Author Topic: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত আইন  (Read 3982 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬

[১৯৭৬ সালের ৫১ নং অধ্যাদেশ]

------------------------------------------------------------------

গ্রাম আদালত স্থাপন করিবার নিমিত্ত অধ্যাদেশ, যেহেতু পল্লী অঞ্চলের কিছু মামলা নিষ্পত্তিকরণ এবং তদসম্পর্কিত বিষয়াবলীর জন্য গ্রাম আদালতের সৃষ্টি অত্যাবশ্যক;

সেহেতু ১৯৭৫ সালের ২০শে আগস্ট ৮ই নভেস্বরের ঘোষণা অনুসারে এবং এতদ সমর্থনে সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়া রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং ঘোষণা করেন ।

ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত নাম, প্রারম্ভ ও প্রয়োগ)

(১) এই অধ্যাদেশকে ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ বলা হইবে ।

(২) উহা ঐ তারিখ হইতে কার্যকরী হইবে যাহা সরকার ঘোষণাপত্র দ্বারা বিজ্ঞপ্তি করিয়া নির্ধারণ করেন ।

(৩) এই অধ্যাদেশ ঐ সমস্ত এলাকায় কার্যকর নহে যাহা ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা বহিভর্ভুত ।

 

ধারা-২ (সংজ্ঞা)

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে এই অধ্যাদেশে

(ক) ''আদালতের এখতিয়ারাধীন অপরাধ'' বলিতে বুঝায় ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) ৪ ধারায় বর্ণিত বিচারযোগ্য অপরাধ,

(খ) ''ডিক্রি'' বলিতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির (১৯০৮ সালের ৫নং আইন) ২ ধারায় বর্ণিত ডিক্রিকে বুঝায়;

(গ) ''নিয়ন্ত্রণাধিকারী সহকারী জজ'' বলিতে ঐ সহকারী জজকে বুঝায় যাহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি অন্তর্ভুক্ত; তবে যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি একাধিক সহকারী জজের অধিক্ষেত্রের মধ্যে অন্তর্গত সেইক্ষেত্রে কনিষ্ঠ সহকারী অধিক্ষেত্র হইবে;

(ঘ) ''পক্ষ'' বলিতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যাহার উপস্থিতি বিরোধ মীমাংসার জন্য প্রয়োজন এবং যাহাকে গ্রামাদালত বিরোধের পক্ষ বলিয়া মনে করেন;

(ঙ) ''ইউনিয়ন এবং ইউনিয়ন পরিষদ'' ঐ একই অর্থ বহন করে যাহা বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশ বহন করে ।

(চ) ''গ্রাম আদালত'' বুঝিতে এই অধ্যাদেশের আওতাধীন আদালত ।

 

ধারা-৩ (গ্রাম আদালত কতৃর্ক বিচার্য মামলাসমূহ )

(১) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) অথবা ১৯০৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধিতে (১৯০৮ সালের ৫ নং আইন) কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও অন্যরকম বিধান না থাকিলে তফসিলের প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ডভুক্ত যাবতীয় মামলা গ্রাম আদালত কতৃর্ক বিচার্য হইবে এবং এতদ প্রসঙ্গে কোনো দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতের কোনো এখতিয়ার থাকিবে না ।

(২) গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম খণ্ডে বর্ণিত কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিবেন না । যদি অপরাধী পূর্বে কোনো আমলযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তফসিলের দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিবেন না যদি তাহা-

(ক) নাবালকের স্বার্থ জড়িত হয়;

(খ) বিরোধের বিষয় পক্ষগণের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক সালিসির ব্যবস্থা করা হয়;

(গ) সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার অথবা কোনো সরকারী কর্মচারী তাহার কর্তব্য পালনে মামলায় জড়াইয়া যায় ।

(৩) তবে ১ উপধারায় বর্ণিত শর্তাবলী কোনো মামলার স্থাবর সম্পত্তি স্বত্ব প্রমাণে প্রযোজ্য হইবে না যদিও গ্রাম আদালত এতদসঙ্গে ইহার আদেশে দখল প্রদান বা দখল উদ্ধারের রায় দিয়া থাকেন ।

 

ধারা-৪ (গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন)

উপধারা-(১) যে স্থলে অত্র অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো মামলা গ্রাম আদালত কতৃর্ক বিচারযোগ্য সেই স্থলে বিরোধের যে কোনো পক্ষ মামলা বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট নির্ধারিত নিয়মে নির্ধারিত ফী প্রদানে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য আবেদন করিতে পারেন ।

চেয়ারম্যান লিখিত কারণ দর্শাইয়া আদালত গঠনের আবেদন অগ্রাহ্য না করিলে নির্ধারিত প্রণালীতে গ্রাম আদালত গঠন করিবেন;

তবে এই ধারায় কোনো মস্তিষ্ক বিকৃতি ব্যক্তির কোনো আবেদন করা যাইবে না ।

 

উপধারা-(২) এক উপধারার আওতাধীন কোনো আবেদন অগ্রাহ্য হইলে আদেশে ক্ষুন্ন ব্যক্তি আদেশটি অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত অথবা বস্তুতঃ অন্যায় দাবিতে নির্ধারিত নিয়ম ও সময়ের মধ্যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত সহকারী জজের নিকট রিভিশনের আবেদন করিতে পারেন ।

 

ধারা-৫ (গ্রাম আদালতসমূহ, উহাদের গঠন ইত্যাদি)

উপধারা-(১) গ্রাম আদালত একজন চেয়ারম্যান এবং বিরোধের প্রত্যেক পক্ষ কতৃর্ক নির্র্ধরিত নিয়মে মনোনীত ২ জন প্রতিনিধি লইয়া গঠিত হইবে ।

তবে শর্র্ত থাকে যে, প্রত্যেক পক্ষ কতৃর্ক মনোনীত প্রতিনিধিদ্বয়ের একজন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইবেন ।

উপধারা-(২) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন, তবে যে স্থলে তিনি কোন কারণে চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অক্ষম কিংবা বিরোধের কোন পক্ষ তাহার পক্ষপাতিত্বহীনতা সম্পকে॔ আপত্তি উত্থাপন করেন সেই স্থলে নিধা॔রিত নিয়মে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য যে কোন সদস্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োজিত হইবেন৷

উপধারা-(৩) যদি বিরোধের কোনো পক্ষ একাধিক ব্যক্তি লইয়া গঠিত হয় তবে চেয়ারম্যান সেইপক্ষ গঠনকারী ব্যক্তিদিগকে সেইপক্ষের জন্য ২ জন প্রতিনিধি মনোনীত করিতে আহবান জানাইবেন এবং যদি তাহারা মনোনয়ন করিতে অসমর্থ হয় । তবে. তিনি ঐ ব্যক্তিদের যেকোনো একজনকে তাহা করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবং তদনুয়ায়ী একমাত্র ঐরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতিনিধি মনোনয়নের অধিকার থাকিবে ।

উপধারা-(৪) যদি বিরোধের কোনো পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যকে পক্ষপাতহীন বলিয়া মনে না করেন তাহা হইলে তিনি সদস্য মনোনয়নের জন্য চেয়ারম্যানের অনুমতি প্রার্থনা করিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ব্যতিরেকে যেকোনো ব্যক্তিকে সদস্য মনোনয়ন করিতে পারেন ।

উপধারা-(৫) যেক্ষেত্রে এই ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় প্রতিনিধিগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনীত না হয় সেইক্ষেত্রে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঐরূপ প্রতিনিধি ব্যতিরেকেই বৈধভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুয়ায়ী গ্রাম আদালতের বিচারকার্য চলিবে  ।

 

ধারা-৬ (গ্রাম-আদালতের এখতিয়ার ইত্যাদি)

উপধারা-(১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মামলার কারণের উদ্ভব হইয়াছে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা হইলে (২) উপধারার বিধানাবলী সাপেক্ষ গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং এইরূপ কোনো মামলার বিচার করিবার জন্য উক্ত আদালতের এখতিয়ার থাকিবে ।

উপধারা-(২) যে ইউনিয়নের অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মালার কারণ উদ্ভদ হইয়াছে বিবাদের এক পক্ষ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বাসিন্দা হইলে এবং অপর পক্ষ অন্য ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বাসিন্দা হইলে ক্ষেত্রমত যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মামলার কারণে উদ্ভব হইয়াছে সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে৷ তবে প্রত্যেক পক্ষ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবেন ।

 

ধারা-৭ (গ্রাম-আদালতের ক্ষতিপূরণ দানের রায় প্রদানের ক্ষমত )

উপধারা-(১) এই অধ্যাদেশে অন্য প্রকার বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালতের কারাদণ্ড বা জরিমানার আদেশ প্রদানের কোনো ক্ষমতা থাকিবে না । কিন্তু আদালত যদি কোনো ব্যক্তিকে তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন তবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারেন ।

উপধারা-(২) তফসিলের ২য় ভাগে বর্ণিত কোনো বিষয় সম্পর্কিত কোনো মোকদ্দমায় অনুরূপ বিষয় বাবদ তফসিলে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে (স্বত্বাধিকারী ব্যক্তিকে) সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করার জন্য আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা গ্রাম-আদালতের থাকিবে ।

 

ধারা-৮ (গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্তবলীর চূড়ান্ত প্রকৃতি)

উপধারা-(১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত যদি সর্বসম্মত বা চার-এক ভোটে গৃহীত হয় তাহা হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যতামূলক হইবে এবং এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী মোতাবেক কার্যকর হইবে ।

উপধারা-(২) গ্রাম-আদালতের সিদ্ধান্ত যদি তিন-দুই ভোটে গৃহীত হয়, তাহা হইলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশ দিনের মধ্যে যেকোনো পক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে-

(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিত কোনো অপরাধ সম্পর্কিত হইলে, থানা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট; এবং

(খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত কোনো বিষয় সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজের নিকট আবেদন করিতে পারেন এবং ক্ষেত্রমত থানা ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজের নিকট যদি সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয় যে, এই মামলার সুবিচার হয় নাই । তাহা হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারেন । অথবা পুনঃবিবেচনার জন্য বিবাদটি গ্রাম- আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইবার নির্দেশ দিতে পারেন ।

উপধারা-(৩) আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনে অন্তর্গত যেকোনো কিছু (থাকা) সত্ত্বেও এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী মোতাবেক গ্রাম আদালত কতৃর্ক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা গ্রাম আদালতসহ অন্য কোনো আদালতে বিচার্য হইবে না ।

 

ধারা-৯ (ডিক্রি বলবতকরণ)

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত ক্ষতিপূরণদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে আদেশ দেওয়া অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেইক্ষেত্রে যেরূপ ফরম বা পদ্ধতি নির্ধারিত হইবে । সেইরূপ ফরম ও পদ্ধতিতে একটি ডিক্রি প্রদান করিবেন এবং তদসংক্রান্ত বিবরণ নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

উপধারা-(২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উক্ত ডিক্রীর দাবি মিটান বাবদ যদি কোনো অর্থ প্রদান করা হয় অথবা কোনো সম্পত্তি অর্পণ করা হয় তাহা হইলে আদালত ক্ষেত্রমত উক্ত অর্থ প্রদান বা সম্পত্তি অর্পণ করা হয় তাহা হইলে আদালত ক্ষেত্রমত উক্ত অর্থ প্রদান বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উপরিউক্ত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে ডিক্রি ক্ষতিপূরণ দানের সহিত সম্পর্কিত হয় এবং ডিক্রিগত অর্থ নির্ধারিত সময়ে প্রদত্ত হয় না সেইক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করিবেন যে পরিষদ উক্ত ক্ষতিপূরণকে তত্কতৃর্ক ধার্যকৃত খাজনা মনে করিয়া ১৯৭৬ সালের স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশের (১৯৭৬ সালের ৯০নং আইন) অধীনে কোন ইউনিয়ন পরিষদ কতৃর্ক ধার্যকৃত খাজনা যেভাবে আদায় করা হয় সেই একইভাবে উহা আদায় করিবার জন্য প্রবৃত্ত হইবেন এবং যাহা ডিক্রিদারকে প্রদান করিতে হইবে ।

উপধারা-(৪) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোনো প্রকারে ডিক্রি দাবি মিটান যাইতে পারে । সেইক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রি জারি করিবার জন্য এখদিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজের আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালত এই ডিক্রি জারির জন্য এমনভাবে উদ্যেগ গ্রহণ করিবেন যেন এই আদালত কতৃর্কই উক্ত ডিক্রি প্রদান করা হইয়াছে ।

উপধারা-(৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্কতৃর্ক নির্র্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রধানের নির্দেশ দিতে পারেন ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-১০ (গ্রাম আদালতের সাক্ষী ইত্যাদিকে সমন করিবার ক্ষমতা)

(১) গ্রাম আদালত যেকোনো ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার ও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোনো দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেন;

 

তবে শর্ত থাকে যেঃ

(ক) ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যপদ্ধতি সংহিতা (১৯০৮ সালের ৫নং আইন)-এর ১৩৩ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক যে ব্যক্তিকে স্বয়ং আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকেই সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাইবে না ।

(খ) গ্রাম-আদালত যদি মনে করেন যে পরিস্থিতি এমন যে সেই পরিস্থিতিতেই অহেতুক বিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা সম্ভব নহে তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অস্বীকার করিতে পারেন;

(গ) গ্রাম-আদালতের এখতিয়ার বহির্ভুত এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ আদালতের বিবেচনামতে পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা না দেওয়া হইলে, গ্রাম-আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোনো দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ দিবেন না ।

 

(ঘ) গ্রাম আদালতের রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোনো গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে নির্দেশ দিবেন না, অথবা অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোনো সাক্ষ্য প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি প্রদান করিতে বা স্থগিত রাখিতে পারেন, তাহার অনুমতি ব্যতীত গ্রাম আদালত কোনো ব্যক্তিকে অনুমতি প্রদান করিবেন না ।

 

(২) যে ব্যক্তিকে গ্রাম-আদালত উক্ত আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষ্য দিতে অথবা কোনো দলিল দাখিল করিবার জন্য সমন দিয়াছেন, তিনি যদি অনুরূপ সমন ইচ্ছাপূর্বক অমান্য করেন তাহা গ্রাম আদালত অনুরূপ অবাধ্যতা আদালত গ্রাহ্য অপরাধ বলিয়া গণ করিতে পারেন এবং বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়ারপর ঐ ব্যক্তিকে অনধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করিতে পারেন ।

 

ধারা-১১ (গ্রাম আদালতের অবমাননা)

কোনো ব্যক্তি আইনসঙ্গত অজুহাত ব্যতীত যদি-

(ক) গ্রাম-আদালত বা উহার কোনো সদস্যকে আদালতের কার্য চলাকালে কোনো প্রকার অপমান করেন, অথবা

(খ) গ্রাম-আদালতের কার্যে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন, অথবা

(গ) গ্রাম-আদালতের আদেশ সত্ত্বেও কোনো দলিল দাখিল বা অর্পণ করিতে ব্যর্থ হন, অথবা

(ঘ) গ্রাম-আদালতের যে প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি বাধ্য সেইরূপ কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন, অথবা

(ঙ) সত্য কথা বলিবে বলিয়া শপথ গ্রহণ করিতে বা গ্রাম-আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাহার প্রদত্ত জবানবন্দিতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে তিনি গ্রাম-আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন এবং আদালতের নিকট কোনো অভিযোগ পেশ করা না হইলেও আদালত অনুরূপ অবমাননার অপরাধে অবিলম্বে উক্ত ব্যক্তির বিচার করিবেন এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবেন ।

 

ধারা-১২ (জরিমানা আদায়)

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে কোনো গ্রাম-আদালত ১০ ও ১১ ধারা মোতাবেক জরিমানা ধার্য করেন কিন্তু জরিমানা অবিলম্বে পরিশোধ করা না হয় সেইক্ষেত্রে আদালত ধার্যকৃত জরিমানার পরিমাণ এবং উহা যে পরিশোধ করা হয় নাই, এই তথ্য উল্লেখ করিয়া একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং তাহা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করিবেন যে, উক্ত জরিমানাকে তত্কতৃর্ক ধাযর্কৃত খাজনা মনে করিয়া ১৯৭৬ সালের স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশের (১৯৭৬ সালের ৯০নং আইন) অধীনে কোনো ইউনিয়ন পরিষদ কতৃর্ক ধার্যকৃত খাজনা যেভাবে আদায় করা হয় সেই একইভাবে উহা আদায় করিবার জন্য প্রবৃত্ত হইবেন ।

উপধারা-(২) ১০ ও ১১ ধারা মোতাবেক গ্রাম-আদালতকে প্রদত্ত বা (১) উপধারা মোতাবেক গ্রাম-আদালতের পক্ষে আদায়কৃত সমস্ত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলের অঙ্গীভূত হইবে ।

 

ধারা-১৩ (কার্যপদ্ধতি)

উপধারা-(১) এই অধ্যাদেশের দ্বারা বা ইহার অধীন অন্য প্রকার স্পষ্ট বিধান করা না হইলে, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন, (১৮৭২ সালের ১নং আইন), ১৮৯৮ সালের ফৌজদার কার্যপদ্ধতি সংহিতা (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন)-এর বিধানাবলী কোনো গ্রাম-আদালতে আনীত মামলায় প্রযোজ্য হইবে না ।

উপধারা-(২) ১৮৭৩ সালের শপথ গ্রহণ আইন (১৮৭৩ সালের ১০নং আইন)-এর ৮ হইতে ১১ ধারা গ্রাম-আদালতে আনীত সকল মোকদ্দমায় প্রযোজ্য হইবে ।

উপধারা-(৩) এই অধ্যাদেশের অধীন বিচারযোগ্য কোনো অপরাধের দায়ে কোনো সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করিবার জন্য, তাহার নিয়োগদানকারী কতৃর্পক্ষের পূর্ব অনুমোদন প্রয়োজন হইবে, যদি উক্ত সরকারী কর্মচারী এই মর্মে কোনো অজুহাত খাড়া করেন যে, যে অপরাধ তিনি করিয়াছেন বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে তাহা তাহার সরকারী কর্তব্য পালন করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় সংঘটিত হইয়াছে ।

 

ধারা-১৪ (উকিলের মাধ্যমে হাজিরা নিষিদ্ধ)

উপধারা-(১) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ আইনজীবী পরিষদ আদেশে (১৯৭২ সালের পি.ও.নং ৪৬) যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও গ্রাম-আদালতের নিকট বিবাদের কোনো পক্ষের সমর্থণে ওকালতি করিতে কোনো আইনজীবীকে অনুমতি দেওয়া হইবে না ।

উপধারা-(২) এই অধ্যাদেশ মোতাবেক যে ব্যক্তিকে গ্রাম-আদালতের নিকট হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে তিনি যদি পর্দানশীল মহিলা হন তাহা হইলে উক্ত আদালত তাহার যথাযথ ক্ষমতা প্রদত্ত এজেন্টকে তাহার প্রতিনিধত্ব করিবার জন্য অনুমতি দিতে পারিবেন, তবে উক্ত এজেন্ট কোনো ক্রমেই অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত এজেন্ট হইবে না ।

 

ধারা-১৫ (কতিপয় মামলার স্থানান্তর)

উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে থানা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন যে, তফসিলের প্রথম ভাগের অন্তর্ভুক্ত কোনো বিষয় সম্পর্কিত এবং গ্রাম- আদালতের নিকট বিচারাধীন কোনো মামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে জনস্বার্থের খাতিরে ও ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে কোনো ফৌজদারী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত সেইক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও তিনি গ্রাম-আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিতে এবং বিচার ও মীমাংসার জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

উপধারা-(২) কোনো গ্রাম আদালত যদি মনে করেন যে, উপরোক্ত কোনো বিষয় সম্পর্কিত এবং গ্রাম-আদালতের নিকট বিচারাধীন কোনো মামলার ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে অপরাধীর শাস্তি হওয়া উচিত । তাহা হইলে উক্ত আদালত মামলাটির বিচার ও মীমাংসা করিবার জন্য ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

 

ধারা-১৬ (পুলিশের তদন্ত)

আদালত গ্রাহ্য কোনো তদন্ত করা হইতে, উক্ত মামলা তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিত কোনো অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণেই কেবল এই অধ্যাদেশের কোনো কিছু পুলিশকে নিবৃত্ত করিবে না । তবে, যদি কোনো ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোনো মামলা আনীত হয় তাহা হইলে উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে মামলাটি এই অধ্যাদেশ মোতাবেক গঠিত কোনো গ্রাম-আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

 

ধারা-১৭ (বিচারাধীন মামলাসমূহ)

এই অধ্যাদেশ মোতাবেক বিচারযোগ্য যেই সমস্ত মামলা এই অধ্যাদেশ বলবত্‍ হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোনো দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী আদালতের বিচারাধীন রহিয়াছে, উহাদের উপর এই অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হইবে না এবং অনুরূপ মামলা আদালত কতৃর্ক এইরূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই অধ্যাদেশ জারি করা হয় নাই ।

 

ধারা-১৮(রেহাই দেওয়ার ক্ষমতা) সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কোনো এলাকা বা এলাকাসমূহ, অথবা কোনো মামলা বা কোনো কোনো শ্রেণীর মামলা অথবা কোনো সম্প্রদায়কে এই অধ্যাদেশের সকল অথবা যেকোনো বিধানের সক্রিয় আওতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন ।

 

ধারা-১৯ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)

সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

 

ধারা-২০ (বিলোপ)

১৯৬১ সালের সালিশি আদালত অধ্যাদেশ (১৯৬১ সালের ৪৪নং অধ্যাদেশ) এত দ্বারা বিলুপ্ত হইল ।

 

তফসিল

প্রথম খন্ড

ফৌজদারী মামলাসমূহ

 

(১) দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইনের) ১৪১ ধারার তৃতীয় ও চতুর্থ তফসিলসহ গঠিত বিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারা, যখন বেআইনী সমাবেশের অভিন্ন উদ্দেশ্য হইতেছে দণ্ডবিধির ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৪৭ ধারার অপরাধ সংগঠন করা এবং বেআইনী সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দশজনের অধিক নহে ।

(২) দণ্ডবিধির ১৬০, ৩২৩, ৩৩৪, ৩৪১, ৩৪২, ৩৫২, ৩৫৮, ৪২৬, ৪৪৭, ৫০৪, ৫০৬ (প্রথম ভাগ) ৫০৮, ৫০৯ ও ৫১০ ধারা ।

(৩) দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৭৯, ৩৮০ ও ৩৮১ ধারা যেক্ষেত্রে গবাদিপশু সংক্রান্ত অপরাধ সংগঠিত হয় ।

(৪) দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৭৯ ধারা যেক্ষেত্রে গবাদিপশু ব্যতীত অন্য কোনো সম্পত্তি অপরাধ সংগঠিত হয় যে সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।

(৪-ক) দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৮০ ও ৩৮১ ধারা, যেক্ষেত্রে গবাদি পশু ব্যতীত অন্য কোনো সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধ সংগঠিত হয়, যে সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।

(৫) দণ্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪১৭ ও ৪২০ ধারা, যখন অপরাধ সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ৫,০০০ টাকার অধিক নহে ।

(৬) দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারা, যখন সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।

(৭) দণ্ডবিধির ৪২৮ ও ৪২৯ ধারা যখন সংশ্লিষ্ট পশুর মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।

(৮) ১৯৭১ সনের গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইনের (১৮৭১ সনের ১নং আইন) ২৪, ২৬ ও ২৭ ধারা ।

(৯) উপরোক্ত অপরাধসমূহের যেকোনো একটি সংগঠনের চেষ্টা করা অথবা সংগঠনের সহায়তা বা প্ররোচনা দান করা ।

 

দ্বিতীয় খণ্ড

দেওয়ানী মামলাসমূহ

    (১) কোনো চুক্তি বা অন্য কোনো দলিল মূলে প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য মামলা ।

    (২) কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বা উহার মূল্য আদায়ের জন্য মামলা ।

    (৩) কোনো স্থাবর সম্পত্তি বে-দখল হওয়ার এক বত্সরের মধ্যে উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা ।

    (৪) কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বেআইনীভাবে লওয়া বা বিনষ্ট করার দরুন ক্ষতিপূরণের মামলা ।

    (৫) গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশের দরুন ক্ষতিপূরণের মামলা ।

   

    যখন দাবিকৃত অর্থ, অথবা অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য অথবা সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
গ্রাম আদালতের বিধিমালা, ১৯৭৬

------------------------------------------------------------------

 

বিধি-১ (সংক্ষিপ্ত নাম ও প্রারম্ভ)

অত্র বিধিমালা ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে ।

 

বিধি-২ ( বিষয়বস্তু বা প্রসংগে বিপরীত কিছু না থাকিলে অত্র বিধিমালায় )

(ক) ''ফরম'' বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযোজিত ফরম বুঝাইবে ।

(খ) ''অধ্যাদেশ'' বলিতে ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত ''অধ্যাদেশ (১৯৭৬ সনের ৬১ নং অধ্যাদেশ) বুঝাইবে;

(গ) 'খণ্ড' বলিতে অধ্যাদেশের তফসিলের কোনো খণ্ড বুঝাইবে;

(ঘ) ''আবেদনকারী'' বলিতে যে ব্যক্তি অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে;

(ঙ) ''প্রতিবাদী'' বলিতে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেহ অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে; এবং

(চ) 'ধারা' বলিতে অধ্যাদেশের কোনো ধারা বুঝাইবে ।

 

বিধি-৩ : (১) ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত লিখিতভাবে করিতে হইবে এবং উহা আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইবে ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে লিখিত দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি থাকিতে হইবে; যথাঃ

(ক) যে ইউনিয়ন পরিষদে দরখাস্ত করা হইতেছে উহার নাম;

(খ) আবেদনকারীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান;

(গ) প্রতিবাদীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান;

(ঘ) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত বা নালিশের কারণ উদ্ভব হইয়াছে উহার নাম;

(ঙ) নালিশ অথবা দাবির প্রকৃতি ও তায়দাদ, সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ; এবং

(চ) যেই সমস্ত প্রতিকার দাবি করা হইতেছে ।

(৩) এই বিধি অনুসারে দরখাস্ত তফসিলের প্রথম খন্ড সংক্রান্ত হইলে দুই টাকা ফী এবং দ্বিতীয় খণ্ড সংক্রান্ত হইলে চার টাকা ফী দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে ।

 

বিধি-৪ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যখন ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন, তখন উহার উপর প্রদত্ত আদেশ সহকারে দরখাস্তটি আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিতে হইবে ।

 

বিধি-৫ : (১) প্রত্যাখ্যানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে রিভিশনের দরখাস্ত এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ-এর নিকট দাখিল করিতে হইবে ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত লিখিত ও বাদী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে । উহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা থাকিতে হইবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে মূল দরখাস্ত প্রত্যাখান করিয়া ফেরত দিয়াছিলেন তাহাও এই দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে । যেই সকল হেতুবাদে রিভিশন দরখাস্ত করা হইতেছে, সংক্ষেপে তাহাও দরখাস্তে উল্লেখ করিতে হইবে ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
বিধি-৬ : যে সহকারী জজের নিকটে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত করা হইবে, তিনি যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা বহুলাংশে অন্যায়, তবে তিনি দরখাস্ত গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যানের প্রতি নির্র্দেশ সম্বলিত লিখিত আদেশ দান করিবেন এবং অনুরূপ আদেশসহ আবেদনকারীকে উহা ফেরত দিবেন ।

 

বিধি-৭ : (১) আবেদন গৃহীত হইলে ১নং ফরমে রক্ষিত রেজিস্টারে উহার বিবরণসমূহ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত রেজিস্টারে মামলার যে নম্বর ও বত্সর লিপিবদ্ধ হইবে, তাহা দরখাস্তের উপরেও লিখিতে হইবে ।

(২) যখন ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ কোন মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইবেন, তখন তাহা ১নং ফরম রেজিস্টারে নূতন করিয়া তালিকাভুক্ত করিতে হইবে এবং নূতন মামলা হিসাবে উহার শুনানি করিতে হইবে ।

 

বিধি-৮ : (১) ৭ বিধি অনুসারে দরখাস্ত রেজিস্ট্রি করিবার পর চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ দিবেন এবং উক্ত নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য প্রতিবাদীকে সমন দিবেন ।

(২) এই বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন দুই প্রস্থে লিখিত এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইকে হইবে, এবং গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইতে হইবে ।

(৩) যেক্ষেত্রে অন্যরূপ বিধান করা হইবে তদ্ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত প্রত্যেকটি সমন ইউনিয়ন পরিষদের একজন কমচারী কতৃর্ক অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক জারিকৃত হইতে হইবে ।

(৪) সমন দ্বারা যে ব্যক্তিকে আহবান করা হইয়াছে, সম্ভব হইলে ব্যক্তিগতভাবে সেই ব্যক্তির হাতে দুই প্রস্থ সমনের এক প্রস্থ অর্পণের দ্বারা সমন জারি করিতে হইবে ।

(৫) যাহার উপর সমন জারি করা হইবে, সেইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি সমনের অপর প্রস্থের বিপরীত পৃষ্ঠায় স্বাক্ষরের দ্বারা প্রাপ্তি স্বীকার করিবে ।

(৬) যথারীতি চেষ্টা করিয়াও যদি উপরোক্ত উপধারাসমূহের বর্ণিত উপায়ে সমন জারি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে সমন প্রাপক যে গৃহে সচরাচর বসবাস করে, সমন জারি কারক কর্মচারী সেই গৃহের কোনো প্রকাশ্য অংশ এক প্রস্থ সমন লটকাইয়া দিবে এবং তদ্বারা সমন যথাবিহিতরূপে জারি হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

(৭) যে ব্যক্তির নামে সমন দেওয়া হইয়াছে, সেই ব্যক্তি যদি সেই ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহির্ভুত স্থানে বসবাস করে তবে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ডাকযোগে (প্রাপ্তি স্বীকারের খরচসহ) রেজিস্ট্রি করিয়া সমন জারি করাইতে পারিবে এবং আবেদনকারীকে উহার খরচ বহন করিতে হইবে ।

 

বিধি-৯ : (১) প্রতিবাদীর প্রতি সমন ২নং ফরমে দিতে হইবে ।

(২) সাক্ষীর প্রতি সমন ৩নং ফরমে দিতে হইবে ।

 

বিধি-১০ : প্রতিবাদীর উপর সমন জারি হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পক্ষগণকে সাত দিনের মধ্যে তাহাদের সদস্য মনোনয়ন করিতে বলিবে, এবং অনুরূপভাবে মনোনীত সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবে ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
বিধি-১১ : সদস্যগণের নাম প্রাপ্ত হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১নং ফরমের রেজিস্টারের সংক্ষিপ্ত কলামে উক্ত সদস্যগণের নাম লিপিবদ্ধ করিবে ।

 

বিধি-১২ : (১) যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কোনো মামলা কোনো মামলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পূর্বে যেকোনো সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত কোনো কারণে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অপরাগ হয়, অথবা কোনো পক্ষ তাহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে, সেই ক্ষেত্রে থানা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হইতে সংবাদ পাইলে অথবা কোনো পক্ষের নিকট হইতে লিখিত দরখাস্ত পাইলে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সদস্যকে কোনো পক্ষ যে সদস্যকে তদীয় সদস্যরূপে মনোনীত করিয়াছে সেই সদস্য (ব্যতীত) নিযুক্ত করিতে পারিবেন ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থানা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখিতে পারিবেন ।

(৩) উপবিধি (১) অনুসারে নিযুক্ত গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নাম ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

 

বিধি-১৩ : গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান তিন দিনের মধ্যে দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি দাখিল করার জন্য প্রতিবাদীকে নির্দেশ দিবেন এবং গ্রাম আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠানের জন্য একটি দিন সময় ও স্থান ধার্য করিবেন এবং পক্ষগণকে নিজ নিজ বক্তব্যের সমর্থনে প্রযোজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

বিধি-১৪: (১) গ্রাম আদালত ১৩ বিধি অনুসারে ধার্য তারিখে মামলার বিচার করিবে, কিন্তু উপযুক্ত কারণে আদালত বিভিন্ন সময়ে মামলার শুনানি মুলতবী করিতে পারিবে, তবে একেবারে অনুরূপ মুলতবীর মেয়াদ সাত দিনের অধিক হইবে না ।

(২) গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান সাক্ষীগণকে হলফ বা শপথ করিয়া জবানবন্দি করিতে বলিবেন এবং জবানবন্দির সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন বা করাইবেন ।

(৩) গ্রাম আদালত কোনো বিষয় সম্পর্কে পক্ষগণের মধ্যে বিরোধের ব্যাপারে মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠান করিতে পারিবে ।

 

বিধি-১৫ : (১) যদি কোনো মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে, অথবা গ্রাম আদালতে মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে বাদী হাজির না হয়, এবং ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, বাদী তাহার মামলা পরিচালনায় গাফিলতি করিতেছে তবে তাহার ত্রুটির জন্য দরখাস্ত খারিজ করা হইবে ।

(২) যেক্ষেত্রে উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত খারিজ হয়, সেইক্ষেত্রে মামলা পুনর্বহাল করার জন্য বাদী মামলা খারিজের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং উক্ত চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবেহলার সহিত কাজ করেন নাই, তবে চেয়ারম্যান আবেদনকারীর দরখাস্ত পুনর্বহাল করিতে ও উহা শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন ।

 

বিধি-১৬ : (১) যদি কোনো মামলা গ্রাম আদালতে শুনানির জন্য ধার্য তারিখে প্রতিবাদী হাজির না হয়, এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, সে গাফিলতি করিয়াছে, তবে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই মামলার শুনানি করিয়া নিষ্পত্তি করা হইবে ।

(২) যেক্ষেত্রে কোনো মামলায় উপবিধি (১) অনুসারে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হয়, সেই ক্ষেত্রে প্রতিবাদী মামলা পুনর্বহাল করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবহেলার সহিত কাজ করে নাই, তবে চেয়ারম্যান মামলা পুনর্বহাল করিতে ও উহার শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন ।

 

বিধি-১৭ : (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে লিপিবদ্ধ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে উল্লেখ থাকিবে যে, সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মত কিনা, এবং যদি সর্বসম্মত না হয়, তবে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুপাতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে, উহার উল্লেখ থাকিবে ।

 

বিধি-১৮ : গ্রাম আদালতের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান প্রকাশ্য আদালতে গোষণা করিবেন ।

 

বিধি-১৯ : (১) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত লিখিত হইতে হইবে, আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে এবং দরখাস্তের হেতুবাদগুলিও সংক্ষেপে উল্লেখ করিতে হইবে ।

(২) গ্রাম আদালতের প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের একটি অনুলিপি আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক সহিমোহরাঙ্কিত করিয়া দরখাস্তের সহিত সংযোজিত করিয়া দিতে হইবে ।

 

