশে স্পষ্ট করিয়া প্রদর্শন করিতে হইবে।

(২) উপধারা (১) অনুসারে কাজের সময় সংক্রান্ত নোটিশ ৬০ ধারায় প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিকদের জন্য বর্ণিত একই পদ্ধতি অনুসারে  পূর্বাহ্নে নির্ধারণ করিতে হইবে এবং উহা এমন হইতে হইবে, যাহাতে উক্ত কর্মরত শিশুদের ৭০ ধারা লংঘন করিয়া কাজ করিতে না হয়।

(৩) ৬০ ধারার উপধারা (৮), (ঌ) ও (১০)-এর উপধারা (১)  অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের বেলায় ও প্রযোজ্য হইবে।

(৪) উপধারা (১) অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের ফরম এবং উহা সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-৭২। শিশু শ্রমিকদের রেজিস্টার :

(১) শিশুরা নিযুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ প্রতিটি কারখানার ম্যানেজারকে শিশু শ্রমিকদের একটি রেজিস্টার রাখিতে হইবে, যাহা কাজ চলার  সময় সর্বক্ষণ ইন্সপেক্টরের পরিদর্শনর জন্য প্রস্তুত থাকিবে এবং উহাতে  প্রদর্শন করিতে হইবে-

(ক) কারখানায় নিযুক্ত প্রতিটি শিশু ও নব যুবক শ্রমিকের নাম ও জণ্ম তারিখ;

(খ) তাহার কাজে প্রকৃতি;

(গ) গ্রুপ থাকিলে, যে কোন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত;

(ঘ) তাহার গ্রুপ শিফ্টে কাজ করিলে, তাহাকে কোন শিফ্টে কাজ করিতে  দেওয়া হইয়াছে;

(ঙ) ৬৮ ধারা মোতাবেক তাহার সক্ষমতা সার্টিফিকেটের নম্বর এবং উহা নবায়ন করার তারিখ; এবং

(চ) নির্ধারিতব্য অন্যান্য যাবতীয় তথ্য।

(২) শিশু শ্রমিকদের রেজিস্টারের ফরম, উহা সংরক্ষণের পদ্ধতি এবং সংরক্ষণের মেয়াদ নির্ধারণ করিয়া সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ধারা-৭৩। নোটিশের কাজের ঘন্টার এবং রেজিস্টারের সঙ্গতি বিধান করিতে হইবে :

৭১ ধারার উপধারা (১) অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের বিষয়বস্তু এবং ৭২ ধারা অনুসারে রক্ষিত রেজিস্টারে তাহার নামের পার্শ্বে পূর্বাহ্নে লিপিবদ্ধ শর্ত ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে কোনো শিশুকে কাজ করানো যাইবে না বা কাজ করিবার অনুমতি দেওয়া যাইবে না।

ধারা-৭৪। ডাক্তারী পরীক্ষার  নির্দেশ দানের ক্ষমতা :

ইন্সপেক্টার যদি মনে করেন যে-

(ক) সক্ষমতা সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো কারখানায় কাজ করিতেছে, এমন কোনো ব্যক্তি শিশু বা নব যুবক; অথবা

(খ) কোনো কারখানায় সক্ষমতা সার্টিফিকেটের অধিকারী কোনো শিশু বা নব যুবক ব্যক্তি কাজ করিতেছে, কিন্তু উক্ত সার্টিফিকেটে বর্ণিত সক্ষমতা তাহার বর্তমান নাই;

তাহা হইলে কারখানার ম্যানেজারের  উপর তিনি এই মর্মে নোটিশ জারি করিতে পারেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা শিশুকে বা নব যুবককে একজন সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন দ্বারা ডাক্তারী পরীক্ষা করাইতে হইবে এবং সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন দ্বারা পরীক্ষা না করানো  পর্যন্ত, অথবা ৬৮ ধারা অনুসারে তিনি সক্ষমতা সার্টিফিকেট বা নূতন সক্ষমতা সার্টিফিকেট না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে  বা শিশুকে বা নব যুবককে কাজ করিতে দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বা শিশুকে বা নব যুবককে কাজ করিতে দেওয়া যাইবেনা, অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরীক্ষার পর  সে শিশু বা নব যুবক নহে, এই মর্মে সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন সার্টিফিকেট না দেওয়া পর্যন্ত তাহাকে কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।

ধারা-৭৫। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা :

সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারেন-

(ক) ৬৮ ধারা অনুসারে দেয় সক্ষমতা সার্টিফিকেটর ফরম  নির্ধারণ করিয়া, মূল সার্টিফিকেটের বা নবায়নকৃত সার্টিফিকেট হারাইয়া গেলে ডুপ্লিকেট প্রদানের ব্যবস্থা করিয়া এবং প্রতিটি সার্টিফিকেট বা নবায়নকৃত সার্টিফিকেট বা ডুপ্লিকেটি কপির জন্য দেয় ফী নির্ধারণ করিয়া;

(খ) কারখানায় কর্মরত শিশু বা নব যুবকের দৈহিক সক্ষমতার মান নির্ধারণ করিয়া; এবং

(গ) এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে সার্টিফিকেট দানকারী সার্জনের কার্য পদ্ধতি ও তাহার অন্যান্য দায়িত্ব নির্ণয় করিয়া, যাহা তিনি কারখানায় নিযুক্ত শিশু ও নব যুবকদের সম্পর্কে পালন করিবেন এবং উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ফী দাবি করিলে, উহার পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া।

ধারা-৭৬। এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ ১ঌ৩৮ সালের ২৬ নং আইন হানিকর নহে :

এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ ১ঌ৩৮ সালের শিশুদের চাকরি আইন হানিকর না হইয়া উহার অতিরিক্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

দ্রষ্টব্য : [১ঌ৩৮ সালের শিশুদের চাকরি আইন দেখুন]।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection