দ্বিতীয় ভাগ
এই আইনের অধীন এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতসমূহের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
ধারা-৩: কিশোর আদালতসমূহ
কার্যবিধিতে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য এক বা একাধিক কিশোর আদালত প্রতিষ্ঠা করতে পারিবেন ।
ধারা-৪: কিশোর আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতসমূহ
এই আইন দ্বারা ,কোনো কিশোর আদালতের উপর অর্পিত ক্ষমতা সমূহ প্রয়োগ করিতে পারিবেন-
(ক) হাইকোর্ট বিভাগ
(খ) দায়রা আদালত
(গ) অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং সহকারী দায়রা জজের আদালত
(ঘ) মহাকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, এবং
(ঙ) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
তাহা, মূল মামলার বিচারিক আদালত বা আপীল আদালত অথবা পুনর্বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত যাহাই হোক না কেন ।
ধারা-৫: কিশোর আদালতের ক্ষমতাসমূহ, প্রভৃতি
(১) কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য কিশোর আদালত গঠন করা হইলে এইরূপ আদালত অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোনো শিশুর সকল মামলার বিচার করিবেন এবং এই আইনের অধীনে অন্যান্য সকল কার্যধারার কাজকর্মও নিষ্পত্তি করিবেন ,কিন্তু এই আইনের ৬ষ্ঠ ভাগে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য অভিযুক্ত কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের মামলার বিচার করিবার ক্ষমতা এইরূপ আদালতের থাকিবে না ।
(২) কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য কিশোর আদালত গঠন করা না হইলে ,কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শিশুর বিরুদ্ধে আনীত কোনো মামলার বিচার করা অথবা এই আইনের অধীন অন্য কোনো কার্যধারার কাজকর্ম বা নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা প্রদত্ত আদালত ব্যতীত অন্য কোনো আদালতের থাকিবে না ।
(৩) কোনো কিশোর আদালত অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত দায়রা আদালতের অধস্তন কোনো আদালতের নিকট যখন প্রতীয়মান হয় যে,কোনো শিশু যে অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে তাহা কেবল দায়রা আদালতেই বিচার্য ,তখন উহা মামলাটি অবিলম্বে দায়রা আদালতে ,এই আইনে বিবৃত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য বদলী করিবেন ।
ধারা-৬: শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কের একত্রে বিচার অনুষ্ঠিত হইবে না
(১) কার্যবিধির ২৩৯ ধারা বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো শিশুকে কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বা বিচার করা চলিবে না ।
(২) যদি কার্যবিধির ২৩৯ ধারা বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনের অধীনে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোনো শিশুকে প্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে বিচার করা যাইত কিন্তু (১) উপ-ধারার বিধানাবলীর কারণে তা করা যায় না ,তাহা হইলে আদালত উক্ত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিয়া উক্ত শিশুর এবং উক্ত প্রাপ্ত বয়স্কের বিচার পৃথকভাবে করিবার নির্দেশ দিবেন ।
ধারা-৭: কিশোর আদালতের অধিবেশন, প্রভৃতি
(১) কিশোর আদালত নির্ধারিত স্থানে, দিনে এবং পদ্ধতিতে উহার অধিবেশন বসিবে ।
(২) কোনো শিশু অভিযুক্ত রহিয়াছে এমন কোনো মামলার বিচারের ক্ষেত্রে , আদালত যে ভবনে বা কামরায় ,যে দিবসে বা যে সময়ে সাধারণত অধিবেশন বসে, তত্ ভিন্ন অন্য কোনো ভবন বা কামরায় অথবা অন্য কোনো দিবসে বা সময়ে অধিবেশন বসিবে ।
ধারা-৮ : দায়রার বিচার্য মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ককে দায়রায় সোপর্দ করিতে হইবে
(১) কোনো শিশু কোনো অপরাধ সংঘটনের দায়ে কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের সহিত একত্রে অভিযুক্ত হইলে এবং উক্ত অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণকারী আদালতের মতে মামলাটি দায়রা আদালতে প্রেরণের উপযুক্ত বলিয়া প্রতীয়মান হইলে,আদালত মামলাটির শিশু সর্ম্পকিত অংশ উহার প্রাপ্তবয়স্ক সর্ম্পকিত অংশ হইতে পৃথক করিয়া ফেলিবার পর নির্দেশ দিবেন যে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ককে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করিতে হইবে ।