বিধি-২০ : প্রত্যেক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ৪নং ফরমে একটি ডিক্রি প্রস্তুত করিতে হইবে এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক তাহা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1827
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
বিধি-২১ : (১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবেন ।

(২) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সহকারী জজ যে আদেশ দান করিবেন, তাহা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হইবে এবং তদনুসারে চেয়ারম্যান ডিক্রি আদেশ সংশোধন করিবেন এই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিষয় ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারেও লিপিবদ্ধ করিবেন ।

 

বিধি-২২ : ডিক্রির টাকা বা ক্ষতিপূরণের টাকা কতদিনের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে, তাহা গ্রাম আদালতই স্থির করিবে । এই সময়ের মেয়াদ কোনোক্রমেই চূড়ান্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের অধিক হইবে না ।

 

বিধি-২৩ : কোনো বিরোধের যে কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পঁচাত্তর পয়সা ফী আদায় করিয়া বিরোধ সম্পর্র্কে গ্রাম আদালতের নথিপত্র পরিদর্শন করিবার অনুমতি দান করিবেন ।

 

বিধি-২৪ : বিরোধের কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রতি একশত শব্দ বা উহার অংশের অন্য পঞ্চাশ পয়সা হিসাবে আদায় করিয়া প্রাসংগিক কোনো নথি অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে রক্ষিত কোনো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ কোনো বিষয়ের বা উহার অংশবিশেষের নকল সরবরাহ করিবেন ।

 

বিধি-২৫ : (১) যখনই ১০ বা ১১ ধারা অনুসারে ধার্য কোনো জরিমানা ১২ ধারা অনুসারে আদায় করা হয়, অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে কোনো ফী আদায় করা হয়, তখন ৬নং ফরমে উহার রশিদ দেওয়া হইবে, যাহাতে ক্রমিক নম্বর থাকিবে, এবং তাহার মুড়ি অংশ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে রাখা হইবে ।

(২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রাপ্ত সকল জরিমানা ও ফী ৭নং ফরমে একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হইবে ।

 

বিধি-২৬ : অত্র বিধিমালা অনুসারে দেয় সকল ফী ইউনিয়ন পরিষদ তহবিলের অংশরূপে পরিগণিত হইবে ।

 

বিধি-২৭ : মামলার রেজিস্টার এবং ডিক্রি ও আদেশের রেজিস্টারে প্রতি বত্সর গৃহীত হওয়া দরখাস্তের ক্রমানুসারে ও প্রতি বত্সর প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের ক্রমানুসারে সেইগুলির ক্রমিক নম্বর দেওয়া হইবে ।

 

বিধি-২৮ : গ্রাম আদালতের রেজিস্টারসহ যাবতীয় নথিপত্র ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দেওয়া হইবে এবং রেজিস্টারসমূহ দশ বত্সর পর্যন্ত ও অন্যান্য নথিপত্র তিন বত্সর পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখা হইবে ।

 

বিধি-২৯ : যেক্ষেত্রে ৯ ধারা (৩) উপধারা অনুসারে কোনো অর্থ আদায় করিতে হইবে, সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে উহা আদায় করার জন্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ৮নং ফরমে উহার বিবরণ থানা নির্বাহী অফিসের নিকট প্রেরণ করিবেন ।

 

বিধি-৩০ : ১২ ধারার (১) উপধারা অনুসারে যে জরিমানা আদায় করিতে হইবে উহার পরিমাণ উল্লেখ করিয়া প্রদত্ত আদেশ ৯নং ফরমে থানা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ।

 

বিধি-৩১ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতি বত্সর পহেলা ফেব্রুয়ারি ও পহেলা আগস্টের পূর্বে গ্রাম আদালতসমূহের যথাক্রমে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস এবং ৩০শে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের কার্যাবলীর রিটার্ন ১০নং ফরমে থানা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন ।

 

বিধি-৩২ : যখন কোনো গ্রাম আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উহার বিচারাধীন কোনো মামলার ন্যাবিচারের খাতিরে আসামীর শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়; তখন গ্রাম আদালত ১১নং ফরমে উক্ত মামলা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবে ।

 

বিধি-৩৩ : যখন সমন অনুসারে বা অন্যভাবে প্রতিবাদী হাজির হইয়া আবেদনকারীর দাবি বা বিরোধ স্বীকার করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দাবি মিটাইয়া দেয় তখন কোনো গ্রাম আদালত গঠন করা হইবে না ।

 

বিধি-৩৪ : যখন গ্রাম আদালত অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোনো পক্ষকে দেয় কোনো অর্থ গ্রহণ করেন, তখন সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনের তারিখ হইতে সম্ভব হইলে সাত দিনের মধ্যে সেই অর্থ তাহাকে প্রদান করিতে হইবে ।

 

বিধি-৩৫ : (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে গ্রাম আদালতের একটি সীলমোহর রাখিতে হইবে, যাহা বৃত্তাকার হইবে এবং যাহাতে গ্রাম আদালত কথাগুলিও ইউনিয়ন পরিষদের নাম অঙ্কিত থাকিবে ।

(২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন আদেশ ডিক্রি, নকল ও অন্যান্য কাগজপত্রে গ্রাম আদালতের সীলমোহর ব্যবহৃত হইবে ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection