আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই লাউ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় যে লাউ পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রাচীনতম সবজি এবং আফ্রিকার এর জন্ম। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই লাউ পাওয়া যায়। প্রায় ৯৬ শতাংশ ময়শ্চারসমৃদ্ধ এই সবজি দেহের পানির পরিমাণ বজায় রাখে। এই ঋতুতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ফিরে আসে। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। পানি বেশি থাকার জন্য লাউ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, চুলের গোড়া শক্ত হয়, প্রোসাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। ডায়রিয়া, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাউ যথেষ্ট উপকারী সবজি। লাউ খেলে ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা দূর হয়, ডায়াবেটিকসহ সব রোগীর রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এই সবজির ক্যালসিয়াম, ফসফরাস দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে, দাঁত ও হাড়কে করে মজবুত। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই সবজিতে আমিষ, চর্বির পরিমাণ খুবই নগণ্য। তাই উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি দুশ্চিন্তামুক্ত সবজি। এতে নেই কোনো কোলেস্টেরল। ক্যালরি ও আয়রন থাকার জন্য লাউ নিয়মিত খেলে মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি পায়। সামান্য পরিমাণ ‘ভিটামিন বি’ কমপ্লেক্সের উপস্থিতি এই সবজিতে। খাবার হজমে সাহায্য করে, পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাউয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এসিডিটি দূর করতেও জুড়ি নেই। এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। লাউয়ের খোসাতেও রয়েছে পুষ্টি। লাউয়ের খোসার ভাজি খাওয়া যায়। বহুবিধ গুণের জন্য লাউ হোক পরিবারের সঙ্গী।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১২, ২০১০