(২) অতঃপর শিশু সর্ম্পকিত মামলাটি উক্ত স্থানীয় এলাকার জন্য কোনো কিশোর আদালত থাকিলে , উক্ত আদালতে অথবা না থাকিলে এবং উক্ত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণকারী আদালত ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া থাকিলে ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আদালতে বদলী করিতে হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, শিশু সর্ম্পকিত মামলাটি যদি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে শুধুমাত্র দায়রা আদালতে বিচার্য হয় তাহা হইলে ৫ (৩) ধারার অধীনে দায়রা আদালতে বদলী করিতে হইবে ।
ধারা-৯: কিশোর আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিগণ
এই আইনের বিধান ব্যতীত ,নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি কিশোর আদালতের এজলাসে উপস্থিত থাকিবেন না :
(ক) আদালতের সদস্যগণ ও অফিসারগণ;
(খ) আদালতের উত্থাপিত মামলা অথবা কার্যধারার পক্ষগণ এবং পুলিশ অফিসারগণ মামলা অথবা কার্যধারার সহিত সরাসরি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণ;
(গ) শিশুর পিতামাতা অথবা অভিভাবক; এবং
(ঘ) উপস্থিত হইবার জন্য আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে অনুমোদিত অন্যান্য ব্যক্তিগণ ।
ধারা-১০: আদালত হইতে যে সকল ব্যক্তি প্রত্যাহারিত হইবেন
কোনো মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে আদালত যদি শিশুটির স্বার্থে তাহার পিতামাতা, অভিভাবক অথবা দম্পত্তি অথবা শিশু নিজে সমেত কোনো ব্যক্তিকে আদালত হইতে প্রত্যাহার করা সমীচীন মনে করেন তাহা হইলে আদালত এইরূপ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিবেন এবং অনুরূপ ব্যক্তিগণ আদালত ত্যাগ করিবেন ।
ধারা-১১: হাজিরা হইতে শিশুর অব্যাহতি
কোনো মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে আদালত যদি উক্ত শুনানীর উদ্দেশ্যে শিশুটির হাজির থাকা অনাবশ্যক বলিয়া মনে করেন, তবে আদালত তাহাকে হাজিরা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে এবং তাহার অনুপস্থিতিতেই উক্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানী চালাইয়া যাইতে পারিবেন ।
ধারা-১২: শিশুর সাক্ষ্য প্রদানকালে কতিপয় ব্যক্তির আদালত হইতে প্রত্যাহার
শালীনতা অথবা নৈতিকতা বিরোধী কোনো অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে যদি কোনো শিশুকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়, তবে উক্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানীকারী আদালত উহার মতে উপযুক্ত ব্যক্তিগণকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিবেন এবং তদনুসারে তাহারা প্রত্যাহার হইবেন । তবে উক্ত মামলা বা কার্যধারার পক্ষগণ, তাহাদের আইন-উপদেষ্টাগণ এবং মামলা বা কার্যধারা সংশ্লিষ্ট অফিসারগণকে এই ধারার অধীনে প্রত্যাহার করিতে হইবে না ।
ধারা-১৩ : অভিযুক্ত শিশুর পিতা-মাতার আদালতে হাজিরা, প্রভৃতি
(১) এই আইনের অধীনে আদালতে নীত শিশুর পিতামাতা অথবা অভিভাবক বর্তমান থাকিলে এবং তাহার সন্ধান পাওয়া গেলে অথবা তিনি যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে বসবাস করিলে ,এই আইনের অধীনে যে আদালতে কোনো কার্যধারা গ্রহণ করা হয় সেই আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেয়া যাইতে পারে ,যদি না আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে তাহাকে হাজির হইতে নির্দেশ দেয়া যুক্তিসঙ্গত হইবে না ।
(২) শিশুটিকে গ্রেফতার করা হইলে যে থানায় তাহাকে আনা হয় সেই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অবিলম্বে শিশুর পিতা-মাতা অথবা অভিভাবককে ,যদি তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যায়,এইরূপ গ্রেফতার সর্ম্পকে অবহিত করিবেন এবং যে আদালতে শিশুটিকে হাজির করা হইবে সেই আদালতে হাজির হইবার জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করিয়া তাহার প্রতি নির্দেশ দানের ব্যবস্থা করাইবেন ।
(৩) যে পিতা-মাতা বা অভিভাবককে এই ধারার অধীনে হাজির হইবার নির্দেশ দেওয়া হইবে তাহাকে শিশুটির যথার্থ দায়িত্বশীল বা নিয়ন্ত্রণকারী পিতা-মাতা বা অভিভাবক হইতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে ,এইরূপ পিতা-মাতা বা অভিভাবক যদি পিতা না হইয়া থাকেন তবে পিতাকেও হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইতে পারে ।
(৪) যে ক্ষেত্রে এই কার্যধারা রুজু হওয়ার পূর্বে শিশুটিকে আদালতের আদেশ দ্বারা তাহার পিতা-মাতার হেফাজত বা দায়িত্ব হইতে অপসারণ করা হইয়াছে সেইক্ষেত্রে কোনো প্রকারেই এই ধারার অধীনে শিশুটির পিতা-মাতাকে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না ।
(৫) এই ধারার কোনো কিছু শিশুর মাতা বা মহিলা অভিভাবককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দান করে বলিয়া গণ্য হইবে না, তবে এইরূপ কোনো মাতা বা মহিলা অভিভাবক কোনো উকিল বা এজেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির হইতে পারেন ।
ধারা-১৪: মারাত্নক রোগাক্রান্ত শিশুকে অনুমোদিত স্থানে প্রেরণ
(১) এই আইনের কোনো বিধান অনুযায়ী আদালতে নীত কোনো শিশু যদি এইরূপ রোগাক্রান্ত থাকে যে তাহাকে দীর্ঘদিন চিকিত্সা করা প্রয়োজন, অথবা এইরূপ শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণাগ্রস্ত হয় যে তাহার চিকিত্সা প্রয়োজন, তাহা হইলে আদালত শিশুটিকে কোনো হাসপাতালে অথবা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি অনুযায়ী স্বীকৃত কোনো স্থানে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার জন্য যতদিন আবশ্যক মনে করেন ততদিনের জন্য প্রেরণ করিবেন ।
(২) যে ক্ষেত্রে আদালত (১) উপধারার অধীনে কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত শিশুর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই ক্ষেত্রে আদালত শিশুটির বৈবাহিক সূত্রে কোনো অংশীদার বা তাহার অভিভাবকের নিকট, যে ক্ষেত্রে যাহা হয়, তাহাকে ফেরত দেওয়ার পূর্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শিশুটির স্বার্থের অনুকূল হইবে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে ,শিশুটির অনুরূপ বৈবাহিক সূত্রে অংশীদার অথবা অভিভাবককে এই মর্মে নির্দেশ দিবেন যে, তাহাদের শিশুটি পুনঃসংক্রামিত হইবে না এই মর্মে ডাক্তারী পরীক্ষা দাখিল পূর্বক আদালতের সন্তুষ্টি বিধান করিতে হইবে ।
ধারা-১৫: আদেশ প্রদানকালে আদালত যে সকল বিষয় বিবেচনা করিবেন
এই আইনের অধীনে কোনো আদেশ প্রদানের উদ্দেশ্যে আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্ রাখিবেন -
(ক) শিশুর চরিত্র ও বয়স ;
(খ) শিশুর জীবন যাপনের পরিবেশ ;
(গ) প্রবেশন অফিসার কর্তৃক প্রণীত রির্পোট ; এবং
(ঘ) শিশুটির স্বার্থে যে সকল বিষয় বিবেচনায় গ্রহণ করিতে হইবে বলিয়া আদালত মনে করেন সে সকল বিষয়:
তবে শর্ত থাকে যে ,যখন কোনো শিশু কোনো অপরাধ করিয়াছে মর্মে পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিবার পর উপরি উক্ত বিষয়াদি বিবেচনার্থে গ্রহণ করিবেন ।
ধারা-১৬ : প্রবেশন অফিসারের রির্পোট এবং অন্যান্য রির্পোট গোপনীয় গণ্য করিতে হইবে
১৫ ধারায় আদালত কর্তৃক বিবেচিত প্রবেশন অফিসারের রির্পোট অথবা অন্য কোনো রির্পোট গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে ,এইরূপ রির্পোট যদি শিশুটি বা তাহার পিতামাতা কিংবা অভিভাবকের চরিত্র ,স্বাস্থ্য অথবা আচরণ অথবা জীবন যাপনের পরিবেশ সংক্রান্ত হয় তবে আদালত সমীচীন মনে করিলে উক্ত রির্পোটের সারমর্ম ,উক্ত শিশু কিংবা সংশ্লিষ্ট পিতামাতা অথবা অভিভবাককে জানাইতে পারিবেন এবং তাহাদিগকে রির্পোটে বর্ণিত বিষয়াদির সহিত প্রাসঙ্গিক হয়,এইরূপ সাক্ষ্য প্রদানের সুযোগ দিতে পারিবেন ।
ধারা-১৭ ; মামলায় জড়িত শিশুর পরিচয় ,ইত্যাদি প্রকাশ নিষিদ্ধ
কোনো সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সংবাদফলক প্রভৃতি অথবা সংবাদ এজেন্সী এই আইনের অধীনে আদালতে উত্থাপিত কোনো মামলা বা কার্যধারায় কোনো শিশু জড়িত থাকিলে উহার বিস্তারিত বর্ণণা এবং এইরূপ শিশকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে এইরূপ কিছু বা শিশুর ছবি প্রকাশ করিবে না ;
তবে শর্ত থাকে যে, মামলার বিচারকারী অথবা কার্যধারা গ্রহণকারী আদালত ,যদি উহার মতে এইরূপ রির্পোট প্রকাশ করা শিশু কল্যাণের স্বার্থে অনুকূল হইবে এবং সংশ্লিষ্ট শিশুর স্বার্থের কোনো ক্ষতি হইবে না বলিয়া মনে করেন ,তবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত আদালত এইরূপ কোনো রির্পোট প্রকাশের অনুমতি দিতে পারিবেন ।
ধারা-১৮ : আওতা বহির্ভূত না হইলে ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে
এই আইন অথবা ইহার অধীনে প্রণীত বিধির সুস্পষ্ট বিধান অনুযায়ী ব্যতীত , এই আইনের অধীনে মামলার বিচার এবং কার্যধারা গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যবিধিতে বর্ণিত বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে